গত জুন মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলায়। মোট সহিংসতার ৬৩.৭৪% যৌন ও প্রাণঘাতী ঘটনা। যদিও গত এই সংখ্যা মে মাসের চেয়ে ৬৬টি কম রয়েছে।
১৬টি জাতীয় ও চট্টগ্রামভিত্তিক ৫টি আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ভাওট্র্যাকার। তারা জুন মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ২৫১টি ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে।
সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার
১৮ বছরের কম বয়সী নারী ও কন্যাশিশু
জুন মাসে সংঘটিত ২৫১টি অপরাধের মধ্যে ১২০টি ঘটনায় মামলা হয়েছে
ভাওট্র্যাকারের তথ্য মতে, মে মাসের মতো জুন মাসেও সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সী নারী ও কন্যাশিশু (৮৬ জন)। আগের মাসের তুলনায় এ মাসে দ্বিগুণ সংখ্যক ১২-১৫ বছর বয়সী শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে।
সহিংসতা সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলায়। গত মে মাসেও এই দুই জেলায় নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেশি ছিল। এর পরে রয়েছে বগুড়া। এছাড়া, তালিকায় রয়েছে পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী ও সিলেট।
লক্ষ্মীপুরে আটটি, গাজীপুর, মৌলভীবাজার ও রাজশাহীতে সাতটি, যশোর ও নারায়ণগঞ্জ ছয়টি করে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বরিশাল, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, খুলনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীও সুনামগঞ্জ প্রতিটি জেলায় পাঁচটি করে ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, পিরোজপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল এ জেলাগুলোর প্রতিটিতে চারটি করে ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চাঁদপুর, ঝিনাইদাহ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, নেত্রকোণাও পাবনা এসব জেলাগুলোতে ৩টি করে ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। অন্যান্য জেলাতে ১-২টি করে সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
ধর্ষণ কেন্দ্রিক সহিংসতা জুন মাসে ঘটেছে ৭৬টি। এ মাসেও এ ধরনের অপরাধের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এ মাসে তালিকায় যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ ও সিলেট।বান্দরবান, বগুড়া, যশোর, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, রাজবাড়ি ও শেরপুর-এ ১২টি জেলায় দুইটি করে ধর্ষণ কেন্দ্রিক সহিংসতা ঘটনা পাওয়া গেছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। দেশের ২০টি জেলায় কমপক্ষে একটি করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া গত জুন মাসে ৩২ জন নারীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার ঘটনায় ঢাকা জেলায় সর্বাধিক চারটি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলায় ৩টি, এবং চাঁদপুর, গাইবান্ধা, গাজীপুর, মাদারীপুর, নাটোর ও টাঙ্গাইল, এই ৬টি জেলায় ২টি করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর ১৩টি জেলায় একজন করে নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে খবরে জানা গেছে।
গত জুন মাসে মোট ২০টি শারীরিক সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড হয়েছে ১৬ জেলায়। বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৩টি এবং বরিশাল ও ঢাকা জেলায় দু’টি করে ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, ঝালকাঠি, খুলনা, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, নওগাঁ, নোয়াখালী, পিরোজপুরও সুনামগঞ্জে একটি করে শারীরিক সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
জুন মাসে যৌন হয়রানির মোট ৮টি ঘটনার খবর উঠে এসে সংবাদমাধ্যমে। ঘটনাগুলো ঘটেছে বগুড়া, ঢাকা, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, নেত্রকোণা, নোয়াখালী ও পিরোজপুর জেলায়।
এসব সহিংসতায় আইনগত পদক্ষেপে দেখা যায়, জুন মাসে সংঘটিত ২৫১টি অপরাধের মধ্যে ১২০টি ঘটনায় মামলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ১২টিতে আইনি পদক্ষেপ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ৬৪টি ঘটনায় বলা হয়েছে ‘তদন্ত চলমান’ এবং ৪৫টি ঘটনায় বলা হয়েছে আইনি পদক্ষেপ ‘প্রক্রিয়াধীন’। এছাড়া ১০টি ঘটনায় মামলা হয়নি বলে উল্লেখ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
