alt

জাতীয়

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গড়তে হবে বাসযোগ্য পৃথিবী: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক: : শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের ভেতরের দুর্বলতাগুলো দেখিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ব অসংখ্য চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতের মুখোমুখি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই এবং পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত না করি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য সুরক্ষিত পৃথিবী রেখে যেতে পারবো না। যা ইতিমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কবলে পড়েছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে শনিবার দুদিনের এই শান্তি সম্মেলন শুরু হয়। উদ্বোধনী পর্বে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গভবন থেকে যুক্ত হন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। উদ্বোধনের আগে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। থিম সঙ্গীত, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার এবং রোহিঙ্গাসহ নির্যাতিত মানুষের ওপর ভিডিও ক্লিপ পরিদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বে যেকোনো স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। ডাক দিলেই হাজির হয়ে যাব।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, শান্তি মানুষের সকল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। ৫০ বছর আগে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সংবিধানে শান্তির কথা বলতেই লেখা হয়েছে, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু থেকে তিনি বিশ্ব নেতা হয়ে উঠেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই সম্মেলন ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ শীর্ষক একটি সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে। সমাপনী পর্বে সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সভাপতি ও সায়মা ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে ৪৬ সদস্যের আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়। গত মার্চ মাসে এই সম্মেলনের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, আমাদের অবশ্যই ধর্ম, বিশ্বাস, বর্ণ এবং জাতিগত বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একটি সুষম বিশ্বব্যবস্থা সকলের জন্য অপরিহার্য। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে, আমরা সকলে ভাগাভাগি করে এমন একটি গ্রহে বাস করি যার দায়িত্বও আমরা ভাগ করে নিয়েছি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোত্তম পন্থা। আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংঘাতের সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচারের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।

‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই নীতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের পর মানবাধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদান তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার অর্জনের কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তি। যার ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন।

শান্তি সম্মেলনে যোগদানকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের সবাইকে একটি মূল্যবোধ, একটি আদর্শ এবং একটি স্বপ্ন রয়েছে এবং তা হল শান্তি। আমরা শান্তি লালন করি। বিশ্বজুড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আমরা শান্তিকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে দেখি। এবং আমরা যেকোনও মূল্যে শান্তি অর্জন, টেকসই, প্রসার এবং শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমরা সবাই এখানে যোগদান করেছি। এর চেয়ে মহৎ আর কিছু হতে পারে বলে আমি মনে করি না।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ভারতের সাবেক মন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়ার সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার, বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক ও জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ারুল করিম চৌধুরী, মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন রেকর্ডকৃত বক্তব্যে বলেন, শান্তির জন্য সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বাচঁতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে টিকা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, কেউ একা বিশ্বে নিরাপদ নয় যতক্ষণ পর্যন্ত সকলে নিরাপদ হবে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সারাজীবন শান্তির উন্মেষণ করেছেন। মানুষের জন্য শান্তির খোঁজই তাকে কারিশম্যাটিক নেতা হিসেবে উপস্থাপিত করেছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানের শুরুর বক্তব্যে সম্মেলনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন।

সম্মেলনে শান্তি রক্ষায় কাজ করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কবি, সাহিত্যিক, নোবেল বিজয়ী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী ও বুদ্ধিজীবীগণ অংশ নিচ্ছেন। এতে বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে ৬০ জন প্রতিনিধি সশরীরে আসবেন। বাকি ৪০ জন প্রতিনিধি ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।

ছবি

এবারের হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৮২ হাজারের বেশি হাজি, মৃত্যু ৪৪ জনের

ছবি

চলতি বছর ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ১৪ হাজার ছাড়াল, মৃত্যুর শীর্ষ জুনে

ছবি

শুল্ক আলোচনা: দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিষয় একমত

পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় নির্বাচন কমিশন

ছবি

বৃষ্টিপাত কমার আভাস, সরানো হলো সতর্ক সংকেত

ছবি

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম গেলো ত্রিপুরা

৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ উত্তীর্ণ, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে খসড়া অনুমোদন

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য ভিত্তিহীন: পিএসসি

নির্মাণাধীন ভবনে সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তার ফ্ল্যাট, অনুসন্ধানে দুদক

দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত: আলী রীয়াজ

সরকারি নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

অর্থ আত্মসাৎ স্বাস্থ্যের সাবেক পরিচালকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় সড়কে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বার

ছবি

প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে এসএসসিতে অদম্য লিতুন জিরার চমক

ডেঙ্গু: চলতি বছরে আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার, মোট মৃত্যু ৫৪ জনের

ছবি

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, একটি খুনি বাহিনী: নাহিদ

ছবি

মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪ চা শ্রমিকের মৃত্যু, বাগানে শোকের ছায়া

