পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুটের বিষয়ে গড়ে ওঠা ঐক্যের বিপরীতে স্থানীয় প্রশাসন হয়তো যোগসাজশ করেছে, নীরব থেকেছে, বা দুটোই করেছে। প্রশাসনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা দ্রুত দেখা যাবে।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “উপদেষ্টারা সীমার মধ্যে কাজ করেন। আমরা ফিল্ডে গিয়েছিলাম পাথর লুট বন্ধ করতে এবং লুটেরা গোষ্ঠীর প্রতি বার্তা দেওয়ার জন্য। প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছিল না, তাই সাহস দেওয়ার জন্য আমরা ফিল্ডে গিয়েছিলাম। এরপর আমাদের গাড়ি ঘিরে অশ্লীল বিক্ষোভ হয়েছিল এবং তা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করে, আর মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করে। “আমরা বারবার প্রশাসনকে বলেছি এবং লিখে জানিয়েছি। যারা লুটপাট করে, তাদের প্রতিরোধ করতে আমরা ফিল্ডে গিয়েছিলাম।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “সব পাথর ভাঙার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে চার-পাঁচ দিন পর রাজনৈতিক চাপের কারণে পাথর উত্তোলন পুনরায় শুরু হয়। জনগণ যদি শক্তভাবে দাঁড়ায়, তখন লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধেও মানুষের শক্তিই জয়ী হয়।”
তিনি উল্লেখ করেন, “পাথর কতটুকু উত্তোলন হয়েছে, তা আমার দায়িত্ব নয়। আমি একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে দায়িত্ব নেব, কিন্তু লুটের দায় আমাকে দেবেন না। মামলার মাধ্যমে দোষীদের কতটুকু শনাক্ত হচ্ছে, তা আমাদের দেখতে হবে।”
রিজওয়ানা হাসান সবশেষে বলেন, “বেটার লেট দ্যান নেভার। জনগণ লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এতে ভবিষ্যতে পাথর লুটবার আগে সংশ্লিষ্টরা দুইবার চিন্তা করবে।”
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুটের বিষয়ে গড়ে ওঠা ঐক্যের বিপরীতে স্থানীয় প্রশাসন হয়তো যোগসাজশ করেছে, নীরব থেকেছে, বা দুটোই করেছে। প্রশাসনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা দ্রুত দেখা যাবে।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “উপদেষ্টারা সীমার মধ্যে কাজ করেন। আমরা ফিল্ডে গিয়েছিলাম পাথর লুট বন্ধ করতে এবং লুটেরা গোষ্ঠীর প্রতি বার্তা দেওয়ার জন্য। প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছিল না, তাই সাহস দেওয়ার জন্য আমরা ফিল্ডে গিয়েছিলাম। এরপর আমাদের গাড়ি ঘিরে অশ্লীল বিক্ষোভ হয়েছিল এবং তা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করে, আর মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করে। “আমরা বারবার প্রশাসনকে বলেছি এবং লিখে জানিয়েছি। যারা লুটপাট করে, তাদের প্রতিরোধ করতে আমরা ফিল্ডে গিয়েছিলাম।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “সব পাথর ভাঙার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে চার-পাঁচ দিন পর রাজনৈতিক চাপের কারণে পাথর উত্তোলন পুনরায় শুরু হয়। জনগণ যদি শক্তভাবে দাঁড়ায়, তখন লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধেও মানুষের শক্তিই জয়ী হয়।”
তিনি উল্লেখ করেন, “পাথর কতটুকু উত্তোলন হয়েছে, তা আমার দায়িত্ব নয়। আমি একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে দায়িত্ব নেব, কিন্তু লুটের দায় আমাকে দেবেন না। মামলার মাধ্যমে দোষীদের কতটুকু শনাক্ত হচ্ছে, তা আমাদের দেখতে হবে।”
রিজওয়ানা হাসান সবশেষে বলেন, “বেটার লেট দ্যান নেভার। জনগণ লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এতে ভবিষ্যতে পাথর লুটবার আগে সংশ্লিষ্টরা দুইবার চিন্তা করবে।”