গত জুন মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলায়। মোট সহিংসতার ৬৩.৭৪% যৌন ও প্রাণঘাতী ঘটনা। যদিও গত এই সংখ্যা মে মাসের চেয়ে ৬৬টি কম রয়েছে।
১৬টি জাতীয় ও চট্টগ্রামভিত্তিক ৫টি আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ভাওট্র্যাকার। তারা জুন মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ২৫১টি ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে।
সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার
১৮ বছরের কম বয়সী নারী ও কন্যাশিশু
জুন মাসে সংঘটিত ২৫১টি অপরাধের মধ্যে ১২০টি ঘটনায় মামলা হয়েছে
ভাওট্র্যাকারের তথ্য মতে, মে মাসের মতো জুন মাসেও সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সী নারী ও কন্যাশিশু (৮৬ জন)। আগের মাসের তুলনায় এ মাসে দ্বিগুণ সংখ্যক ১২-১৫ বছর বয়সী শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে।
সহিংসতা সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলায়। গত মে মাসেও এই দুই জেলায় নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেশি ছিল। এর পরে রয়েছে বগুড়া। এছাড়া, তালিকায় রয়েছে পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী ও সিলেট।
লক্ষ্মীপুরে আটটি, গাজীপুর, মৌলভীবাজার ও রাজশাহীতে সাতটি, যশোর ও নারায়ণগঞ্জ ছয়টি করে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বরিশাল, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, খুলনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীও সুনামগঞ্জ প্রতিটি জেলায় পাঁচটি করে ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, পিরোজপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল এ জেলাগুলোর প্রতিটিতে চারটি করে ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চাঁদপুর, ঝিনাইদাহ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, নেত্রকোণাও পাবনা এসব জেলাগুলোতে ৩টি করে ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। অন্যান্য জেলাতে ১-২টি করে সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
ধর্ষণ কেন্দ্রিক সহিংসতা জুন মাসে ঘটেছে ৭৬টি। এ মাসেও এ ধরনের অপরাধের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এ মাসে তালিকায় যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ ও সিলেট।বান্দরবান, বগুড়া, যশোর, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, রাজবাড়ি ও শেরপুর-এ ১২টি জেলায় দুইটি করে ধর্ষণ কেন্দ্রিক সহিংসতা ঘটনা পাওয়া গেছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। দেশের ২০টি জেলায় কমপক্ষে একটি করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া গত জুন মাসে ৩২ জন নারীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার ঘটনায় ঢাকা জেলায় সর্বাধিক চারটি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলায় ৩টি, এবং চাঁদপুর, গাইবান্ধা, গাজীপুর, মাদারীপুর, নাটোর ও টাঙ্গাইল, এই ৬টি জেলায় ২টি করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর ১৩টি জেলায় একজন করে নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে খবরে জানা গেছে।
গত জুন মাসে মোট ২০টি শারীরিক সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড হয়েছে ১৬ জেলায়। বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৩টি এবং বরিশাল ও ঢাকা জেলায় দু’টি করে ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, ঝালকাঠি, খুলনা, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, নওগাঁ, নোয়াখালী, পিরোজপুরও সুনামগঞ্জে একটি করে শারীরিক সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
জুন মাসে যৌন হয়রানির মোট ৮টি ঘটনার খবর উঠে এসে সংবাদমাধ্যমে। ঘটনাগুলো ঘটেছে বগুড়া, ঢাকা, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, নেত্রকোণা, নোয়াখালী ও পিরোজপুর জেলায়।
এসব সহিংসতায় আইনগত পদক্ষেপে দেখা যায়, জুন মাসে সংঘটিত ২৫১টি অপরাধের মধ্যে ১২০টি ঘটনায় মামলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ১২টিতে আইনি পদক্ষেপ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ৬৪টি ঘটনায় বলা হয়েছে ‘তদন্ত চলমান’ এবং ৪৫টি ঘটনায় বলা হয়েছে আইনি পদক্ষেপ ‘প্রক্রিয়াধীন’। এছাড়া ১০টি ঘটনায় মামলা হয়নি বলে উল্লেখ রয়েছে।