বাংলাদেশে ইনক্লুসিভ ব্লেন্ডেড এডুকেশন সফল বাস্তবায়নের জন্য অবকাঠামো, ইনোভেশনের জন্য স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, সৃজনশীল কন্টেন্ট রোডম্যাপ এবং অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্বরোপ করতে হবে। ব্লেন্ডেড এডুকেশন ন্যাশনাল টাস্কফোর্স (বেন্ট) এর গবেষণা ও উন্নয়ন উপকমিটি কর্তৃক গত ১৮ নভেম্বর রাতে আয়োজিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়েছে। এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; মেটা (ফেসবুকের পরিবর্তিত নাম) এর গ্লোবাল হেড অব কানেক্টিভিটি অ্যান্ড অ্যাক্সেস মনিকা দেশাই এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর চিফ অব স্পেশাল ইনিশিয়েটিভস এবং গিগা এর কো-লিড অ্যালেক্স অং উপস্থিত ছিলেন।
আলেচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মহামারী চলাকালীন সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং তৈরি হওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে নেওয়া পরিকল্পনায় ব্লেন্ডেড এডুকেশন পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষকদের আরো প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে সৃষ্ট সুযোগগুলো কাজের লাগানোর জন্য তাদের মানসিক পরিবর্তনের উপর জোর দেন শিক্ষামন্ত্রী। মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট এর উপর গুরুত্বারোপ করে ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা সমবসময়ই শিক্ষার্থীদের পাঠদানকে আনন্দময় করার কথা বলে আসছি এবং পাঠদান তখনই আনন্দময় হবে যখন এতে সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, এ জন্য আমাদের সবার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইসের সহজলভ্যতাকে প্রধান তিনটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, এ সকল সমস্যা সমাধানে সরকার স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ডিভাইস তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছে, যাতে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় সহজেই শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন। সকলের জন্য মাল্টিমিডিয়া এবং ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট সহজলভ্য করার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ফাইভজি (৫জি) প্রযুক্তিকে সমগ্র বিশ্বের জন্য বিশেষত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, রোবোটিক্স, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের অন্যতম প্রযুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী।
সবার জন্য বিদ্যুৎ, শিক্ষা এবং ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করে প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে মানসম্পন্ন শিক্ষা, মানসম্পন্ন ইন্টারনেট এবং মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল ইন্টারনেটের সাথে নাগরিকদের যুক্ত করা। দেশের জনগণের জন্য আমরা ইন্টারনেটকে সাশ্রয়ী, সুলভ এবং অবারিত করতে চাই। তিনি দেশে ৩০০টি ‘স্কুল অফ ফিউচার’ স্থাপন করার পরিকল্পনার কথা জানান। যেখানে প্রতিটি ল্যাবে এআর-ভিআর ল্যাব সুবিধা থাকবে এবং এজন্য কন্টেন্ট এবং জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে বিষয়ে মেটা-কে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে বেগবান করতে মেটা এর কানেক্টিভিটি প্রোগ্রাম কীভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেটা-এর গ্লোবাল হেড অব কানেক্টিভিটি অ্যান্ড অ্যাক্সেস মিসেস মনিকা দেশাই। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে আসা দেশের সরকার ও সংযোগ স্থাপনে নিয়োজিত অংশীদারদেরকে আমরা সহযোগিতা করছি। সাশ্রয়ী মূল্যে এসব প্রযুক্তিতে মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের জন্য নতুন সুযোগ অনুসন্ধানে আমরা তাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের ইনক্লুসিভ ডিজিটাল ইকোনমি অর্জন এবং আঞ্চলিক রোল মডেল হয়ে উঠার ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে মেটার প্রতিশ্রুতির কথাও জানান তিনি।
সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে অপারেশনাল খরচের ব্যয় মেটানোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের বিষয়টি উল্লেখ করে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর চিফ অব স্পেশাল ইনিশিয়েটিভস এবং গিগা এর কো-লিড অ্যালেক্স অং বলেন, বিনিয়োগের সুযোগ ও বাজার তৈরিতে নতুন বিনিয়োগ আর্কষণে সরকারের সাথে মিলে কাজ কাজ করতে পারে গিগা। গিগার ৫ বিলিয়ন ডলার বন্ড কীভাবে কাজে লাগানো হবে তা ব্যাখ্যা করার সময় তিনি জানান, রেগুলেটরি পলিসি রিভিউ এবং পাইলট কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তৈরিতে গিগা সহায়তা করতে পারে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা গ্রহণের অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে। তবে শ্রেণিকক্ষে মানসম্পন্ন পাঠদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যা মহামারির আগেও ছিলো। মহামারির সময়ে পাঠদানের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য হাই-টেক, নো-টেক এবং লো-টেক পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি ভিন্ন রকমের মাল্টি-মডেল শিক্ষণ কৌশল গ্রহণ করতে হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক এই পন্থা তৈরি করতে গিয়ে নীতিনির্ধারকরা নতুন কার্যকর এবং কাস্টমাইজড ব্লেন্ডেড এডুকেশন ইকোসিস্টেম তৈরির কথা চিন্তা করেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড এডুকেশন মাস্টার প্ল্যান তৈরি এবং এর বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ব্লেন্ডেড এডুকেশন ন্যাশনাল টাস্কফোর্স (বেন্ট) এর গবেষণা ও উন্নয়ন উপকমিটির সভাপতি এএনএম জিয়াউল আলম এই প্যানেল আলোচনার সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। প্যানেল আলোচনা মডারেট করেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই এর পলিসি স্পেশালিস্ট মো. আফজাল হোসেন সারোয়ার।
সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশে ইনক্লুসিভ ব্লেন্ডেড এডুকেশন সফল বাস্তবায়নের জন্য অবকাঠামো, ইনোভেশনের জন্য স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, সৃজনশীল কন্টেন্ট রোডম্যাপ এবং অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্বরোপ করতে হবে। ব্লেন্ডেড এডুকেশন ন্যাশনাল টাস্কফোর্স (বেন্ট) এর গবেষণা ও উন্নয়ন উপকমিটি কর্তৃক গত ১৮ নভেম্বর রাতে আয়োজিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়েছে। এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; মেটা (ফেসবুকের পরিবর্তিত নাম) এর গ্লোবাল হেড অব কানেক্টিভিটি অ্যান্ড অ্যাক্সেস মনিকা দেশাই এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর চিফ অব স্পেশাল ইনিশিয়েটিভস এবং গিগা এর কো-লিড অ্যালেক্স অং উপস্থিত ছিলেন।
আলেচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মহামারী চলাকালীন সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং তৈরি হওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে নেওয়া পরিকল্পনায় ব্লেন্ডেড এডুকেশন পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষকদের আরো প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে সৃষ্ট সুযোগগুলো কাজের লাগানোর জন্য তাদের মানসিক পরিবর্তনের উপর জোর দেন শিক্ষামন্ত্রী। মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট এর উপর গুরুত্বারোপ করে ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা সমবসময়ই শিক্ষার্থীদের পাঠদানকে আনন্দময় করার কথা বলে আসছি এবং পাঠদান তখনই আনন্দময় হবে যখন এতে সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, এ জন্য আমাদের সবার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইসের সহজলভ্যতাকে প্রধান তিনটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, এ সকল সমস্যা সমাধানে সরকার স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ডিভাইস তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছে, যাতে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় সহজেই শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন। সকলের জন্য মাল্টিমিডিয়া এবং ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট সহজলভ্য করার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ফাইভজি (৫জি) প্রযুক্তিকে সমগ্র বিশ্বের জন্য বিশেষত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, রোবোটিক্স, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের অন্যতম প্রযুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী।
সবার জন্য বিদ্যুৎ, শিক্ষা এবং ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করে প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে মানসম্পন্ন শিক্ষা, মানসম্পন্ন ইন্টারনেট এবং মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল ইন্টারনেটের সাথে নাগরিকদের যুক্ত করা। দেশের জনগণের জন্য আমরা ইন্টারনেটকে সাশ্রয়ী, সুলভ এবং অবারিত করতে চাই। তিনি দেশে ৩০০টি ‘স্কুল অফ ফিউচার’ স্থাপন করার পরিকল্পনার কথা জানান। যেখানে প্রতিটি ল্যাবে এআর-ভিআর ল্যাব সুবিধা থাকবে এবং এজন্য কন্টেন্ট এবং জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে বিষয়ে মেটা-কে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে বেগবান করতে মেটা এর কানেক্টিভিটি প্রোগ্রাম কীভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেটা-এর গ্লোবাল হেড অব কানেক্টিভিটি অ্যান্ড অ্যাক্সেস মিসেস মনিকা দেশাই। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে আসা দেশের সরকার ও সংযোগ স্থাপনে নিয়োজিত অংশীদারদেরকে আমরা সহযোগিতা করছি। সাশ্রয়ী মূল্যে এসব প্রযুক্তিতে মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের জন্য নতুন সুযোগ অনুসন্ধানে আমরা তাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের ইনক্লুসিভ ডিজিটাল ইকোনমি অর্জন এবং আঞ্চলিক রোল মডেল হয়ে উঠার ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে মেটার প্রতিশ্রুতির কথাও জানান তিনি।
সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে অপারেশনাল খরচের ব্যয় মেটানোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের বিষয়টি উল্লেখ করে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর চিফ অব স্পেশাল ইনিশিয়েটিভস এবং গিগা এর কো-লিড অ্যালেক্স অং বলেন, বিনিয়োগের সুযোগ ও বাজার তৈরিতে নতুন বিনিয়োগ আর্কষণে সরকারের সাথে মিলে কাজ কাজ করতে পারে গিগা। গিগার ৫ বিলিয়ন ডলার বন্ড কীভাবে কাজে লাগানো হবে তা ব্যাখ্যা করার সময় তিনি জানান, রেগুলেটরি পলিসি রিভিউ এবং পাইলট কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তৈরিতে গিগা সহায়তা করতে পারে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা গ্রহণের অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে। তবে শ্রেণিকক্ষে মানসম্পন্ন পাঠদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যা মহামারির আগেও ছিলো। মহামারির সময়ে পাঠদানের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য হাই-টেক, নো-টেক এবং লো-টেক পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি ভিন্ন রকমের মাল্টি-মডেল শিক্ষণ কৌশল গ্রহণ করতে হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক এই পন্থা তৈরি করতে গিয়ে নীতিনির্ধারকরা নতুন কার্যকর এবং কাস্টমাইজড ব্লেন্ডেড এডুকেশন ইকোসিস্টেম তৈরির কথা চিন্তা করেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড এডুকেশন মাস্টার প্ল্যান তৈরি এবং এর বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ব্লেন্ডেড এডুকেশন ন্যাশনাল টাস্কফোর্স (বেন্ট) এর গবেষণা ও উন্নয়ন উপকমিটির সভাপতি এএনএম জিয়াউল আলম এই প্যানেল আলোচনার সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। প্যানেল আলোচনা মডারেট করেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই এর পলিসি স্পেশালিস্ট মো. আফজাল হোসেন সারোয়ার।