কার্টুনিস্ট কিশোরের অভিযোগ
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে ‘নির্যাতন’ করা ব্যক্তিদের স্কেচ আঁকা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর দাবি করেছেন, সেই স্কেচের একটির সঙ্গে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও সাবেক ডিজিএফআই কর্মকর্তা আফিজুর রহমানের বহু মিল রয়েছে। সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আফিজের গ্রেফতার দাবি করছি। সার্ভিসে ধান্ধাবাজ, অসৎ বলে পরিচিত এই আফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বহু গুম ও নির্যাতনের পেছনের ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করি।”
কিশোরের অভিযোগ নাকচ করে আফিজ বলেন, তিনি ডিজিএফআইয়ের ‘পাবলিক রিলেশনস ও মিডিয়া উইংয়ে’ দায়িত্বে ছিলেন, কোনো অপারেশন বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। চশমা না পরার বিষয়টিও তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি চশমা পরা শুরু করেছি জাস্ট এই এক মাস। এর আগে কখনো চশমা পরিনি। কিশোর হয়তো কোথাও ভুল করছেন, আমার সঙ্গে তার কখনো দেখা হয়নি।”
কিশোর অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ২ মে সন্ধ্যায় সাধারণ পোশাকের ১৬-১৭ জন লোক তাকে কাকরাইলের বাসা থেকে হাতকড়া ও মুখোশ পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং তিন দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের সময় তিনি আফিজকে সামনে থেকে দেখেছেন বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, “যে গ্রুপটা শান্তিনগরে আমার বাসায় ধরতে আসছিল, ওই গ্রুপের একদম সে সামনে ছিল… প্রচুর সিগারেট খাচ্ছিল, আর ঘরের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলছিল। চোখ বাঁধা অবস্থায় মারধরের সময়ও তার মুখ এক-দুইবার দেখেছি।”
আফিজ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কখনোই কোনো অপরাধে জড়িত হইনি। আমার কাজের গণ্ডিতেও ছিল না। অভিযোগগুলো সিরিয়াস লেভেলের, তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।”
কিশোর বলেন, “ডিসগাইজ দিতে পারে না! আমি ১০০ ভাগ কনফার্ম সে। আমি লোকজন থেকে খবর নিয়ে জেনেছি, সে ২০২০ সালে ডিজিএফআইয়ের মিডিয়া উইংয়ে ছিল। তার কাজই ছিল মিডিয়ার লোকজন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।”
কার্টুনিস্ট কিশোরের অভিযোগ
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে ‘নির্যাতন’ করা ব্যক্তিদের স্কেচ আঁকা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর দাবি করেছেন, সেই স্কেচের একটির সঙ্গে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও সাবেক ডিজিএফআই কর্মকর্তা আফিজুর রহমানের বহু মিল রয়েছে। সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আফিজের গ্রেফতার দাবি করছি। সার্ভিসে ধান্ধাবাজ, অসৎ বলে পরিচিত এই আফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বহু গুম ও নির্যাতনের পেছনের ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করি।”
কিশোরের অভিযোগ নাকচ করে আফিজ বলেন, তিনি ডিজিএফআইয়ের ‘পাবলিক রিলেশনস ও মিডিয়া উইংয়ে’ দায়িত্বে ছিলেন, কোনো অপারেশন বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। চশমা না পরার বিষয়টিও তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি চশমা পরা শুরু করেছি জাস্ট এই এক মাস। এর আগে কখনো চশমা পরিনি। কিশোর হয়তো কোথাও ভুল করছেন, আমার সঙ্গে তার কখনো দেখা হয়নি।”
কিশোর অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ২ মে সন্ধ্যায় সাধারণ পোশাকের ১৬-১৭ জন লোক তাকে কাকরাইলের বাসা থেকে হাতকড়া ও মুখোশ পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং তিন দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের সময় তিনি আফিজকে সামনে থেকে দেখেছেন বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, “যে গ্রুপটা শান্তিনগরে আমার বাসায় ধরতে আসছিল, ওই গ্রুপের একদম সে সামনে ছিল… প্রচুর সিগারেট খাচ্ছিল, আর ঘরের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলছিল। চোখ বাঁধা অবস্থায় মারধরের সময়ও তার মুখ এক-দুইবার দেখেছি।”
আফিজ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কখনোই কোনো অপরাধে জড়িত হইনি। আমার কাজের গণ্ডিতেও ছিল না। অভিযোগগুলো সিরিয়াস লেভেলের, তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।”
কিশোর বলেন, “ডিসগাইজ দিতে পারে না! আমি ১০০ ভাগ কনফার্ম সে। আমি লোকজন থেকে খবর নিয়ে জেনেছি, সে ২০২০ সালে ডিজিএফআইয়ের মিডিয়া উইংয়ে ছিল। তার কাজই ছিল মিডিয়ার লোকজন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।”