ভূ-উপরিস্থ পানি পরিশোধন করে সরবরাহের একটি প্রকল্পের ব্যয় ৩৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
২০১৪ সালে ‘ঢাকা এনভারনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্প গ্রহণের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ১৫১ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনে ব্যয় কমিয়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা; দ্বিতীয় সংশোধনে আরও ৪৬ লাখ টাকা কমানো হয়। তবে তৃতীয় সংশোধনে এক লাফে ব্যয় বাড়ানো হল ২ হাজার ৮২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ফলে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াল ১০ হাজার ৯৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
রোববার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
একনেক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানি তো আস্তে আস্তে নেমে যাচ্ছে। তাই আমাদের ভূপৃষ্ঠের পানি শোধন করে ব্যবহার করতে হবে। ঢাকার আশপাশে নদীগুলোতে শোধনযোগ্য পানি নেই। সম্ভবত মেঘনা নদী থেকে দুই-তিন জায়গায় পরিশোধনাগার করে পাইপলাইনে পানি আনার প্রকল্প এটা।”
তিনি বলেন, “প্রকল্পটা অনেকদিন ধরে চলছে। শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন আবার সাত-আট বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।”
প্রকল্পের খরচ বাড়া নিয়ে প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এর কারণ অনুসন্ধান করা হবে। “এটা খুবই প্রয়োজনীয় প্রকল্প। কিন্তু প্রশ্ন হল, এতবার সংশোধন করতে হচ্ছে, এত সময় ক্ষেপণ হচ্ছে এবং আমাদের ধারণা, ওয়াসার এ প্রকল্পে সম্ভবত অনিয়ম হয়েছে। পরিকল্পনার অভাব তো আছেই। তা না হলে এত সময় লাগবে কেন? এখানে সমন্বয়হীনতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।”
তিনি জানান, প্রকল্পটি বন্ধ না করে বরং ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে এটি আইএমইডি থেকে কেইস স্টাডি হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। “চলমান প্রকল্প, এটা বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না। তবে আগের ভুলত্রুটি যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্যই খুঁটিয়ে দেখা হবে।”
এদিন একনেক সভায় আরও নয়টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি নতুন, একটি সংশোধিত এবং তিনটির ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো:
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ‘বিদ্যমান শিল্পসমৃদ্ধ এলাকার ৩৩/১১ কেভি আউটডোর উপকেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন’।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেড (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘৫টি নির্ধারিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ফরিদপুর) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় ৩৬০ কোটি ১১ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ৮১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৭৭৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ‘ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (জোন-সি)’।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬৫ কোটি ১১ লাখ টাকার ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুটি বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ’।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘বান্দরবান পৌরসভা ও জেলার তিন উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকার ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’।
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
ভূ-উপরিস্থ পানি পরিশোধন করে সরবরাহের একটি প্রকল্পের ব্যয় ৩৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
২০১৪ সালে ‘ঢাকা এনভারনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্প গ্রহণের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ১৫১ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনে ব্যয় কমিয়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা; দ্বিতীয় সংশোধনে আরও ৪৬ লাখ টাকা কমানো হয়। তবে তৃতীয় সংশোধনে এক লাফে ব্যয় বাড়ানো হল ২ হাজার ৮২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ফলে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াল ১০ হাজার ৯৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
রোববার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
একনেক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানি তো আস্তে আস্তে নেমে যাচ্ছে। তাই আমাদের ভূপৃষ্ঠের পানি শোধন করে ব্যবহার করতে হবে। ঢাকার আশপাশে নদীগুলোতে শোধনযোগ্য পানি নেই। সম্ভবত মেঘনা নদী থেকে দুই-তিন জায়গায় পরিশোধনাগার করে পাইপলাইনে পানি আনার প্রকল্প এটা।”
তিনি বলেন, “প্রকল্পটা অনেকদিন ধরে চলছে। শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন আবার সাত-আট বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।”
প্রকল্পের খরচ বাড়া নিয়ে প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এর কারণ অনুসন্ধান করা হবে। “এটা খুবই প্রয়োজনীয় প্রকল্প। কিন্তু প্রশ্ন হল, এতবার সংশোধন করতে হচ্ছে, এত সময় ক্ষেপণ হচ্ছে এবং আমাদের ধারণা, ওয়াসার এ প্রকল্পে সম্ভবত অনিয়ম হয়েছে। পরিকল্পনার অভাব তো আছেই। তা না হলে এত সময় লাগবে কেন? এখানে সমন্বয়হীনতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।”
তিনি জানান, প্রকল্পটি বন্ধ না করে বরং ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে এটি আইএমইডি থেকে কেইস স্টাডি হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। “চলমান প্রকল্প, এটা বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না। তবে আগের ভুলত্রুটি যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্যই খুঁটিয়ে দেখা হবে।”
এদিন একনেক সভায় আরও নয়টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি নতুন, একটি সংশোধিত এবং তিনটির ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো:
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ‘বিদ্যমান শিল্পসমৃদ্ধ এলাকার ৩৩/১১ কেভি আউটডোর উপকেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন’।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেড (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘৫টি নির্ধারিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ফরিদপুর) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় ৩৬০ কোটি ১১ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ৮১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৭৭৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ‘ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (জোন-সি)’।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬৫ কোটি ১১ লাখ টাকার ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুটি বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ’।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘বান্দরবান পৌরসভা ও জেলার তিন উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকার ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’।