প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে ব্যবহার অব্যাহত রাখবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় এবং বিশ্বের বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থা ‘গ্যাজপ্রম’ এর একটি প্রতিনিধিদল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতভ, পিজেএসসি গ্যাজপ্রমের ম্যানেজমেন্ট কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ভিতালেয় মারকেলোভ, গ্যাজপ্রম ইপি ইন্টারন্যাশনাল বি.ভি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সার্গেই তুমানোভ এবং আরএমএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার রাশিয়ার সহায়তায় পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করছে। রাশিয়া সবসময়ই আমাদের ইতিবাচক সহযোগিতা করেছে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইন মুক্ত করতে গিয়ে বেশ কিছযু রুশ নৌ-সেনা জীবন দান করে।
গ্যাজপ্রম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে জ্বালানি খাতে কৌশলগত সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এবং যৌথ অংশীদারিত্বে ভোলা গ্যাস ফিল্ডের উন্নয়ন ও জরিপ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে অবহিত করেন। তারা বলেন, বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই চুক্তি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। এই এমওইউ আরো বড় বিষয়েও সহযোগিতার সুযোগকে উন্মুক্ত করবে। গ্যাজপ্রম বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী বলেও জানান তারা। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে রাশিয়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কাজে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা গ্যাজপ্রম টার্ম-কি চুক্তিতে বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে গ্যাস খাতে কাজ শুরু করে।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে ব্যবহার অব্যাহত রাখবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় এবং বিশ্বের বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থা ‘গ্যাজপ্রম’ এর একটি প্রতিনিধিদল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতভ, পিজেএসসি গ্যাজপ্রমের ম্যানেজমেন্ট কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ভিতালেয় মারকেলোভ, গ্যাজপ্রম ইপি ইন্টারন্যাশনাল বি.ভি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সার্গেই তুমানোভ এবং আরএমএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার রাশিয়ার সহায়তায় পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করছে। রাশিয়া সবসময়ই আমাদের ইতিবাচক সহযোগিতা করেছে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইন মুক্ত করতে গিয়ে বেশ কিছযু রুশ নৌ-সেনা জীবন দান করে।
গ্যাজপ্রম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে জ্বালানি খাতে কৌশলগত সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এবং যৌথ অংশীদারিত্বে ভোলা গ্যাস ফিল্ডের উন্নয়ন ও জরিপ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে অবহিত করেন। তারা বলেন, বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই চুক্তি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। এই এমওইউ আরো বড় বিষয়েও সহযোগিতার সুযোগকে উন্মুক্ত করবে। গ্যাজপ্রম বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী বলেও জানান তারা। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে রাশিয়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কাজে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা গ্যাজপ্রম টার্ম-কি চুক্তিতে বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে গ্যাস খাতে কাজ শুরু করে।