ক্রুদ্ধ হাতির আক্রমণে আহতদের চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়েছে -সংবাদ
বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে বন্যহাতী আহত হয়েছে। আহত হাতিকে চিকিৎসা করতে গিয়ে ক্রুদ্ধ হাতির আক্রমণে ২ চিকিৎসকসহ ৩ জন আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়েছে।
জরুরি হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
দুর্গম পাহাড়ে খাবার খুঁজতে বের হয়ে পায়ে আঘাত পায়: বন মন্ত্রণালয়
স্থানীয়দের উত্তেজনার কারণে এই দুর্ঘটনা: বন বিভাগ
শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তর থেকে সংবাদকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বন বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ক্রুদ্ধ হাতি একজন ভেটেরিনারি চিকিৎসককে আটকে বুকে আঘাত ও অন্যজনকে লাথি মারে। রামুর স্থানীয় লোকজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও আহত হাতিকে উত্তেজিত করেছে। এতে বন বিভাগ ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন বন কর্মকর্তা।
বিজিবির সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী রাজারকুল থোয়াইংগ্যকাটা এলাকার বালুচড়া দক্ষিণের পাহাড়ে মাইন বিস্ফোরণে একটি বন্যহাতি আহত হয়।
খবর পেয়ে ভেটেরিনারি চিকিৎসকদল হাতিটিকে বাঁচাতে চিকিৎসা দিতে গেলে হাতিটির আক্রমণে তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে কক্সবাজার ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. হাতেম সাজ্জাত, মো. জুলকারনাইন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের
কক্সবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব আতিকুর রহমান।
আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)এর হেলিকপ্টারযোগে রামু ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে সংবাদকে জানান, রামুর দুর্গম সীমান্ত দিয়ে হাতির পাল (প্রায় ২০ থেকে ৩০টি) খাবার ও পানির সন্ধানে ভোরে দুর্গম পাহাড়ে বের হয়। হাতির পালের দলনেতার নেতৃত্বে একটি দল মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে চলাচল করার সময় সামনে থাকা একটি হাতি পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে সামনের একটি পায়ে আঘাত হয়। হাতিটি দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে আহত হলেও সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জায়গায় লুটিয়ে পড়েছে। এমন খবর জানার পর মন্ত্রণালয় ও কক্সবাজার এবং ঢাকা থেকে ২ জন ভেটেরিনারি চিকিৎসক সেখানে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে হাতির চিকিৎসা শুরুর আগেই ক্রুদ্ধ ও আক্রান্ত হাতির আক্রমণে তারা নিজেরাই আহত হন। হাতিটিতে অচেতন (অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন) দেয়া হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি।
বন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে, হাতির পাল পরিবার নিয়ে খাবারের খোঁজে ভোরে বের হয়। তারা গ্রুপ বেঁধে থাকে। তাদের মধ্যে একাধিক দলনেতা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ডিএফও আবু নাসের মো. ইয়াসিন নেওয়াজ শনিবার রাতে সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, ৩-৪ দিন আগে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে হাতিটি মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে। এরপর হাতিটি দুর্গম বনে চলাচলের সময় স্থানীয় লোকজন হাতিটিকে রামুতে দেখতে পায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হাতিটিকে খোঁড়াইতে দেখছে। খুঁড়িয়ে হাঁটাহাঁটির সময় রামুর স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে আলোচনা করে। পরবর্তীতে এ খবর পেয়ে বন বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা এলাকায় গিয়ে হাতিটির খোঁজখবর নেন।
আহত হাতির চিকিৎসার জন্য ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা গত ২-৩ দিন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুযোগ খুঁজে হাতিটির চিকিৎসা করতে যান। কিন্তু না পেরে তারা এলাকায় অবস্থান নেন। তখন স্থানীয় লোকজন ভেটেরিনারি ডাক্তারদের নিয়ে নানা মন্তব্য করেন।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তাররা বনে আহত বন্যহাতিটিকে দেখতে পেয়ে দূর থেকে ব্যথানাশক ইনঞ্জেকশন কিংবা অচেতন করতে বন্দুক তাক করলে আহত ক্রুদ্ধ হাতি একজন চিকিৎসকের ওপর প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার বুক চেপে ধরে। তখন অন্য আরেকজন ছুটে গেলে তাকে পা দিয়ে লাথি মারে। এতে তারা ২ জনই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের নিয়ে নানা ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে দুইজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আহত হাতির চিকিৎসা করতে গিয়ে তারা নিজেরাই এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। তাদের মধ্যে ভেটেরিনারি অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমানের বুকে আঘাত ও ভেটেরিনারি সার্জন জুলকারনাইনকে ক্রুদ্ধ হাতি লাথি মেরেছে।
