বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন -সংগৃহীত
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এ সময় তারা পারস্পারিক কুশলাদি বিনিময় করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসনসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে প্রধান বিচারপতির হেয়ার রোডের বাসভবনে এ সাক্ষাৎ হয় বলে সুপ্রিম কোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসন সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি গত এক বছরে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। দেশের মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় জ্যাকবসন বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। এ সময় প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে দেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। বিশেষ করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠায় প্রধান বিচারপতি পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করেন। এছাড়া, তিনি দেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন সমকালকে বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ, এটা পূর্বেই নির্ধারিত ছিল। অন্য কিছু নয়।
বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সমকালকে বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই পারেন। আগে কখনও প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অহরহ দেখা করতেন না, সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেন না, মিডিয়ার সামনেও যেতেন না। সেই সিস্টেম তো নষ্ট করে দিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। এটা ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লাগবে।
সাক্ষাতে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রধান বিচারপতির এক বছর পূর্তিতে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধান বিচারপতির নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে, প্রধান বিচারপতির দেওয়া একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবাদানে স্বচ্ছতা আনতে ১২ দফা নির্দেশনা এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে কার্যকরি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি আশা করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তার দেশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন -সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এ সময় তারা পারস্পারিক কুশলাদি বিনিময় করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসনসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে প্রধান বিচারপতির হেয়ার রোডের বাসভবনে এ সাক্ষাৎ হয় বলে সুপ্রিম কোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসন সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি গত এক বছরে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। দেশের মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় জ্যাকবসন বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। এ সময় প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে দেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। বিশেষ করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠায় প্রধান বিচারপতি পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করেন। এছাড়া, তিনি দেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন সমকালকে বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ, এটা পূর্বেই নির্ধারিত ছিল। অন্য কিছু নয়।
বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সমকালকে বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই পারেন। আগে কখনও প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অহরহ দেখা করতেন না, সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেন না, মিডিয়ার সামনেও যেতেন না। সেই সিস্টেম তো নষ্ট করে দিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। এটা ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লাগবে।
সাক্ষাতে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রধান বিচারপতির এক বছর পূর্তিতে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধান বিচারপতির নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে, প্রধান বিচারপতির দেওয়া একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবাদানে স্বচ্ছতা আনতে ১২ দফা নির্দেশনা এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে কার্যকরি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি আশা করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তার দেশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।