ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইমাম আলী। ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন সেজন্য টাকাও জমিয়েছিলেন। কিন্তু তার ওই জমানো টাকায় আর ওমরা করতে যেতে পারছেন না। কারণ টিকেটের দাম বেড়ে গেছে। তাই এখন তার যেতে আরও ৩০ হাজার টাকা বেশি লাগবে। এ কারণে তিনি এ মৌসুমে ওমরা পালন করতে যাবেন না। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার হাতে আর অতিরিক্ত ট্যাকা নেই। আর অতিরিক্ত ট্যাকা দার-দেনা করে আল্লাহর ঘর জিয়ারতে যাওয়া সম্ভব না। এখন ধান নাগানোর মৌসুম ভালোভাবে আবাদ করি, ইনশাআল্লাহ ধান কাটার পর বেশি ট্যাকা নাগলেও যামো (যাবো) মক্কা শরিফ।’
‘সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সেল সিলিং নির্ধারণ করে দেয় তবে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমান কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত দামে টিকেট বিক্রি করতে পারবে না’: মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব
‘সর্বনিম্ন রেইটে পাওয়া সালাম এয়ারের রাউন্ড টিকেট মূল্য ৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে এটা কল্পনাতেও আসে না’: ইমরুল কায়েস পরাগ
অন্যদিকে, কুমিল্লার শরিফুল ইসলাম একটি ট্যুর এজেন্সিকে ওমরার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন কিন্তু সেই এজেন্সি টাকা রিফান্ড (ফেরত দিয়েছে) করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘আমরা যে টাকা দিয়েছিলাম তার চেয়ে আরও অতিরিক্ত ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে তারা ওমরা প্যাকেজ করতে পারবে না। এজন্য আমাদের গ্রুপটা বাতিল করেছে।’
শুধু ইমাম আলী বা শরিফুল ইসলাম নয়, অনেকেই ওমরা ও বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল সেই অতিরিক্ত টাকার সংস্থান না হওয়ায় তারা তাদের সফর বাতিল করেছেন। তারা বলছেন, মূলত এয়ারলাইন্সের টিকেটের দাম বেশি হওয়ার কারণেই তারা এই সমস্যায় পড়েছেন।
এই খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী ও শ্রমিক যাত্রীদের গলা কাটছে কিছু ট্রাভেল এজেন্সি ও এয়ারলাইন্স জিএসএ। হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের মুনাফা। নির্বিকার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সিন্ডিকেটদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ। বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো রুটের বিশেষ করে সৌদি আরবের টিকেট যেন সোনার হরিণ। রিয়াদ, দাম্মাম জেদ্দা মদিনা কোনো রুটেই টিকেট ৮০ হাজারের নিচে মিলছে না। অথচ গত দুই সপ্তাহ আগেও এসব টিকেট ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। গত এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এসব টিকেটের দাম নেমে এসেছিল ৩০ হাজারের কোটায়।
বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর ও হজ এজেন্সির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুইমাস আগে যে টিকেট ৭০ হাজার টাকা ছিল এখন সে টিকেট ৮৫ হাজার টাকা। যে টিকেট ৬৫ হাজার ছিল সে টিকেট এখন ৭৫ বা ৮০ হাজার টাকা। এজন্য তারা অনেক ওমরা প্যাকেজ ও বিভিন্ন দেশের ট্যুর বাতিল করেছ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তারা আবার চালু করার কথা বলেছেন।
গার্ডিয়ান হজ অ্যান্ড উমরাহ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার ইমরুল কায়েস পরাগ সংবাদকে বলেন, ‘আমরা টিকেটের স্বাভাবিক প্রাইস হিসাব করে একটা প্যাকেজ ডিজাইন করে এখন বেশি টাকায় সিন্ডিকেটেড রেইটে টিকেট করে ভর্তুকি দিয়ে কাফেলা পরিচালনা করছি; শুধু হাজীদের দেয়া ওয়াদা রক্ষা করতে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সর্বনিম্ন রেইটে পাওয়া সালাম এয়ারের রাউন্ড টিকেট মূল্য ৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে এটা কল্পনাতেও আসে না।’
আটাবের সাবেক সভাপতি এস. এন. মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব সংবাদকে বলেছেন, ‘সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সেল সিলিং নির্ধারণ করে দেয় তবে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমান কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত দামে টিকেট বিক্রি করতে পারবে না।’
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘এ বিষয়ে ফ্লাইট সেইফটি যিনি দেখেন তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।’
শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কুয়েতগামী যাত্রীরা টিকেট কিনেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার টাকায়। একইভাবে রিয়াদের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তার দামও প্রায় ৯০ হাজার টাকা। বিশেষ কিছু এজেন্সির কাছে গ্রুপ আকারে যাত্রীর নাম ছাড়া এসব টিকেট ব্লক করা আছে। অথচ সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট কপি ছাড়া বুকিং করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেছিল। এসব এজেন্সি টিকেটগুলো ৯০ হাজারের থেকে কিছু কমে বিক্রি করছে, যার ফলে তাদের ব্যবসা খুব জমজমাট।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্বে যারা নাম ছাড়া টিকেট মজুদ করতো তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এয়ারলাইন্সের টিকেট অগ্রিম নাম ছাড়া ব্লক করে তারা মজুদ করেছে। যে কারণে বর্তমানে টিকেটের এই আকাশচুম্বী মূল্য। নাম ছাড়া এসব বুকিং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। এয়ারলাইন্সের জিএসএগুলো তাদের লাভের একটি অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা করে অগ্রিম টিকেট ব্লক করে এবং নিম্ন মূল্যের টিকেটগুলো ব্লক করে তাদের পছন্দের কয়েকটি সিন্ডিকেট এজেন্সির মাধ্যমে বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার বাড়তি দামে বিক্রি করে।
তারা আরও অভিযোগ করছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি গঠিত তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আজ পর্যন্ত কোনো সংবাদমাধ্যম জানতে পারেনি। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন এবং এর কার্যকারিতা কী- তা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিমান মন্ত্রণালয় আকাশপথে যাত্রীসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের কোনো অ্যাকশন দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি এজেন্সি ও জিএসএকে শোকজ দিয়ে তারা দায়সারা গোছের কাজ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা সংবাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইমাম আলী। ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন সেজন্য টাকাও জমিয়েছিলেন। কিন্তু তার ওই জমানো টাকায় আর ওমরা করতে যেতে পারছেন না। কারণ টিকেটের দাম বেড়ে গেছে। তাই এখন তার যেতে আরও ৩০ হাজার টাকা বেশি লাগবে। এ কারণে তিনি এ মৌসুমে ওমরা পালন করতে যাবেন না। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার হাতে আর অতিরিক্ত ট্যাকা নেই। আর অতিরিক্ত ট্যাকা দার-দেনা করে আল্লাহর ঘর জিয়ারতে যাওয়া সম্ভব না। এখন ধান নাগানোর মৌসুম ভালোভাবে আবাদ করি, ইনশাআল্লাহ ধান কাটার পর বেশি ট্যাকা নাগলেও যামো (যাবো) মক্কা শরিফ।’
‘সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সেল সিলিং নির্ধারণ করে দেয় তবে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমান কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত দামে টিকেট বিক্রি করতে পারবে না’: মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব
‘সর্বনিম্ন রেইটে পাওয়া সালাম এয়ারের রাউন্ড টিকেট মূল্য ৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে এটা কল্পনাতেও আসে না’: ইমরুল কায়েস পরাগ
অন্যদিকে, কুমিল্লার শরিফুল ইসলাম একটি ট্যুর এজেন্সিকে ওমরার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন কিন্তু সেই এজেন্সি টাকা রিফান্ড (ফেরত দিয়েছে) করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘আমরা যে টাকা দিয়েছিলাম তার চেয়ে আরও অতিরিক্ত ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে তারা ওমরা প্যাকেজ করতে পারবে না। এজন্য আমাদের গ্রুপটা বাতিল করেছে।’
শুধু ইমাম আলী বা শরিফুল ইসলাম নয়, অনেকেই ওমরা ও বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল সেই অতিরিক্ত টাকার সংস্থান না হওয়ায় তারা তাদের সফর বাতিল করেছেন। তারা বলছেন, মূলত এয়ারলাইন্সের টিকেটের দাম বেশি হওয়ার কারণেই তারা এই সমস্যায় পড়েছেন।
