ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশের কেনা করোনাভাইরাসের টিকার বাকি চালানগুলো ডিসেম্বর থেকে আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী মাস থেকে ভারত থেকে আবার টিকা আসা শুরু করবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ভারত থেকে সব টিকা চলে আসবে।”
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট।
এ কোম্পানি থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে ওই টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করার দায়িত্ব বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের, তারা বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিড টিকার একক পরিবেশক। আর সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল বাংলাদেশে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।
পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পায় বাংলাদেশ।
কিন্তু মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী চরম আকার ধারণ করলে সেদেশের সরকার এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এদিকে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা কেনার জন্য সরকার চুক্তি করে। সেই টিকার পাশাপাশি টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসছে এখন। সেই টিকা দিয়েই এখন আবার সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ভারত নিজেদের নগরিকদের টিকা দেওয়ার ওপর জোর দেয়। পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলে অক্টোবরে আবার টিকা রপ্তানি শুরুর ঘোষণা দেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারের কেনা কোভিশিল্ড টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ ৯ অক্টোবর দেশে পৌঁছায়। কিন্তু এরপর সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আর কোনো চালান দেশে আসেনি।
চুক্তির যে দুই কোটি ২০ লাখ টিকা এখনও আটকে আছে, সেগুলোই ডিসেম্বরে আসতে শুরু করবে বলে মঙ্গলবার জানালেন সালমান এফ রহমান।
দেশেই করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের উদ্যোগের অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, “ইনসেপ্টার টিকা তৈরি করার সমস্ত সক্ষমতা আছে। চায়নার সাথে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসগুলো ঠিক হয়ে গেলে তারা উৎপাদনে যেতে পারবে।”
আর বেক্সিমকো আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই টিকা উৎপাদনের ‘সক্ষমতা অর্জন করবে’ বলে জানান সালমান এফ রহমান।
চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে এনে বোতলজাতকরণ ও সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি হয় গত অগাস্ট মাসে।
ওই চুক্তির আওতায় চীন থেকে বাল্ক টিকা এনে বাংলাদেশে ভায়ালে ভরা এবং লেবেলিংয়ের কাজটি করবে ইনসেপ্টা। তাদের কাছ থেকে সরকার সেই টিকা কিনে নেবে।
মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশের কেনা করোনাভাইরাসের টিকার বাকি চালানগুলো ডিসেম্বর থেকে আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী মাস থেকে ভারত থেকে আবার টিকা আসা শুরু করবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ভারত থেকে সব টিকা চলে আসবে।”
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট।
এ কোম্পানি থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে ওই টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করার দায়িত্ব বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের, তারা বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিড টিকার একক পরিবেশক। আর সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল বাংলাদেশে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।
পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পায় বাংলাদেশ।
কিন্তু মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী চরম আকার ধারণ করলে সেদেশের সরকার এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এদিকে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা কেনার জন্য সরকার চুক্তি করে। সেই টিকার পাশাপাশি টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসছে এখন। সেই টিকা দিয়েই এখন আবার সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ভারত নিজেদের নগরিকদের টিকা দেওয়ার ওপর জোর দেয়। পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলে অক্টোবরে আবার টিকা রপ্তানি শুরুর ঘোষণা দেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারের কেনা কোভিশিল্ড টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ ৯ অক্টোবর দেশে পৌঁছায়। কিন্তু এরপর সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আর কোনো চালান দেশে আসেনি।
চুক্তির যে দুই কোটি ২০ লাখ টিকা এখনও আটকে আছে, সেগুলোই ডিসেম্বরে আসতে শুরু করবে বলে মঙ্গলবার জানালেন সালমান এফ রহমান।
দেশেই করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের উদ্যোগের অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, “ইনসেপ্টার টিকা তৈরি করার সমস্ত সক্ষমতা আছে। চায়নার সাথে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসগুলো ঠিক হয়ে গেলে তারা উৎপাদনে যেতে পারবে।”
আর বেক্সিমকো আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই টিকা উৎপাদনের ‘সক্ষমতা অর্জন করবে’ বলে জানান সালমান এফ রহমান।
চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে এনে বোতলজাতকরণ ও সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি হয় গত অগাস্ট মাসে।
ওই চুক্তির আওতায় চীন থেকে বাল্ক টিকা এনে বাংলাদেশে ভায়ালে ভরা এবং লেবেলিংয়ের কাজটি করবে ইনসেপ্টা। তাদের কাছ থেকে সরকার সেই টিকা কিনে নেবে।