আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় মঞ্চে বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এবি পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আয়োজিত সম্মেলনে পাটওয়ারী ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে হলে সরকারকে শহীদের লাশ ফেরত দিতে হবে এমন দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের ডেট ঘোষণা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তার লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।’
নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একই ধরনের সংস্কৃতিতে নির্বাচন হলে মানুষ কেন আহত-নিহত হলো সে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ফ্যাসিবাদী সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাহলে এতগুলো মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কি ছিল? এতগুলো মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কি ছিল?’
গণমাধ্যমকে ‘হাসিনামাধ্যম’ উল্লেখ করে নাসিরুদ্দীন বলেন, ‘এখন কি মাধ্যম সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণঅভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলাম, তাদের একটা কথা বলেছিলাম, যা আকাম করেছেন, ঘরের ভেতরে বসে থাকেন। যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভেতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাদের লজ্জা নাই। তারা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।’
‘সংস্কার না হলে ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেব’ এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই এটার সংস্কার করতে হবে। সামনে যদি একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়, আয়নাঘর কেন, ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার আমরা ভেঙে দেব। যথেষ্ট সহ্য করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। নির্বাচন কমিশনও ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে এর দুই মাস আগে সূচি ঘোষণার কথা বলেছে। দ্রুত নির্বাচনের দাবি করে আসা বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দল এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। পরে জামায়াতও ফেব্রুয়ারির ভোট নিয়ে তাদের আপত্তি না থাকার কথা বলেছে। কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা রাষ্ট্র সংস্কার ও শেখ হাসিনাসহ বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন না করার কথা বলে আসছে।
দেশে নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি নেই: ফরহাদ মজহার
দেশে এখন নির্বাচন আয়োজন করার মতো ‘পরিস্থিতি নেই’ দাবি করে লেখক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘নির্বাচন করলে সেনাবাহিনীকে আরও ‘বিপদের’ দিকে ঠেলে দেয়া হবে। যদি বাংলাদেশে আমরা সবাই একমত হয়ে নির্বাচন না করি তাহলে বাংলাদেশকে আমরা বিপদের দিকে ঠেলে দেব।’
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণশক্তি সভা’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা’ শীর্ষক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিজেকে নির্বাচনবিরোধী দাবি করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি সামনে বাংলাদেশে অনেক বিপদ চিহ্ন দেখছি। আমরা নির্বাচনবিরোধী। কারণ নির্বাচন করে আমরা লুটেরা মাফিয়া-শ্রেণীকে, যারা বিভিন্নভাবে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, তাদের আপনারা আবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসাতে চান। নির্বাচন করতে হলে ১০-২০ কোটি টাকা লাগে, সাধারণ কর্মী এই নির্বাচন করতে পারবে না। আপনারা আরেক সংসদ বানাতে চান, এখানে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণী থাকবে। এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
নির্বাচনের দরকার কী- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘বিএনপি বলে অবিলম্বে নির্বাচন চাই। আপনারা ৩১ দফায় সংস্কারের কথা বলেছেন। আপনি এত বড় একটা রাজনৈতিক দল, আপনি সংস্কারের একটা প্রস্তাব দিতে পারেন না, আপনি নতুন গঠনতন্ত্রের প্রস্তাব দিতে পারেন না যে, গণঅভ্যুত্থান থেকে আমি বুঝতে পেরেছি জনগণের এই অভিপ্রায়- এটা আমি কায়েম করব আপনি একমত হচ্ছেন। তাহলে আপনার নির্বাচন দরকারটা কী? আপনাকে তো জনগণই ক্ষমতায় বসাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমানকে ‘রাজনীতি’ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনি শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের পারিবারিকভাবে যুক্ত বলেই, তারেক আপনি নেতা হতে পারবেন না এটা ঠিক নয়। আপনি দেশে ফিরে আসুন। আমরা আপনার সঙ্গে রাজনীতি করবো, এক সঙ্গে রাজনীতি করবো।
