ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তরের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ৩টায়। কিন্তু প্রধান অতিথি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত উপস্থিত না হওয়ায় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সাংবাদিকরা।
বুধবার,(২০ আগস্ট ২০২৫ সকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানায় মন্ত্রণালয়। বিকাল ২টা ২০ মিনিটে সংশোধিত আমন্ত্রণে অনুষ্ঠান এক ঘন্টা পিছিয়ে ৪টায় করা হয়। তবে অনুদানের জন্য আমন্ত্রিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা ৩টা থেকেই সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়ে যান।
বিকাল ৪টার পরেও উপদেষ্টা না আসায় সাংবাদিকদের অস্থিরতা প্রকাশ করতে দেখায় যায়। এসময় আমন্ত্রিত অন্য অতিথিদেরও সময় পার করতে বার বার চেয়ার ছাড়তে দেখা যায়। বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, উপদেষ্টা বাসা থেকে রওনা হয়েছেন। অবশ্য সাড়ে ৪টার পর তারা আর নতুন কোনো তথ্য দেননি।
এসময় সাংবাদিকরা একে অন্যের সঙ্গে নিজেদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা বলতে শুরু করেন। আগেও বিভিন্ন সময় উপদেষ্টার বিলম্বে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন কেউ কেউ।
সময় যখন বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিট, তখন একরকম ঘোষণা দিয়ে সব সাংবাদিকরা একে একে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন।
অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করা সাংবাদিকদের মধ্যে বেশ কয়েকটি টিভি, দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ছিলেন।
বিলম্বের কারণ জানতে উপদেষ্টাকে ফোন করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাংবাদিকরা চলে যাওয়ার ১৫ মিনিট পর বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন উপদেষ্টা। সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয় অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান।
অনুদান পেল ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
পরে অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রস্তাবকদের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, অনুষ্ঠানে সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে প্রথম কিস্তিতে ১৫ লাখ টাকা করে মোট এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য
চলচ্চিত্রকে প্রথম কিস্তিতে ৬ লাখ টাকা করে মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হয়।
চলচ্চিত্র নির্মাণ সাপেক্ষে প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে চার কিস্তিতে মোট ৭৫ লাখ টাকা এবং প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে চার কিস্তিতে মোট ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে। এর অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন-বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
“কর্মশালায় চলচ্চিত্র বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই কর্মশালা চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”
সরকারি অনুদানে নির্মিত সকল চলচ্চিত্র বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এসব চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে।”
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর, অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তরের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ৩টায়। কিন্তু প্রধান অতিথি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত উপস্থিত না হওয়ায় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সাংবাদিকরা।
বুধবার,(২০ আগস্ট ২০২৫ সকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানায় মন্ত্রণালয়। বিকাল ২টা ২০ মিনিটে সংশোধিত আমন্ত্রণে অনুষ্ঠান এক ঘন্টা পিছিয়ে ৪টায় করা হয়। তবে অনুদানের জন্য আমন্ত্রিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা ৩টা থেকেই সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়ে যান।
বিকাল ৪টার পরেও উপদেষ্টা না আসায় সাংবাদিকদের অস্থিরতা প্রকাশ করতে দেখায় যায়। এসময় আমন্ত্রিত অন্য অতিথিদেরও সময় পার করতে বার বার চেয়ার ছাড়তে দেখা যায়। বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, উপদেষ্টা বাসা থেকে রওনা হয়েছেন। অবশ্য সাড়ে ৪টার পর তারা আর নতুন কোনো তথ্য দেননি।
এসময় সাংবাদিকরা একে অন্যের সঙ্গে নিজেদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা বলতে শুরু করেন। আগেও বিভিন্ন সময় উপদেষ্টার বিলম্বে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন কেউ কেউ।
সময় যখন বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিট, তখন একরকম ঘোষণা দিয়ে সব সাংবাদিকরা একে একে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন।
অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করা সাংবাদিকদের মধ্যে বেশ কয়েকটি টিভি, দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ছিলেন।
বিলম্বের কারণ জানতে উপদেষ্টাকে ফোন করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাংবাদিকরা চলে যাওয়ার ১৫ মিনিট পর বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন উপদেষ্টা। সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয় অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান।
অনুদান পেল ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
পরে অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রস্তাবকদের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, অনুষ্ঠানে সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে প্রথম কিস্তিতে ১৫ লাখ টাকা করে মোট এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য
চলচ্চিত্রকে প্রথম কিস্তিতে ৬ লাখ টাকা করে মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হয়।
চলচ্চিত্র নির্মাণ সাপেক্ষে প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে চার কিস্তিতে মোট ৭৫ লাখ টাকা এবং প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে চার কিস্তিতে মোট ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে। এর অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন-বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
“কর্মশালায় চলচ্চিত্র বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই কর্মশালা চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”
সরকারি অনুদানে নির্মিত সকল চলচ্চিত্র বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এসব চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে।”
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর, অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি উপস্থিত ছিলেন।