২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বরখাস্ত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্বে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের বকেয়া বেতান-ভাতা ও জ্যেষ্ঠতাসহ চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বরখাস্তের সময়কে বিশেষ ছুটি বিবেচনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ রায় ঘোষণা করে। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২০ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক উঠলে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩২০ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেয়।
প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চারটি ‘লিভ টু আপিল’ করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল
ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে এবং বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়।
এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকার পৃথক আপিল করে। সরকারের করা আপিলগুলো মঞ্জুর করে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেয় আপিল বিভাগ। ওই রায়ে ৮৫ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দিয়ে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল দেয়া রায় বাতিল করা হয়।
আপিল বিভাগের ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২৩ সালে পৃথক পাঁচটি আবেদন করেন চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা। শুনানি নিয়ে একটি রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ গত বছরের ৬ নভেম্বর তাদের আপিলের অনুমতি দেয়।
সেইসঙ্গে এ আপিলের (রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত) সারসংক্ষেপ চার সপ্তাহের মধ্যে দিতে আবেদনকারী পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। ওই আপিলের সঙ্গে অন্য চারটি রিভিউ আবেদনও শুনানিতে রাখার কথা আদেশে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় রায় দেয়া হয়।
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বরখাস্ত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্বে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের বকেয়া বেতান-ভাতা ও জ্যেষ্ঠতাসহ চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বরখাস্তের সময়কে বিশেষ ছুটি বিবেচনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ রায় ঘোষণা করে। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২০ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক উঠলে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩২০ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেয়।
প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চারটি ‘লিভ টু আপিল’ করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল
ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে এবং বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়।
এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকার পৃথক আপিল করে। সরকারের করা আপিলগুলো মঞ্জুর করে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেয় আপিল বিভাগ। ওই রায়ে ৮৫ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দিয়ে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল দেয়া রায় বাতিল করা হয়।
আপিল বিভাগের ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২৩ সালে পৃথক পাঁচটি আবেদন করেন চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা। শুনানি নিয়ে একটি রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ গত বছরের ৬ নভেম্বর তাদের আপিলের অনুমতি দেয়।
সেইসঙ্গে এ আপিলের (রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত) সারসংক্ষেপ চার সপ্তাহের মধ্যে দিতে আবেদনকারী পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। ওই আপিলের সঙ্গে অন্য চারটি রিভিউ আবেদনও শুনানিতে রাখার কথা আদেশে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় রায় দেয়া হয়।