তরুণদের ‘বিভ্রান্ত’ করবেন না, তারেকের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে আমরা বলেছি যে, তরুণরা গণঅভ্যুত্থান করেছে, তারা জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করে। আপনি খেয়াল করেছেন যে, তারা (ছাত্ররা) গিয়ে প্রথম কাকে উদ্ধার করেছে? খালেদা জিয়াকে তাকে সস্মানের সঙ্গে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। কারণ তিনি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। প্রথমে এই তরুণেরা আপনার যে সব মামলা ছিল, সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। আপনি কৃতজ্ঞ থাকুন।’
শেখ হাসিনার মতো তারেক রহমানও দেশ থেকে পরিত্যাজ্য হবেন- এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট করে এসেছি- ৫ আগস্টের পরে আপনি আমাদের এটা বলবেন না, যে নির্বাচন দাও, নির্বাচন দাও। কিসের নির্বাচনের চাওয়া হচ্ছে? ‘আপনি দেশ গঠনে ভূমিকা রাখুন। প্রথম কথা হচ্ছে যে, আমরা একটা গঠনপ্রণালি তৈরি করতে পারি সেজন্য প্রথম কাজ হচ্ছে গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাব।’
দেশ গঠন ও দেশের প্রতিরক্ষায় সেনা প্রতিষ্ঠানের যে গুরুত্ব রয়েছে তা স্বীকার করে তাকে সেই গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সেনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র আমরা আর সহ্য করব না। কোনো ব্যক্তিকে ছোট করা, অযথা তার মর্যাদাহানি করা- তাকে পছন্দ না হলে সেনাবাহিনীর নিজস্ব আইন আছে, সেনা আইনে যদি না হয় আমাদের বহু পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতিতে করতে পারি, কিন্তু সেনা প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করবেন না।’
সাদেক খানের সভাপতিত্বে ও দেওয়ান সাজ্জাদের সঞ্চালনায় জনশক্তির আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম জিয়াউল হাসান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হাসিনুর রহমান, লেখক ইমরান চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রেজাউল হান্নান শাহীন।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় মঞ্চে বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এবি পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আয়োজিত সম্মেলনে পাটওয়ারী ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে হলে সরকারকে শহীদের লাশ ফেরত দিতে হবে এমন দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের ডেট ঘোষণা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তার লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।’
নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একই ধরনের সংস্কৃতিতে নির্বাচন হলে মানুষ কেন আহত-নিহত হলো সে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ফ্যাসিবাদী সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাহলে এতগুলো মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কি ছিল? এতগুলো মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কি ছিল?’
গণমাধ্যমকে ‘হাসিনামাধ্যম’ উল্লেখ করে নাসিরুদ্দীন বলেন, ‘এখন কি মাধ্যম সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণঅভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলাম, তাদের একটা কথা বলেছিলাম, যা আকাম করেছেন, ঘরের ভেতরে বসে থাকেন। যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভেতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাদের লজ্জা নাই। তারা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।’
‘সংস্কার না হলে ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেব’ এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই এটার সংস্কার করতে হবে। সামনে যদি একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়, আয়নাঘর কেন, ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার আমরা ভেঙে দেব। যথেষ্ট সহ্য করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। নির্বাচন কমিশনও ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে এর দুই মাস আগে সূচি ঘোষণার কথা বলেছে। দ্রুত নির্বাচনের দাবি করে আসা বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দল এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। পরে জামায়াতও ফেব্রুয়ারির ভোট নিয়ে তাদের আপত্তি না থাকার কথা বলেছে। কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা রাষ্ট্র সংস্কার ও শেখ হাসিনাসহ বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন না করার কথা বলে আসছে।