এই খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী ও শ্রমিক যাত্রীদের গলা কাটছে কিছু ট্রাভেল এজেন্সি ও এয়ারলাইন্স জিএসএ। হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের মুনাফা। নির্বিকার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সিন্ডিকেটদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ। বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো রুটের বিশেষ করে সৌদি আরবের টিকেট যেন সোনার হরিণ। রিয়াদ, দাম্মাম জেদ্দা মদিনা কোনো রুটেই টিকেট ৮০ হাজারের নিচে মিলছে না। অথচ গত দুই সপ্তাহ আগেও এসব টিকেট ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। গত এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এসব টিকেটের দাম নেমে এসেছিল ৩০ হাজারের কোটায়।
বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর ও হজ এজেন্সির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুইমাস আগে যে টিকেট ৭০ হাজার টাকা ছিল এখন সে টিকেট ৮৫ হাজার টাকা। যে টিকেট ৬৫ হাজার ছিল সে টিকেট এখন ৭৫ বা ৮০ হাজার টাকা। এজন্য তারা অনেক ওমরা প্যাকেজ ও বিভিন্ন দেশের ট্যুর বাতিল করেছ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তারা আবার চালু করার কথা বলেছেন।
গার্ডিয়ান হজ অ্যান্ড উমরাহ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার ইমরুল কায়েস পরাগ সংবাদকে বলেন, ‘আমরা টিকেটের স্বাভাবিক প্রাইস হিসাব করে একটা প্যাকেজ ডিজাইন করে এখন বেশি টাকায় সিন্ডিকেটেড রেইটে টিকেট করে ভর্তুকি দিয়ে কাফেলা পরিচালনা করছি; শুধু হাজীদের দেয়া ওয়াদা রক্ষা করতে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সর্বনিম্ন রেইটে পাওয়া সালাম এয়ারের রাউন্ড টিকেট মূল্য ৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে এটা কল্পনাতেও আসে না।’
আটাবের সাবেক সভাপতি এস. এন. মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব সংবাদকে বলেছেন, ‘সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সেল সিলিং নির্ধারণ করে দেয় তবে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমান কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত দামে টিকেট বিক্রি করতে পারবে না।’
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘এ বিষয়ে ফ্লাইট সেইফটি যিনি দেখেন তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।’
শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কুয়েতগামী যাত্রীরা টিকেট কিনেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার টাকায়। একইভাবে রিয়াদের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তার দামও প্রায় ৯০ হাজার টাকা। বিশেষ কিছু এজেন্সির কাছে গ্রুপ আকারে যাত্রীর নাম ছাড়া এসব টিকেট ব্লক করা আছে। অথচ সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট কপি ছাড়া বুকিং করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেছিল। এসব এজেন্সি টিকেটগুলো ৯০ হাজারের থেকে কিছু কমে বিক্রি করছে, যার ফলে তাদের ব্যবসা খুব জমজমাট।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্বে যারা নাম ছাড়া টিকেট মজুদ করতো তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এয়ারলাইন্সের টিকেট অগ্রিম নাম ছাড়া ব্লক করে তারা মজুদ করেছে। যে কারণে বর্তমানে টিকেটের এই আকাশচুম্বী মূল্য। নাম ছাড়া এসব বুকিং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। এয়ারলাইন্সের জিএসএগুলো তাদের লাভের একটি অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা করে অগ্রিম টিকেট ব্লক করে এবং নিম্ন মূল্যের টিকেটগুলো ব্লক করে তাদের পছন্দের কয়েকটি সিন্ডিকেট এজেন্সির মাধ্যমে বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার বাড়তি দামে বিক্রি করে।
তারা আরও অভিযোগ করছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি গঠিত তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আজ পর্যন্ত কোনো সংবাদমাধ্যম জানতে পারেনি। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন এবং এর কার্যকারিতা কী- তা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিমান মন্ত্রণালয় আকাশপথে যাত্রীসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের কোনো অ্যাকশন দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি এজেন্সি ও জিএসএকে শোকজ দিয়ে তারা দায়সারা গোছের কাজ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা সংবাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।