ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজার রায় ঘোষণা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শুনেই পাপিয়া আদালতের ভেতরে কাঁদতে থাকেন। এ সময় কাঠগড়া থেকে নেমে পাপিয়ার কাছে এগিয়ে আসেন তার স্বামী মফিজুর।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগের সাজা দেয়া হয়েছে। এদিন জামিনে থাকা পাপিয়া আদালতে হাজির হন। সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলাটি রায়ের পর্যায় থেকে অধিকতর শুনানির জন্য আবেদন করেন। পাপিয়া ও সুমনের তরফে তাদের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া শুনানি করেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে শুনানি চলে ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত।
রায়ের পর পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত তাদের যে সাজা দিয়েছেন, সেই মেয়াদের সাজা তারা আগেই শেষ করেছেন। পাপিয়াকে কারাগারে না পাঠিয়ে আমরা তার মুক্তি চেয়ে আবেদন করি। পরে আদালত বিশেষ বিবেচনায় আমাদের আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন। তাকে কারাগারে যেতে হয়নি। আদালতের দেয়া সাজা তারা ইতোমধ্যেই ভোগ করে ফেলেছেন। আমরা রায়ের পর্যবেক্ষণ দেখে আপিলের সিদ্ধান্ত নেব।’
আসামিপক্ষের আবেদনে পাপিয়াকে বিশেষ বিবেচনায় কারাগারে না পাঠানোর আদেশ দেয় বিচারক। তবে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় সুমনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১০ বছর। আদালত তাদের সাড়ে তিন বছরের সাজা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপিল করা হবে।’
সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পরের বছরের মার্চ মাসে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের এই উপ-পরিচালক।
একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
এছাড়াও ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও সুমনের ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। আর অর্থ পাচারের মামলায় গত ২৫ মে পাপিয়ার চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজার রায় ঘোষণা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শুনেই পাপিয়া আদালতের ভেতরে কাঁদতে থাকেন। এ সময় কাঠগড়া থেকে নেমে পাপিয়ার কাছে এগিয়ে আসেন তার স্বামী মফিজুর।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগের সাজা দেয়া হয়েছে। এদিন জামিনে থাকা পাপিয়া আদালতে হাজির হন। সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলাটি রায়ের পর্যায় থেকে অধিকতর শুনানির জন্য আবেদন করেন। পাপিয়া ও সুমনের তরফে তাদের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া শুনানি করেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে শুনানি চলে ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত।
রায়ের পর পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত তাদের যে সাজা দিয়েছেন, সেই মেয়াদের সাজা তারা আগেই শেষ করেছেন। পাপিয়াকে কারাগারে না পাঠিয়ে আমরা তার মুক্তি চেয়ে আবেদন করি। পরে আদালত বিশেষ বিবেচনায় আমাদের আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন। তাকে কারাগারে যেতে হয়নি। আদালতের দেয়া সাজা তারা ইতোমধ্যেই ভোগ করে ফেলেছেন। আমরা রায়ের পর্যবেক্ষণ দেখে আপিলের সিদ্ধান্ত নেব।’
আসামিপক্ষের আবেদনে পাপিয়াকে বিশেষ বিবেচনায় কারাগারে না পাঠানোর আদেশ দেয় বিচারক। তবে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় সুমনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১০ বছর। আদালত তাদের সাড়ে তিন বছরের সাজা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপিল করা হবে।’
সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পরের বছরের মার্চ মাসে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের এই উপ-পরিচালক।
একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
এছাড়াও ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও সুমনের ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। আর অর্থ পাচারের মামলায় গত ২৫ মে পাপিয়ার চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।