ইভিএম বাতিল হয়েছে, পিআর তো প্রশ্নই ওঠে না: ফখরুল
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির কাছে এই পদ্ধতি ‘কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’।মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা (বিএনপি) কোনোমতেই পিআর পদ্ধতি মেনে নেব না। কারণ এই পদ্ধতি এদেশের মানুষ বুঝে না, তারা এর প্রয়োগও জানে না। ইভিএম পদ্ধতি কতদিন চেষ্টা করা হল, সেটাও পরে বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই সনদের খসড়ায় কিছু অসংগতি আছে এবং এসব সংশোধন করার পরই বিএনপি তাদের চূড়ান্ত মতামত দেবে। তিনি বলেন, বিএনপি জুলাই সনদের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজা হবে।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন “আর পিআর পদ্ধতি তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বিশ্বাস করি, পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায় না। ভোটার জানেও না সে কাকে ভোট দিচ্ছে না দিচ্ছে। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”
মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান, সঙ্গে তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগমও ফিরেছেন। ১৩ আগস্ট বিএনপি মহাসচিব চোখের চিকিৎসায় ব্যাংকক যান। এর আগে ১৪ মে ব্যাংককে বিএনপি মহাসচিবের চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচন চায়, দ্রুত চায়।”
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ সংকট থেকে উত্তরণের ‘একমাত্র পথ’ এই
নির্বাচন। অবশ্যই একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
জুলাই সনদের অসংগতি সংশোধন হলে বিএনপি মতামত দেবে: সালাহউদ্দিন আহমদ
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্যের অনেক বিষয় অধ্যাদেশ জারি বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সরকার প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন আইনকে অধ্যাদেশ আকারে বাস্তবায়ন করছে। আবার অনেক বিষয় এমনও আছে, যেগুলোর জন্য নির্বাহী আদেশ পর্যন্ত প্রয়োজন নেই। এগুলো চিহ্নিত করেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁর মতে, শুধু যেসব ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন, সেগুলোই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সংসদে নেওয়া উচিত।
জুলাই সনদের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এ প্রস্তাবের সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, এটি যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি যুক্তি দেন, আপিল বিভাগ সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট ডিভিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনতে পারে। কিন্তু একটি সমঝোতা দলিলকে ব্যাখ্যা করা বা তার বৈধতা নির্ধারণ করা আদালতের এখতিয়ারে পড়ে না।
জুলাই সনদের ব্যাখ্যা আপিল বিভাগের হাতে ন্যস্ত করা হলে অনেক জটিলতাও তৈরি হবে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাখ্যা দায়িত্ব আপিল বিভাগের ওপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এটি কিসের ভিত্তিতে যাবে? সেটা কে নিয়ে যাবে? এটি ঠিক করতে হবে।’
বিএনপি জুলাই সনদের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে বলে জানান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এ সনদ প্রণীত হচ্ছে। তাই যেসব বিষয় নিয়ে সবার মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে বিএনপি কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। বিএনপি চায় সমঝোতার মধ্য দিয়ে, আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণীত হোক, স্বাক্ষরিত হোক এবং বাস্তবায়িত হোক।
ইভিএম বাতিল হয়েছে, পিআর তো প্রশ্নই ওঠে না: ফখরুল
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির কাছে এই পদ্ধতি ‘কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’।মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা (বিএনপি) কোনোমতেই পিআর পদ্ধতি মেনে নেব না। কারণ এই পদ্ধতি এদেশের মানুষ বুঝে না, তারা এর প্রয়োগও জানে না। ইভিএম পদ্ধতি কতদিন চেষ্টা করা হল, সেটাও পরে বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই সনদের খসড়ায় কিছু অসংগতি আছে এবং এসব সংশোধন করার পরই বিএনপি তাদের চূড়ান্ত মতামত দেবে। তিনি বলেন, বিএনপি জুলাই সনদের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজা হবে।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন “আর পিআর পদ্ধতি তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বিশ্বাস করি, পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায় না। ভোটার জানেও না সে কাকে ভোট দিচ্ছে না দিচ্ছে। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”
মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান, সঙ্গে তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগমও ফিরেছেন। ১৩ আগস্ট বিএনপি মহাসচিব চোখের চিকিৎসায় ব্যাংকক যান। এর আগে ১৪ মে ব্যাংককে বিএনপি মহাসচিবের চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচন চায়, দ্রুত চায়।”
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ সংকট থেকে উত্তরণের ‘একমাত্র পথ’ এই
নির্বাচন। অবশ্যই একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
জুলাই সনদের অসংগতি সংশোধন হলে বিএনপি মতামত দেবে: সালাহউদ্দিন আহমদ
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্যের অনেক বিষয় অধ্যাদেশ জারি বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সরকার প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন আইনকে অধ্যাদেশ আকারে বাস্তবায়ন করছে। আবার অনেক বিষয় এমনও আছে, যেগুলোর জন্য নির্বাহী আদেশ পর্যন্ত প্রয়োজন নেই। এগুলো চিহ্নিত করেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁর মতে, শুধু যেসব ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন, সেগুলোই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সংসদে নেওয়া উচিত।
জুলাই সনদের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এ প্রস্তাবের সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, এটি যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি যুক্তি দেন, আপিল বিভাগ সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট ডিভিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনতে পারে। কিন্তু একটি সমঝোতা দলিলকে ব্যাখ্যা করা বা তার বৈধতা নির্ধারণ করা আদালতের এখতিয়ারে পড়ে না।
জুলাই সনদের ব্যাখ্যা আপিল বিভাগের হাতে ন্যস্ত করা হলে অনেক জটিলতাও তৈরি হবে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাখ্যা দায়িত্ব আপিল বিভাগের ওপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এটি কিসের ভিত্তিতে যাবে? সেটা কে নিয়ে যাবে? এটি ঠিক করতে হবে।’
বিএনপি জুলাই সনদের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে বলে জানান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এ সনদ প্রণীত হচ্ছে। তাই যেসব বিষয় নিয়ে সবার মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে বিএনপি কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। বিএনপি চায় সমঝোতার মধ্য দিয়ে, আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণীত হোক, স্বাক্ষরিত হোক এবং বাস্তবায়িত হোক।