শাপলা-দোয়েল বাদ, যুক্ত হচ্ছে বেগুন, লাউ, লিচু

আইসিসিতে বিচার দাবি অ্যামনেস্টির

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে পানিবন্দী ৬৩,৮৬০ পরিবার, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮ পরিবার, জনদুর্ভোগ চরমে

গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ নতুন সিদ্ধান্ত

আরপিও, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন সংশোধনসহ এক গুচ্ছ সুপারিশ নিয়ে ইসির বৈঠক

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল বোর্ড

মার্কিন শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা আজ শেষ হচ্ছে, প্রথম দিনের আলোচনায় ‘বেশিরভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য’

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সন্তুষ্ট বিএনপি

ছবি

১৫ বছর পর এসএসসি ও সমমানের ফলে ছন্দপতন, ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর ছয় লাখই ফেল

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিচার শুরু, দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

১৮ জুলাই গ্রাহকদের ১ জিবি ফ্রি ডেটা দিতে নির্দেশনা জারি করেছে বিটিআরসি

ছবি

শহীদ ও আহতদের জন্য আলাদা দুটি ফ্ল্যাট প্রকল্প একনেকে যাচ্ছে

ছবি

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী ঐচ্ছিক প্রোটোকলসহ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

মাধ্যমিকে পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রগতি, কিন্তু এখন মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি: আলী রীয়াজ

tab

জাতীয়

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গড়তে হবে বাসযোগ্য পৃথিবী: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:

শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের ভেতরের দুর্বলতাগুলো দেখিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ব অসংখ্য চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতের মুখোমুখি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই এবং পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত না করি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য সুরক্ষিত পৃথিবী রেখে যেতে পারবো না। যা ইতিমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কবলে পড়েছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে শনিবার দুদিনের এই শান্তি সম্মেলন শুরু হয়। উদ্বোধনী পর্বে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গভবন থেকে যুক্ত হন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। উদ্বোধনের আগে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। থিম সঙ্গীত, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার এবং রোহিঙ্গাসহ নির্যাতিত মানুষের ওপর ভিডিও ক্লিপ পরিদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বে যেকোনো স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। ডাক দিলেই হাজির হয়ে যাব।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, শান্তি মানুষের সকল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। ৫০ বছর আগে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সংবিধানে শান্তির কথা বলতেই লেখা হয়েছে, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু থেকে তিনি বিশ্ব নেতা হয়ে উঠেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই সম্মেলন ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ শীর্ষক একটি সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে। সমাপনী পর্বে সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সভাপতি ও সায়মা ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে ৪৬ সদস্যের আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়। গত মার্চ মাসে এই সম্মেলনের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, আমাদের অবশ্যই ধর্ম, বিশ্বাস, বর্ণ এবং জাতিগত বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একটি সুষম বিশ্বব্যবস্থা সকলের জন্য অপরিহার্য। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে, আমরা সকলে ভাগাভাগি করে এমন একটি গ্রহে বাস করি যার দায়িত্বও আমরা ভাগ করে নিয়েছি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোত্তম পন্থা। আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংঘাতের সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচারের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।

‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই নীতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের পর মানবাধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদান তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার অর্জনের কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তি। যার ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন।

শান্তি সম্মেলনে যোগদানকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের সবাইকে একটি মূল্যবোধ, একটি আদর্শ এবং একটি স্বপ্ন রয়েছে এবং তা হল শান্তি। আমরা শান্তি লালন করি। বিশ্বজুড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আমরা শান্তিকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে দেখি। এবং আমরা যেকোনও মূল্যে শান্তি অর্জন, টেকসই, প্রসার এবং শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমরা সবাই এখানে যোগদান করেছি। এর চেয়ে মহৎ আর কিছু হতে পারে বলে আমি মনে করি না।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ভারতের সাবেক মন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়ার সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার, বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক ও জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ারুল করিম চৌধুরী, মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন রেকর্ডকৃত বক্তব্যে বলেন, শান্তির জন্য সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বাচঁতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে টিকা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, কেউ একা বিশ্বে নিরাপদ নয় যতক্ষণ পর্যন্ত সকলে নিরাপদ হবে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সারাজীবন শান্তির উন্মেষণ করেছেন। মানুষের জন্য শান্তির খোঁজই তাকে কারিশম্যাটিক নেতা হিসেবে উপস্থাপিত করেছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানের শুরুর বক্তব্যে সম্মেলনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন।

সম্মেলনে শান্তি রক্ষায় কাজ করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কবি, সাহিত্যিক, নোবেল বিজয়ী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী ও বুদ্ধিজীবীগণ অংশ নিচ্ছেন। এতে বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে ৬০ জন প্রতিনিধি সশরীরে আসবেন। বাকি ৪০ জন প্রতিনিধি ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।

back to top