ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের জের ধরে ব্যাপক বাড়ি ভাংচুড় ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া এলাকায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ও ভাংচুড় ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষ ও লুটপাট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চললেও খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঐ এলাকায় গেলেও ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় তারা খাগকান্দা ইউপি অফিস পর্যন্ত যায়। পরে যৌথ বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার বিকালে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকায় বিএনপি অফিস উদ্বোধনের সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া মিয়া একে অপরকে আওয়ামীলীগের লোকজন নিয়ে নিজ নিজ বলয় তৈরী করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ করেন। ঐ দিন উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সামনে বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দুইপক্ষ ঐ সময় জাকারিয়া মিয়ার লোকজনকে
মারপিট করে বেলায়েতের লোকজন।
সকালে জাকারিয়া মিয়ার লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা, টেটা বল্লম, চাপাতি, ছোরা, চাইনিচ কুড়ালে সজ্জিত হয়ে বেলায়েত সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে। ঐ সময় পাল্টা হামলা করলে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে কাকাইলমোড়ার টেটাবিদ্ধ মঞ্জুর গোসেন, ইদ্রিছ আলী ও শাহ আলমকে মূমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে এবং রনি, জসীম, ফাহাদ, মনির ও সাইমনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। হামলার সময় কাকাইলমোড়া এলাকার ইদ্রিছ আলী, মঞ্জুর হোসেন, আবেদ আলীসহ ১০
বাড়ি ভাংচুড় ও লুটপাট চালায়। ইদ্রিছ আলী জানান, জাকারিয়া খাগকান্দা ইউনিয়ন ওলামালীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান মেম্বারের লোকজনের সহযোগিতায় তাদের ১০টি বাড়িঘর ভাংচুড় ও লুটপাট চালায়। এতে অর্ধকোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে লোকমান মেম্বার জানান, ইদ্রিছ আলী ও তার অনুসারী জুলহাস মেম্বার, শাহ আলমের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার নাসির হোসেন জানান, এলাকার প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের জের ধরে ব্যাপক বাড়ি ভাংচুড় ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া এলাকায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ও ভাংচুড় ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষ ও লুটপাট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চললেও খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঐ এলাকায় গেলেও ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় তারা খাগকান্দা ইউপি অফিস পর্যন্ত যায়। পরে যৌথ বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার বিকালে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকায় বিএনপি অফিস উদ্বোধনের সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া মিয়া একে অপরকে আওয়ামীলীগের লোকজন নিয়ে নিজ নিজ বলয় তৈরী করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ করেন। ঐ দিন উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সামনে বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দুইপক্ষ ঐ সময় জাকারিয়া মিয়ার লোকজনকে
মারপিট করে বেলায়েতের লোকজন।
সকালে জাকারিয়া মিয়ার লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা, টেটা বল্লম, চাপাতি, ছোরা, চাইনিচ কুড়ালে সজ্জিত হয়ে বেলায়েত সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে। ঐ সময় পাল্টা হামলা করলে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে কাকাইলমোড়ার টেটাবিদ্ধ মঞ্জুর গোসেন, ইদ্রিছ আলী ও শাহ আলমকে মূমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে এবং রনি, জসীম, ফাহাদ, মনির ও সাইমনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। হামলার সময় কাকাইলমোড়া এলাকার ইদ্রিছ আলী, মঞ্জুর হোসেন, আবেদ আলীসহ ১০
বাড়ি ভাংচুড় ও লুটপাট চালায়। ইদ্রিছ আলী জানান, জাকারিয়া খাগকান্দা ইউনিয়ন ওলামালীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান মেম্বারের লোকজনের সহযোগিতায় তাদের ১০টি বাড়িঘর ভাংচুড় ও লুটপাট চালায়। এতে অর্ধকোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে লোকমান মেম্বার জানান, ইদ্রিছ আলী ও তার অনুসারী জুলহাস মেম্বার, শাহ আলমের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার নাসির হোসেন জানান, এলাকার প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।