চার জাতির জোট কোয়াডে বাংলাদেশ যুক্ত হবে কিনা তা নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে ‘আগাম মন্তব্য’ বা ‘আগ বাড়ানো’ বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার (১১ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনও কেউ (কোয়াড) কোনও আগ্রহ দেখায়নি। তবে যে কোনো দেশ নিজেদের অবস্থান জানাতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে ‘নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ’ পররাষ্ট্রনীতির আলোকেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান মোমেন।
কোয়াড নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের ‘সাবধান বাণীর’ পরদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “উনারা বলতে পারেন। উনি একটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা হয়ত এটা চায় না, তাই তারা বক্তব্য দেবেন। যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদেরকে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এটা আগ বেড়ে বলা হয়েছে।
‘আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করি। দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা কী কাজ করব না করব, আমাদের মৌলিক অবস্থানের ভিত্তিতে আমরা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াড বা কোয়াড্রিলেটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া কোয়াড সম্প্রতি বিশ্ব ভূরাজনীতিতে বেশ আলোচিত।
গতকাল সোমবার ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এ জোটকে তারা চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘মারাত্নক ক্ষতি’ করবে। কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এই প্রথম চীন প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করলো।
তবে আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা একটা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করি। তবে হ্যাঁ, যে কোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা সেগুলো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
‘তো, আমরা কী করব না করব, আমাদের দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্য, আমাদের যে পজিশন আছে, তার ভিত্তিতে উই উইল ডিসাইড ইট।’
‘আমরা নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলি এবং সেটাই বজায় রাখব,’ বলেন মোমেন।
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্রার হাতে ওষুধ ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) হস্তান্তরের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
চার জাতির জোট কোয়াডে বাংলাদেশ যুক্ত হবে কিনা তা নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে ‘আগাম মন্তব্য’ বা ‘আগ বাড়ানো’ বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার (১১ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনও কেউ (কোয়াড) কোনও আগ্রহ দেখায়নি। তবে যে কোনো দেশ নিজেদের অবস্থান জানাতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে ‘নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ’ পররাষ্ট্রনীতির আলোকেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান মোমেন।
কোয়াড নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের ‘সাবধান বাণীর’ পরদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “উনারা বলতে পারেন। উনি একটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা হয়ত এটা চায় না, তাই তারা বক্তব্য দেবেন। যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদেরকে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এটা আগ বেড়ে বলা হয়েছে।
‘আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করি। দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা কী কাজ করব না করব, আমাদের মৌলিক অবস্থানের ভিত্তিতে আমরা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াড বা কোয়াড্রিলেটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া কোয়াড সম্প্রতি বিশ্ব ভূরাজনীতিতে বেশ আলোচিত।
গতকাল সোমবার ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এ জোটকে তারা চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘মারাত্নক ক্ষতি’ করবে। কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এই প্রথম চীন প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করলো।
তবে আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা একটা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করি। তবে হ্যাঁ, যে কোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা সেগুলো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
‘তো, আমরা কী করব না করব, আমাদের দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্য, আমাদের যে পজিশন আছে, তার ভিত্তিতে উই উইল ডিসাইড ইট।’
‘আমরা নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলি এবং সেটাই বজায় রাখব,’ বলেন মোমেন।
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্রার হাতে ওষুধ ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) হস্তান্তরের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।