ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি চালুর উদ্যোগের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টধারীদেরও ভোটার হওয়ার সুযোগ দিল নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি মিশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করা এবং এনআইডি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ অবস্থায় ভোটার নিবন্ধন আরও সহজ করা হল।
এখন থেকে প্রবাসে ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলপত্রের সঙ্গে মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপির পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদশি পাসপোর্টের কপি বা দ্বৈত নাগরিকদের ক্ষেত্রে বিদেশি পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী এনআইডিধারী তিনজন প্রবাসীর কাছ থেকে ‘বাংলাদেশি নাগরিক মর্মে প্রত্যয়নপত্র’ জমা দিলেই হবে।
বুধবার,(২০ আগস্ট ২০২৫) ইসির এনআইডি উইং এর পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খানের স্বাক্ষরে এ বিষয়ে ইসির নির্দেশনার চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়।
বুধবার জারি করা ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন’ সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের মধ্যে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চান, তাদের কিছু নথিপত্র জমা দিতে হবে।
অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র ফরম-২ (ক): নির্বাচন কমিশনের ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬টি উপজেলা/থানার জন্য অতিরিক্ত তথ্য সম্বলিত ‘বিশেষ তথ্য ফরম’। মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/বিদেশি পাসপোর্টের কপি/ সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী এনআইডিধারী তিনজন প্রবাসীর কাছ থেকে বাংলাদেশি মর্মে প্রত্যয়নপত্র, বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন
সনদের কপি (অনলাইন ভেরিফায়েড) পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি, আবেদনকারীর বাবা-মায়ের এনআইডির কপি/বাংলাদেশি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি/বাংলাদেশি মৃত্যু সনদের কপি (মৃত হলে) /পাসপোর্টের কপি/ওয়ারিশ সনদের কপি/ বাংলাদেশের বাসিন্দা মর্মে নাগরিক সনদের কপি/দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), শিক্ষা সনদের কপি (SSC / Equivalent Certificate / JSC / PEC সনদ) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ড্রাইভিং লাইসেন্স/টিআইএন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
নিকাহনামা ((Marriage Certificate)) এবং স্বামী/স্ত্রীর ঘওউ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/ সিইও/প্রশাসক কর্তৃক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), সংশ্লিষ্ট ঠিকানা সম্বলিত ইউটিলিটি বিলের কপি/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আবেদনপত্র, পাসপোর্টের কপি/তিন এনআইডিধারী প্রত্যয়নপত্র, ফটো, জন্মসনদ নিবন্ধনকেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় অন্যান্য দলিলাদি নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দেওয়া সম্ভব না হলে, আবেদনকারীর পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধির মাধ্যমে এসব দলিল তদন্তকারী কর্মকর্তা বা রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার) কাছে জমা দেওয়া যাবে।
অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্রের [ফরম-২(ক)] তথ্য সংশ্লিষ্ট ভোটার এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করবেন।
বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর এনআইডি সেবা সহজীকরণে নানা ধরেনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এমন তৎপরতার মধ্যে প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়টি সহজ করার সিদ্ধান্ত এল।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি চালুর উদ্যোগের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টধারীদেরও ভোটার হওয়ার সুযোগ দিল নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি মিশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করা এবং এনআইডি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ অবস্থায় ভোটার নিবন্ধন আরও সহজ করা হল।
এখন থেকে প্রবাসে ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলপত্রের সঙ্গে মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপির পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদশি পাসপোর্টের কপি বা দ্বৈত নাগরিকদের ক্ষেত্রে বিদেশি পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী এনআইডিধারী তিনজন প্রবাসীর কাছ থেকে ‘বাংলাদেশি নাগরিক মর্মে প্রত্যয়নপত্র’ জমা দিলেই হবে।
বুধবার,(২০ আগস্ট ২০২৫) ইসির এনআইডি উইং এর পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খানের স্বাক্ষরে এ বিষয়ে ইসির নির্দেশনার চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়।
বুধবার জারি করা ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন’ সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের মধ্যে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চান, তাদের কিছু নথিপত্র জমা দিতে হবে।
অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র ফরম-২ (ক): নির্বাচন কমিশনের ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬টি উপজেলা/থানার জন্য অতিরিক্ত তথ্য সম্বলিত ‘বিশেষ তথ্য ফরম’। মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/বিদেশি পাসপোর্টের কপি/ সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী এনআইডিধারী তিনজন প্রবাসীর কাছ থেকে বাংলাদেশি মর্মে প্রত্যয়নপত্র, বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন
সনদের কপি (অনলাইন ভেরিফায়েড) পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি, আবেদনকারীর বাবা-মায়ের এনআইডির কপি/বাংলাদেশি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি/বাংলাদেশি মৃত্যু সনদের কপি (মৃত হলে) /পাসপোর্টের কপি/ওয়ারিশ সনদের কপি/ বাংলাদেশের বাসিন্দা মর্মে নাগরিক সনদের কপি/দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), শিক্ষা সনদের কপি (SSC / Equivalent Certificate / JSC / PEC সনদ) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ড্রাইভিং লাইসেন্স/টিআইএন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
নিকাহনামা ((Marriage Certificate)) এবং স্বামী/স্ত্রীর ঘওউ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/ সিইও/প্রশাসক কর্তৃক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), সংশ্লিষ্ট ঠিকানা সম্বলিত ইউটিলিটি বিলের কপি/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আবেদনপত্র, পাসপোর্টের কপি/তিন এনআইডিধারী প্রত্যয়নপত্র, ফটো, জন্মসনদ নিবন্ধনকেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় অন্যান্য দলিলাদি নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দেওয়া সম্ভব না হলে, আবেদনকারীর পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধির মাধ্যমে এসব দলিল তদন্তকারী কর্মকর্তা বা রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার) কাছে জমা দেওয়া যাবে।
অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্রের [ফরম-২(ক)] তথ্য সংশ্লিষ্ট ভোটার এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করবেন।
বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর এনআইডি সেবা সহজীকরণে নানা ধরেনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এমন তৎপরতার মধ্যে প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়টি সহজ করার সিদ্ধান্ত এল।