ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের কোম্পানি টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ারের কাছ থেকে অক্টোবর মাসের জন্য তিন কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে সরকার। মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
দাম কমই পড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
সার ক্রয় এবং পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর প্রস্তাব অনুমোদন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে
দেশে গ্যাসের উৎপাদন দিন দিন কমছে। তাই ভরসা বাড়ছে আমদানি করা এলএনজির ওপর। বর্তমানে বিদ্যমান গ্যাসের চাহিদার ৩০ শতাংশের বেশি পূরণ করছে এলএনজি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অবলম্বন করে এই কেনাকাটা করা হচ্ছে। একটি কার্গোতে প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ধরা হয়েছে প্রতি ইউনিট ১১ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় কার্গোতে ইউনিট মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৪৪ মর্কিন ডলার। তৃতীয় কার্গোর এলএনজিতে ইউনিট মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৪ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। দৈনিক এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একমাস দুই মাস পর পর গ্যাসের দাম বাড়ানোর চাপ ছিল। কিন্তু সেটা আমরা করিনি। আমরা চেয়েছি গ্যাসের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে এবং দামও যেন না বাড়ে। আজকে যেসব গ্যাস কেনা হয়েছে এর দামও কমই পড়েছে।’
এর আগে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সর্বোচ্চ ৩৬ ডলারে এলএনজি কিনেছিল বাংলাদেশ। ওই বছর বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ৬০ ডলারে উঠে যায়। ডলার-সংকটে পড়ে ওই বছরের জুলাই থেকে টানা সাত মাস খোলাবাজারের এলএনজি কেনা বন্ধ রাখে তৎকালীন (আওয়ামী লীগ)
সরকার। এতে গ্যাসের সংকট তৈরি হয়, কমে যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করা হয় ওই বছর।
মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সার ক্রয় এবং পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কয়েকটি প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।
এর মধ্যে কানাডিয়ান করপোরেশনের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৬১ মর্কিন ডলার দরে ৮০ হাজার টন এমওপি সার, প্রতি টন ৫৮৪ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার দরে মরক্কোর কাছ থেকে ৬০ হাজার টন টিএসপি সার, প্রতি টন ৭৮২ দশমিক ৬৭ ডলার দরে মরক্কোর কাছ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং প্রতি টন ৩৬১ ডলার দরে রাশিয়ার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার কেনা হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাজ্যের কোম্পানি টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ারের কাছ থেকে অক্টোবর মাসের জন্য তিন কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে সরকার। মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
দাম কমই পড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
সার ক্রয় এবং পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর প্রস্তাব অনুমোদন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে
দেশে গ্যাসের উৎপাদন দিন দিন কমছে। তাই ভরসা বাড়ছে আমদানি করা এলএনজির ওপর। বর্তমানে বিদ্যমান গ্যাসের চাহিদার ৩০ শতাংশের বেশি পূরণ করছে এলএনজি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অবলম্বন করে এই কেনাকাটা করা হচ্ছে। একটি কার্গোতে প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ধরা হয়েছে প্রতি ইউনিট ১১ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় কার্গোতে ইউনিট মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৪৪ মর্কিন ডলার। তৃতীয় কার্গোর এলএনজিতে ইউনিট মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৪ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। দৈনিক এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একমাস দুই মাস পর পর গ্যাসের দাম বাড়ানোর চাপ ছিল। কিন্তু সেটা আমরা করিনি। আমরা চেয়েছি গ্যাসের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে এবং দামও যেন না বাড়ে। আজকে যেসব গ্যাস কেনা হয়েছে এর দামও কমই পড়েছে।’
এর আগে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সর্বোচ্চ ৩৬ ডলারে এলএনজি কিনেছিল বাংলাদেশ। ওই বছর বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ৬০ ডলারে উঠে যায়। ডলার-সংকটে পড়ে ওই বছরের জুলাই থেকে টানা সাত মাস খোলাবাজারের এলএনজি কেনা বন্ধ রাখে তৎকালীন (আওয়ামী লীগ)
সরকার। এতে গ্যাসের সংকট তৈরি হয়, কমে যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করা হয় ওই বছর।
মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সার ক্রয় এবং পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কয়েকটি প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।
এর মধ্যে কানাডিয়ান করপোরেশনের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৬১ মর্কিন ডলার দরে ৮০ হাজার টন এমওপি সার, প্রতি টন ৫৮৪ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার দরে মরক্কোর কাছ থেকে ৬০ হাজার টন টিএসপি সার, প্রতি টন ৭৮২ দশমিক ৬৭ ডলার দরে মরক্কোর কাছ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং প্রতি টন ৩৬১ ডলার দরে রাশিয়ার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার কেনা হবে।