বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সম্পর্ককে আরও গভীর ও ভবিষ্যতমুখী কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছে।
মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেন, পরে উভয় দেশের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়। আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, জ্বালানি, সুনীল অর্থনীতি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
অধ্যাপক ইউনূস আট হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে সহজ নিয়মে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ ও মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। উভয় পক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত, খরচ কমানো ও শ্রমিক সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে। বাংলাদেশ দক্ষ পেশাজীবী, নিরাপত্তাকর্মী ও কেয়ারগিভার নিয়োগ এবং অনিয়মিত শ্রমিকদের বৈধ করার প্রস্তাব দেয়।
মালয়েশিয়া নিশ্চিত করে যে বাংলাদেশি শ্রমিকরা সমান সামাজিক সুরক্ষা ও সুবিধা পাবেন এবং বাংলা ভাষায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্রাজুয়েট পাস’ ভিসার আবেদন জানায়। এছাড়া আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার বিষয়ে মালয়েশিয়ার সমর্থন প্রত্যাশা করা হয়।
দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় গতি আনা, বিনিয়োগ বাড়ানো, ব্যবসায়িক পরিষদ সক্রিয় করা এবং বাংলাদেশের পণ্যের বাজার প্রবেশাধিকার সহজ করার বিষয়ে একমত হয়। সুনীল অর্থনীতি, হালাল শিল্প, এলএনজি সরবরাহ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটনে অংশীদারত্বের ক্ষেত্রেও আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, এলএনজি সরবরাহ, হালাল শিল্প, উচ্চশিক্ষা ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণসহ একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় কূটনৈতিক নথি বিনিময় এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র, জ্বালানি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বিশেষ দূত, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান, এসডিজি সমন্বয়কারী ও পররাষ্ট্র সচিব।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সম্পর্ককে আরও গভীর ও ভবিষ্যতমুখী কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছে।
মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেন, পরে উভয় দেশের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়। আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, জ্বালানি, সুনীল অর্থনীতি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
অধ্যাপক ইউনূস আট হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে সহজ নিয়মে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ ও মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। উভয় পক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত, খরচ কমানো ও শ্রমিক সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে। বাংলাদেশ দক্ষ পেশাজীবী, নিরাপত্তাকর্মী ও কেয়ারগিভার নিয়োগ এবং অনিয়মিত শ্রমিকদের বৈধ করার প্রস্তাব দেয়।
মালয়েশিয়া নিশ্চিত করে যে বাংলাদেশি শ্রমিকরা সমান সামাজিক সুরক্ষা ও সুবিধা পাবেন এবং বাংলা ভাষায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্রাজুয়েট পাস’ ভিসার আবেদন জানায়। এছাড়া আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার বিষয়ে মালয়েশিয়ার সমর্থন প্রত্যাশা করা হয়।
দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় গতি আনা, বিনিয়োগ বাড়ানো, ব্যবসায়িক পরিষদ সক্রিয় করা এবং বাংলাদেশের পণ্যের বাজার প্রবেশাধিকার সহজ করার বিষয়ে একমত হয়। সুনীল অর্থনীতি, হালাল শিল্প, এলএনজি সরবরাহ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটনে অংশীদারত্বের ক্ষেত্রেও আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, এলএনজি সরবরাহ, হালাল শিল্প, উচ্চশিক্ষা ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণসহ একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় কূটনৈতিক নথি বিনিময় এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র, জ্বালানি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বিশেষ দূত, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান, এসডিজি সমন্বয়কারী ও পররাষ্ট্র সচিব।