ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৮ আগস্ট চূড়ান্ত বৈঠকের পর রোডম্যাপ পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হতে পারে বলেও জানায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, রোডম্যাপে ভোটার তালিকা, সীমানা পুনঃনির্ধারণ, দল নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ক্রয়সহ নির্বাচনের সব ধাপের সময়সূচি থাকবে।
বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটা (রোডম্যাপ) নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে আপনাদেরকে নির্বাচনের রোডম্যাপটা দিতে পারবো।’
রোডম্যাপে কী থাকবে এবং কোন পদ্ধতিতে হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘রোডম্যাপে কী কী থাকবে, ওটা রোডম্যাপই বলে দেবে। অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, আইনবিধি সংশোধন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেয়া হবে। তবে এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই রোডম্যাপে ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে সরঞ্জাম ক্রয়ের মতো নির্বাচনের প্রতিটি ধাপের সময়সূচি উল্লেখ থাকবে। এছাড়া অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ এবং আইন ও বিধিমালা সংশোধনের তথ্যও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করা হয়। গত ৬ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ইসিকে চিঠি পাঠিয়ে ২০২৬ সালের রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হয়। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধিতে নতুন কিছু বিধি সংযোজন করেছে ইসি। বিধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার নির্বাচনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটগ্রহণের দিন ড্রোন বা কোয়াডকপ্টারের মতো যন্ত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে পারে এমন ডিপফেক, মিথ্যা ও পক্ষপাতমূলক তথ্য, অপপ্রচার বা মানহানিকর বিষয়বস্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। এমনকি প্রার্থী বা দলীয় নেতাদের চেহারা বিকৃত করে কোনো ধরনের প্রচার চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা বা ডিজিটাল আইনে মামলার বিধান রাখা হয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মতামতের ভিত্তিতে আচরণ বিধিমালায় এসব নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির মতামত নিয়ে এ আচরণ বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছে ইসি। গত ২৯ জুন নির্বাচন কমিশন যে খসড়া আচরণ বিধিমালা প্রকাশ করেছিল, সেখানে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ওই খসড়ায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, এ বিষয়ে আরও আলোচনা বাকি আছে। আলোচনার পর সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত ৩১৮টি আবেদন পেয়েছে কমিশন, যা যাচাই-বাছাই চলছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৮ আগস্ট চূড়ান্ত বৈঠকের পর রোডম্যাপ পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হতে পারে বলেও জানায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, রোডম্যাপে ভোটার তালিকা, সীমানা পুনঃনির্ধারণ, দল নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ক্রয়সহ নির্বাচনের সব ধাপের সময়সূচি থাকবে।
বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটা (রোডম্যাপ) নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে আপনাদেরকে নির্বাচনের রোডম্যাপটা দিতে পারবো।’
রোডম্যাপে কী থাকবে এবং কোন পদ্ধতিতে হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘রোডম্যাপে কী কী থাকবে, ওটা রোডম্যাপই বলে দেবে। অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, আইনবিধি সংশোধন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেয়া হবে। তবে এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই রোডম্যাপে ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে সরঞ্জাম ক্রয়ের মতো নির্বাচনের প্রতিটি ধাপের সময়সূচি উল্লেখ থাকবে। এছাড়া অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ এবং আইন ও বিধিমালা সংশোধনের তথ্যও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করা হয়। গত ৬ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ইসিকে চিঠি পাঠিয়ে ২০২৬ সালের রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হয়। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধিতে নতুন কিছু বিধি সংযোজন করেছে ইসি। বিধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার নির্বাচনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটগ্রহণের দিন ড্রোন বা কোয়াডকপ্টারের মতো যন্ত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে পারে এমন ডিপফেক, মিথ্যা ও পক্ষপাতমূলক তথ্য, অপপ্রচার বা মানহানিকর বিষয়বস্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। এমনকি প্রার্থী বা দলীয় নেতাদের চেহারা বিকৃত করে কোনো ধরনের প্রচার চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা বা ডিজিটাল আইনে মামলার বিধান রাখা হয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মতামতের ভিত্তিতে আচরণ বিধিমালায় এসব নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির মতামত নিয়ে এ আচরণ বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছে ইসি। গত ২৯ জুন নির্বাচন কমিশন যে খসড়া আচরণ বিধিমালা প্রকাশ করেছিল, সেখানে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ওই খসড়ায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, এ বিষয়ে আরও আলোচনা বাকি আছে। আলোচনার পর সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত ৩১৮টি আবেদন পেয়েছে কমিশন, যা যাচাই-বাছাই চলছে।