চীনের টিকা পেতে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে, তাই সেই দেশ থেকে টিকা কিনে তা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
তবে চীনের উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বুধবার (১২ মে) পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
‘সমস্যা হল, বাংলাদেশ সরকার চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে। এখন, টিকা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ টিকার জন্য সেই সারির সামনের দিকে নেই,’ বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
আজ সোমবার (১০ মে) ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত জানান সরকারি পর্যায়ে চীন থেকে কেনা টিকার প্রথম চালান হাতে পেতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
সেই অপেক্ষা কতদিন সেই প্রশ্নে লি জিমিং বলেন, ‘আপাতত আমি যেটুকু বলতে পারি, বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের টিকা কেনার জন্য আমার তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি করব। বেইজিংয়ে আমার সহকর্মীরা প্রথমে আমাকে যেটা বলেছে, ওই লাইন এত বেশি দীর্ঘ যে ডিসেম্বরের আগে টিকা পাওয়ার আশা না করাই ভালো।
‘আমি তাদের বলেছি- যত দ্রুত সম্ভব এখানে টিকা দরকার। এরপর আমার মনে হচ্ছে, ডিসেম্বরের অনেক আগেই আমরা পারব, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ বছরের প্রথমার্ধে সেটা হবে না,’ বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
তবে লি জিমিং বলেন, টিকা নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর বিষয়টি চীন ‘খুবই ইতিবাচকভাবে’ দেখছে।
চীন গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের দেশে উদ্ভাবিত দুটি টিকার বাংলাদেশে পরীক্ষার আগ্রহ দেখিয়েছিল। একটি টিকার ৫ লাখ ডোজ উপহার দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ চীনা টিকার পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সময় নেয়। এর মধ্যে ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসতে শুরু করে। উপহারের ৩৩ লাখ ডোজ এবং চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ডোজের মধ্য ৭০ লাখ ডোজ আসার পরে ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ায় টিকার জরুরি মজুত গড়তে চীনের উদ্যোগে গঠিত ছয় দেশের মঞ্চে যোগ দেওয়ার সম্মতির কথা জানায় বাংলাদেশ এপ্রিলে। এরপর চীনা দূতাবাসকে চিঠি দিয়ে টিকা কিনতে আগ্রহের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার, ১০ মে ২০২১
চীনের টিকা পেতে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে, তাই সেই দেশ থেকে টিকা কিনে তা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
তবে চীনের উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বুধবার (১২ মে) পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
‘সমস্যা হল, বাংলাদেশ সরকার চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে। এখন, টিকা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ টিকার জন্য সেই সারির সামনের দিকে নেই,’ বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
আজ সোমবার (১০ মে) ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত জানান সরকারি পর্যায়ে চীন থেকে কেনা টিকার প্রথম চালান হাতে পেতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
সেই অপেক্ষা কতদিন সেই প্রশ্নে লি জিমিং বলেন, ‘আপাতত আমি যেটুকু বলতে পারি, বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের টিকা কেনার জন্য আমার তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি করব। বেইজিংয়ে আমার সহকর্মীরা প্রথমে আমাকে যেটা বলেছে, ওই লাইন এত বেশি দীর্ঘ যে ডিসেম্বরের আগে টিকা পাওয়ার আশা না করাই ভালো।
‘আমি তাদের বলেছি- যত দ্রুত সম্ভব এখানে টিকা দরকার। এরপর আমার মনে হচ্ছে, ডিসেম্বরের অনেক আগেই আমরা পারব, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ বছরের প্রথমার্ধে সেটা হবে না,’ বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
তবে লি জিমিং বলেন, টিকা নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর বিষয়টি চীন ‘খুবই ইতিবাচকভাবে’ দেখছে।
চীন গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের দেশে উদ্ভাবিত দুটি টিকার বাংলাদেশে পরীক্ষার আগ্রহ দেখিয়েছিল। একটি টিকার ৫ লাখ ডোজ উপহার দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ চীনা টিকার পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সময় নেয়। এর মধ্যে ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসতে শুরু করে। উপহারের ৩৩ লাখ ডোজ এবং চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ডোজের মধ্য ৭০ লাখ ডোজ আসার পরে ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ায় টিকার জরুরি মজুত গড়তে চীনের উদ্যোগে গঠিত ছয় দেশের মঞ্চে যোগ দেওয়ার সম্মতির কথা জানায় বাংলাদেশ এপ্রিলে। এরপর চীনা দূতাবাসকে চিঠি দিয়ে টিকা কিনতে আগ্রহের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।