জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অক্টোবরের প্রথমদিকে শেষ হতে পারে বলে আশা করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
রোববার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। খুব বেশি হলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
এ মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। গেল ৩ অগাস্ট বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলার বিচার শুরু হয়।
প্রথম দিনে যাত্রাবাড়ীতে গুলি মুখমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত খোকন চন্দ্র বর্মণ সাক্ষ্য দেন। রোববার চতুর্থ দিনে সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ ও মিজান মিয়ার সাক্ষ্য-জেরা সম্পন্ন হয়।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে মো. মিজানুল ইসলাম, বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ কয়েকজন কৌঁসুলি এবং শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক।
এদিন সকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন। তিন আসামির মধ্যে তিনিই কেবল কারাগারে আটক আছেন, বাকিদের পলাতক দেখিয়ে কার্যক্রম চলছে।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এ বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অক্টোবরের প্রথমদিকে শেষ হতে পারে বলে আশা করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
রোববার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। খুব বেশি হলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
এ মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। গেল ৩ অগাস্ট বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলার বিচার শুরু হয়।
প্রথম দিনে যাত্রাবাড়ীতে গুলি মুখমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত খোকন চন্দ্র বর্মণ সাক্ষ্য দেন। রোববার চতুর্থ দিনে সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ ও মিজান মিয়ার সাক্ষ্য-জেরা সম্পন্ন হয়।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে মো. মিজানুল ইসলাম, বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ কয়েকজন কৌঁসুলি এবং শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক।
এদিন সকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন। তিন আসামির মধ্যে তিনিই কেবল কারাগারে আটক আছেন, বাকিদের পলাতক দেখিয়ে কার্যক্রম চলছে।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এ বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।