ক্রুদ্ধ হাতির আক্রমণে আহতদের চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়েছে -সংবাদ
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে বন্যহাতী আহত হয়েছে। আহত হাতিকে চিকিৎসা করতে গিয়ে ক্রুদ্ধ হাতির আক্রমণে ২ চিকিৎসকসহ ৩ জন আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়েছে।
জরুরি হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
দুর্গম পাহাড়ে খাবার খুঁজতে বের হয়ে পায়ে আঘাত পায়: বন মন্ত্রণালয়
স্থানীয়দের উত্তেজনার কারণে এই দুর্ঘটনা: বন বিভাগ
শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তর থেকে সংবাদকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বন বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ক্রুদ্ধ হাতি একজন ভেটেরিনারি চিকিৎসককে আটকে বুকে আঘাত ও অন্যজনকে লাথি মারে। রামুর স্থানীয় লোকজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও আহত হাতিকে উত্তেজিত করেছে। এতে বন বিভাগ ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন বন কর্মকর্তা।
বিজিবির সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী রাজারকুল থোয়াইংগ্যকাটা এলাকার বালুচড়া দক্ষিণের পাহাড়ে মাইন বিস্ফোরণে একটি বন্যহাতি আহত হয়।
খবর পেয়ে ভেটেরিনারি চিকিৎসকদল হাতিটিকে বাঁচাতে চিকিৎসা দিতে গেলে হাতিটির আক্রমণে তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে কক্সবাজার ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. হাতেম সাজ্জাত, মো. জুলকারনাইন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের
কক্সবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব আতিকুর রহমান।
আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)এর হেলিকপ্টারযোগে রামু ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে সংবাদকে জানান, রামুর দুর্গম সীমান্ত দিয়ে হাতির পাল (প্রায় ২০ থেকে ৩০টি) খাবার ও পানির সন্ধানে ভোরে দুর্গম পাহাড়ে বের হয়। হাতির পালের দলনেতার নেতৃত্বে একটি দল মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে চলাচল করার সময় সামনে থাকা একটি হাতি পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে সামনের একটি পায়ে আঘাত হয়। হাতিটি দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে আহত হলেও সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জায়গায় লুটিয়ে পড়েছে। এমন খবর জানার পর মন্ত্রণালয় ও কক্সবাজার এবং ঢাকা থেকে ২ জন ভেটেরিনারি চিকিৎসক সেখানে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে হাতির চিকিৎসা শুরুর আগেই ক্রুদ্ধ ও আক্রান্ত হাতির আক্রমণে তারা নিজেরাই আহত হন। হাতিটিতে অচেতন (অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন) দেয়া হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি।
বন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে, হাতির পাল পরিবার নিয়ে খাবারের খোঁজে ভোরে বের হয়। তারা গ্রুপ বেঁধে থাকে। তাদের মধ্যে একাধিক দলনেতা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ডিএফও আবু নাসের মো. ইয়াসিন নেওয়াজ শনিবার রাতে সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, ৩-৪ দিন আগে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে হাতিটি মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে। এরপর হাতিটি দুর্গম বনে চলাচলের সময় স্থানীয় লোকজন হাতিটিকে রামুতে দেখতে পায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হাতিটিকে খোঁড়াইতে দেখছে। খুঁড়িয়ে হাঁটাহাঁটির সময় রামুর স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে আলোচনা করে। পরবর্তীতে এ খবর পেয়ে বন বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা এলাকায় গিয়ে হাতিটির খোঁজখবর নেন।
আহত হাতির চিকিৎসার জন্য ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা গত ২-৩ দিন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুযোগ খুঁজে হাতিটির চিকিৎসা করতে যান। কিন্তু না পেরে তারা এলাকায় অবস্থান নেন। তখন স্থানীয় লোকজন ভেটেরিনারি ডাক্তারদের নিয়ে নানা মন্তব্য করেন।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তাররা বনে আহত বন্যহাতিটিকে দেখতে পেয়ে দূর থেকে ব্যথানাশক ইনঞ্জেকশন কিংবা অচেতন করতে বন্দুক তাক করলে আহত ক্রুদ্ধ হাতি একজন চিকিৎসকের ওপর প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার বুক চেপে ধরে। তখন অন্য আরেকজন ছুটে গেলে তাকে পা দিয়ে লাথি মারে। এতে তারা ২ জনই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের নিয়ে নানা ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে দুইজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আহত হাতির চিকিৎসা করতে গিয়ে তারা নিজেরাই এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। তাদের মধ্যে ভেটেরিনারি অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমানের বুকে আঘাত ও ভেটেরিনারি সার্জন জুলকারনাইনকে ক্রুদ্ধ হাতি লাথি মেরেছে।