বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশনার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং এটি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
রোববার ঢাকার কয়েকটি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করে সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারকে টেলিফোনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা বলেন, “আমি পত্রিকায় দেখেছি। সরকারি পর্যায়ের সব মহলের সিদ্ধান্ত হলে সেটা লিখিত থাকত। সরকার আদৌ এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানি না। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এটা আলোচিত হয়নি। সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে সভায় আলোচিত হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। এ নিয়ে ছবি অপসারণকে কেউ কেউ রাষ্ট্রপতিকে সরানোর ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তবে রিজওয়ানা বলেন, “ছবি অবসারণ হয়ে থাকলে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। একটা ছবির সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।”
এনসিপির এক নেতার মন্তব্য—ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না—সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “সরকারের পরিকল্পনা তো প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় নিজে স্পষ্ট করেছেন। এর সঙ্গে সরকারের অবস্থান বদলের সম্পর্ক নেই।”
এনসিপিকে ‘কিংস পার্টি’ বলা নিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কী নামে ডাকল সেটা আসল নাম হয়ে যায় না। এনসিপির নাম এনসিপি। প্রতিপক্ষ হয়তো কিংস পার্টি ডাকছে। কিন্তু আমরা যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছি, তাদের সাথে কোনো পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। কখনও বলা হয় আমরা বড় একটা রাজনৈতিক দলের কথা শুনে সব করছি, আবার বলা হয় কিংস পার্টির কথা শুনে করছি, আবার বলা হয় ইসলামিক পার্টির কথা শুনে করছি। আসলে সরকার নিজের মতো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।”
এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা বলেন, “এখন অবাধ বাকস্বাধীনতার সময়। যার যে রকম মন চায় সে সেরকম বলছে। রাজনৈতিক অবস্থানে কোনো কিছু সুইটেবল হলে সে এক রকম বলছে, সুইটেবল না হলে অন্য রকম বলছে। আমাদের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দেবে। সরকারের সব কিছুতে মতামত দেওয়ার দরকার নেই।”
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশনার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং এটি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
রোববার ঢাকার কয়েকটি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করে সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারকে টেলিফোনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা বলেন, “আমি পত্রিকায় দেখেছি। সরকারি পর্যায়ের সব মহলের সিদ্ধান্ত হলে সেটা লিখিত থাকত। সরকার আদৌ এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানি না। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এটা আলোচিত হয়নি। সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে সভায় আলোচিত হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। এ নিয়ে ছবি অপসারণকে কেউ কেউ রাষ্ট্রপতিকে সরানোর ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তবে রিজওয়ানা বলেন, “ছবি অবসারণ হয়ে থাকলে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। একটা ছবির সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।”
এনসিপির এক নেতার মন্তব্য—ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না—সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “সরকারের পরিকল্পনা তো প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় নিজে স্পষ্ট করেছেন। এর সঙ্গে সরকারের অবস্থান বদলের সম্পর্ক নেই।”
এনসিপিকে ‘কিংস পার্টি’ বলা নিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কী নামে ডাকল সেটা আসল নাম হয়ে যায় না। এনসিপির নাম এনসিপি। প্রতিপক্ষ হয়তো কিংস পার্টি ডাকছে। কিন্তু আমরা যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছি, তাদের সাথে কোনো পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। কখনও বলা হয় আমরা বড় একটা রাজনৈতিক দলের কথা শুনে সব করছি, আবার বলা হয় কিংস পার্টির কথা শুনে করছি, আবার বলা হয় ইসলামিক পার্টির কথা শুনে করছি। আসলে সরকার নিজের মতো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।”
এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা বলেন, “এখন অবাধ বাকস্বাধীনতার সময়। যার যে রকম মন চায় সে সেরকম বলছে। রাজনৈতিক অবস্থানে কোনো কিছু সুইটেবল হলে সে এক রকম বলছে, সুইটেবল না হলে অন্য রকম বলছে। আমাদের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দেবে। সরকারের সব কিছুতে মতামত দেওয়ার দরকার নেই।”