তিস্তাসহ দেশের সব কটি নদ-নদীর পানি এবং প্রতিবেশব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। কারণ, এ অঞ্চলের নদীগুলো শুধু পানির উৎস নয়; এটিকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবন, জীবিকা ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলে পানিকেন্দ্রিক এই জীবন-জীবিকা রক্ষায় তিস্তার মতো নদীকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য এই নদীর তীরবর্তী মানুষকে যুক্ত করতে হবে, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ ও প্রাণ–প্রকৃতিকে রক্ষা করে আমাদের এগোতে হবে।
আজ শনিবার ঢাকায় শেষ হওয়া সপ্তম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন। সভাপতির বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত বক্তব্য ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’—এ মন্তব্য উদ্বৃত্ত করে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘যেকোনো সম্মেলনের শেষ বলে কিছু নেই। এটা তিস্তা নিয়ে আমাদের আলোচনার নতুন করে সূত্রপাত হতে পারে।’
সূচনা বক্তব্যে অ্যাকশনএইড, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘১৫টি দেশের মানুষ এই সম্মেলনে অংশ নেন। তিস্তা নিয়ে সমন্বিত অববাহিকাভিত্তিক একটি ব্যবস্থাপনা দরকার। এই নদীকে বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে দেখলে হবে না; একে প্রাণ-প্রকৃতির অংশ হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের জীবন, সংস্কৃতি ও জীবিকার অংশ হিসেবে এই নদীকে বিবেচনা করতে হবে। সর্বোপরি একে একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে দেখতে হবে।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার আলোকে নদীকে দেখতে হবে। পানি একটি কৌশলগত সম্পদ। ফলে এর ব্যবস্থাপনাকে সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের নীতিনির্ধারকদের সরকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে জনগণকে কেন্দ্রে রেখে তিস্তা নিয়ে চিন্তা ও পরিকল্পনা করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অন ওয়াটার মিউজিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এরিবার্টো ইউলিসি বলেন, ‘পানি জাদুঘর বিশ্বের পানিসম্পদের ধরন ও এর সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংস্কৃতিকে ধরে রাখে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সেগুলো তুলে ধরে। এ ছাড়া প্রতিটি নদীর পানির বৈশিষ্ট্য, প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং এর পরিবর্তন সম্পর্কেও এটি আমাদের ধারণা দেয়।’
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
তিস্তাসহ দেশের সব কটি নদ-নদীর পানি এবং প্রতিবেশব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। কারণ, এ অঞ্চলের নদীগুলো শুধু পানির উৎস নয়; এটিকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবন, জীবিকা ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলে পানিকেন্দ্রিক এই জীবন-জীবিকা রক্ষায় তিস্তার মতো নদীকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য এই নদীর তীরবর্তী মানুষকে যুক্ত করতে হবে, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ ও প্রাণ–প্রকৃতিকে রক্ষা করে আমাদের এগোতে হবে।
আজ শনিবার ঢাকায় শেষ হওয়া সপ্তম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন। সভাপতির বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত বক্তব্য ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’—এ মন্তব্য উদ্বৃত্ত করে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘যেকোনো সম্মেলনের শেষ বলে কিছু নেই। এটা তিস্তা নিয়ে আমাদের আলোচনার নতুন করে সূত্রপাত হতে পারে।’
সূচনা বক্তব্যে অ্যাকশনএইড, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘১৫টি দেশের মানুষ এই সম্মেলনে অংশ নেন। তিস্তা নিয়ে সমন্বিত অববাহিকাভিত্তিক একটি ব্যবস্থাপনা দরকার। এই নদীকে বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে দেখলে হবে না; একে প্রাণ-প্রকৃতির অংশ হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের জীবন, সংস্কৃতি ও জীবিকার অংশ হিসেবে এই নদীকে বিবেচনা করতে হবে। সর্বোপরি একে একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে দেখতে হবে।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার আলোকে নদীকে দেখতে হবে। পানি একটি কৌশলগত সম্পদ। ফলে এর ব্যবস্থাপনাকে সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের নীতিনির্ধারকদের সরকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে জনগণকে কেন্দ্রে রেখে তিস্তা নিয়ে চিন্তা ও পরিকল্পনা করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অন ওয়াটার মিউজিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এরিবার্টো ইউলিসি বলেন, ‘পানি জাদুঘর বিশ্বের পানিসম্পদের ধরন ও এর সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংস্কৃতিকে ধরে রাখে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সেগুলো তুলে ধরে। এ ছাড়া প্রতিটি নদীর পানির বৈশিষ্ট্য, প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং এর পরিবর্তন সম্পর্কেও এটি আমাদের ধারণা দেয়।’