গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনার দিন ওই এলাকায় গিয়েছিলেন কি না, বিষয়টি ‘মনে নেই’ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার।
সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর ভিডিও বার্তায় এ ঘটনায় নাম আসা নিয়ে এসব কথা বলেছেন আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন উপদেষ্টা আসিফ।
ওই ভিডিওতে জানে আলম বলেছেন, যেদিন সাবেক সংসদ সদস্যের বাসা থেকে তারা চাঁদার টাকা নিয়েছিলেন, সেদিন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে গুলশানের একটি জায়গায় তার ‘সাক্ষাৎ হয়েছিল’। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেছেন, ওই দিন তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন কি না, ‘বিষয়টি তার মনে নেই’।
তবে তিনি, মাঝেমধ্যে রাতে তার কাজ শেষ হতে ‘ভোর হয়ে যায়’। সে সময় বাসায় খাওয়া-দাওয়া দেওয়ার মতো কেউ না থাকায় তিনি বেশির ভাগ সময় ৩০০ ফুটের নীলা মার্কেটে যান হাঁসের মাংস খেতে। আর বেশি ভোর হয়ে গেলে নীলা মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়, তখন তিনি যান গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে।
চাঁদাবাজির ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া হেলমেট পরা ব্যক্তি আসিফ মাহমুদ কি না, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমাকে বলে দাবি করা হয়, এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য।’
চাঁদাবাজির ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এখনো কেউ এ রকম কোনো প্রমাণ দিতে পেরেছে আমার সম্পৃক্ততা আছে। বরং আরও যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, এই সাক্ষাৎকারটা একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ এসেছে, এটাও অত্যন্ত গুরুতর একটা অভিযোগ। এবং সেটা পরিবারের দিক থেকে এসেছে। যথেষ্ট রিলায়েবলও (বিশ্বাসযোগ্য) এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে। তো এর সাথে আমার সংশ্লিষ্টতার যে কথা বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানে আলম অপুর স্ত্রী আনিসা বলেন, ‘জুলাইয়ের ৩১ তারিখ রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দী করে যে স্বীকারোক্তি নিল, তা কারা? এবং গোপীবাগ কার বাসা? গোপীবাগ কি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বাসা না?’
আনিসা অভিযোগ করেন, ‘ইশরাক’ অপুকে ‘জোর করে তুলে নিয়ে নিজের বাসায় ভিডিও করতে বাধ্য করেছেন’। তিনি আরও বলেন, ‘অপুকে তো বিএনপি নেতা ইশরাকের বাসার সামনে থেকেই ধরে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো কিছু ভিডিও-ছবি সবই ইশরাকের বাসার ভিডিও।’
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন জানে আলম অপু।
৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে তিনি ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন। জানে আলম অপু বলেন, ‘গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকার ব্যাগ নেওয়া যে ছেলেটি, সেটা আমি। আপনারা ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছেন যে সমন্বয়কেরা চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। গত বছর যে সমন্বয়ক মহানায়ক ছিল, তারা এবার চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে।’
জানে আলম অপু আরও বলেন, ‘আমার কিছু প্রশ্ন আছে। ওই দিন ভোর ৫টার সময় জোনের ডিসি-এসিকে জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশসহ শাম্মির (সাবেক সংসদ সদস্য) বাসায় আমরা অভিযান চালাই। সেই অভিযানের আগে গুলশানের কোনো স্থানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল কি না, সেটা কি জানেন?’
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনার দিন ওই এলাকায় গিয়েছিলেন কি না, বিষয়টি ‘মনে নেই’ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার।
সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর ভিডিও বার্তায় এ ঘটনায় নাম আসা নিয়ে এসব কথা বলেছেন আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন উপদেষ্টা আসিফ।
ওই ভিডিওতে জানে আলম বলেছেন, যেদিন সাবেক সংসদ সদস্যের বাসা থেকে তারা চাঁদার টাকা নিয়েছিলেন, সেদিন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে গুলশানের একটি জায়গায় তার ‘সাক্ষাৎ হয়েছিল’। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেছেন, ওই দিন তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন কি না, ‘বিষয়টি তার মনে নেই’।
তবে তিনি, মাঝেমধ্যে রাতে তার কাজ শেষ হতে ‘ভোর হয়ে যায়’। সে সময় বাসায় খাওয়া-দাওয়া দেওয়ার মতো কেউ না থাকায় তিনি বেশির ভাগ সময় ৩০০ ফুটের নীলা মার্কেটে যান হাঁসের মাংস খেতে। আর বেশি ভোর হয়ে গেলে নীলা মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়, তখন তিনি যান গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে।
চাঁদাবাজির ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া হেলমেট পরা ব্যক্তি আসিফ মাহমুদ কি না, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমাকে বলে দাবি করা হয়, এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য।’
চাঁদাবাজির ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এখনো কেউ এ রকম কোনো প্রমাণ দিতে পেরেছে আমার সম্পৃক্ততা আছে। বরং আরও যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, এই সাক্ষাৎকারটা একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ এসেছে, এটাও অত্যন্ত গুরুতর একটা অভিযোগ। এবং সেটা পরিবারের দিক থেকে এসেছে। যথেষ্ট রিলায়েবলও (বিশ্বাসযোগ্য) এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে। তো এর সাথে আমার সংশ্লিষ্টতার যে কথা বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানে আলম অপুর স্ত্রী আনিসা বলেন, ‘জুলাইয়ের ৩১ তারিখ রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দী করে যে স্বীকারোক্তি নিল, তা কারা? এবং গোপীবাগ কার বাসা? গোপীবাগ কি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বাসা না?’
আনিসা অভিযোগ করেন, ‘ইশরাক’ অপুকে ‘জোর করে তুলে নিয়ে নিজের বাসায় ভিডিও করতে বাধ্য করেছেন’। তিনি আরও বলেন, ‘অপুকে তো বিএনপি নেতা ইশরাকের বাসার সামনে থেকেই ধরে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো কিছু ভিডিও-ছবি সবই ইশরাকের বাসার ভিডিও।’
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন জানে আলম অপু।
৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে তিনি ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন। জানে আলম অপু বলেন, ‘গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকার ব্যাগ নেওয়া যে ছেলেটি, সেটা আমি। আপনারা ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছেন যে সমন্বয়কেরা চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। গত বছর যে সমন্বয়ক মহানায়ক ছিল, তারা এবার চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে।’
জানে আলম অপু আরও বলেন, ‘আমার কিছু প্রশ্ন আছে। ওই দিন ভোর ৫টার সময় জোনের ডিসি-এসিকে জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশসহ শাম্মির (সাবেক সংসদ সদস্য) বাসায় আমরা অভিযান চালাই। সেই অভিযানের আগে গুলশানের কোনো স্থানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল কি না, সেটা কি জানেন?’