দেশে নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি নেই: ফরহাদ মজহার
দেশে এখন নির্বাচন আয়োজন করার মতো ‘পরিস্থিতি নেই’ দাবি করে লেখক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘নির্বাচন করলে সেনাবাহিনীকে আরও ‘বিপদের’ দিকে ঠেলে দেয়া হবে। যদি বাংলাদেশে আমরা সবাই একমত হয়ে নির্বাচন না করি তাহলে বাংলাদেশকে আমরা বিপদের দিকে ঠেলে দেব।’
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণশক্তি সভা’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা’ শীর্ষক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিজেকে নির্বাচনবিরোধী দাবি করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি সামনে বাংলাদেশে অনেক বিপদ চিহ্ন দেখছি। আমরা নির্বাচনবিরোধী। কারণ নির্বাচন করে আমরা লুটেরা মাফিয়া-শ্রেণীকে, যারা বিভিন্নভাবে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, তাদের আপনারা আবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসাতে চান। নির্বাচন করতে হলে ১০-২০ কোটি টাকা লাগে, সাধারণ কর্মী এই নির্বাচন করতে পারবে না। আপনারা আরেক সংসদ বানাতে চান, এখানে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণী থাকবে। এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
নির্বাচনের দরকার কী- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘বিএনপি বলে অবিলম্বে নির্বাচন চাই। আপনারা ৩১ দফায় সংস্কারের কথা বলেছেন। আপনি এত বড় একটা রাজনৈতিক দল, আপনি সংস্কারের একটা প্রস্তাব দিতে পারেন না, আপনি নতুন গঠনতন্ত্রের প্রস্তাব দিতে পারেন না যে, গণঅভ্যুত্থান থেকে আমি বুঝতে পেরেছি জনগণের এই অভিপ্রায়- এটা আমি কায়েম করব আপনি একমত হচ্ছেন। তাহলে আপনার নির্বাচন দরকারটা কী? আপনাকে তো জনগণই ক্ষমতায় বসাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমানকে ‘রাজনীতি’ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনি শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের পারিবারিকভাবে যুক্ত বলেই, তারেক আপনি নেতা হতে পারবেন না এটা ঠিক নয়। আপনি দেশে ফিরে আসুন। আমরা আপনার সঙ্গে রাজনীতি করবো, এক সঙ্গে রাজনীতি করবো।
তরুণদের ‘বিভ্রান্ত’ করবেন না, তারেকের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে আমরা বলেছি যে, তরুণরা গণঅভ্যুত্থান করেছে, তারা জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করে। আপনি খেয়াল করেছেন যে, তারা (ছাত্ররা) গিয়ে প্রথম কাকে উদ্ধার করেছে? খালেদা জিয়াকে তাকে সস্মানের সঙ্গে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। কারণ তিনি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। প্রথমে এই তরুণেরা আপনার যে সব মামলা ছিল, সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। আপনি কৃতজ্ঞ থাকুন।’
শেখ হাসিনার মতো তারেক রহমানও দেশ থেকে পরিত্যাজ্য হবেন- এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট করে এসেছি- ৫ আগস্টের পরে আপনি আমাদের এটা বলবেন না, যে নির্বাচন দাও, নির্বাচন দাও। কিসের নির্বাচনের চাওয়া হচ্ছে? ‘আপনি দেশ গঠনে ভূমিকা রাখুন। প্রথম কথা হচ্ছে যে, আমরা একটা গঠনপ্রণালি তৈরি করতে পারি সেজন্য প্রথম কাজ হচ্ছে গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাব।’
দেশ গঠন ও দেশের প্রতিরক্ষায় সেনা প্রতিষ্ঠানের যে গুরুত্ব রয়েছে তা স্বীকার করে তাকে সেই গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সেনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র আমরা আর সহ্য করব না। কোনো ব্যক্তিকে ছোট করা, অযথা তার মর্যাদাহানি করা- তাকে পছন্দ না হলে সেনাবাহিনীর নিজস্ব আইন আছে, সেনা আইনে যদি না হয় আমাদের বহু পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতিতে করতে পারি, কিন্তু সেনা প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করবেন না।’
সাদেক খানের সভাপতিত্বে ও দেওয়ান সাজ্জাদের সঞ্চালনায় জনশক্তির আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম জিয়াউল হাসান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হাসিনুর রহমান, লেখক ইমরান চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রেজাউল হান্নান শাহীন।