alt

জাতীয়

‘সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিল’ সংসদে উঠছে আজ

তাড়াহুড়ার অইনে কল্যাণ হবে না : সন্তব্য শামসুল হুদার

ফয়েজ আহমেদ তুষার : রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও তা একটি আইনের অধীনে হবে বলে উল্লেখ করা আছে। গত ৫০ বছরেও সেই আইন না হওয়ায় বরাবরই নির্বাচন কমিশন গঠনে দেখা দেয় বিতর্ক। তা এড়াতে গত দুই বার সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগের একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হলেও বিতর্ক থামেনি।

টানা পাঁচ দিন বিরতির পর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক আজ বেলা ১১টায় বসছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজই বিলটি সংসদে উত্থাপন করবেন। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটির রিপোর্টের ওপর সংসদে আলোচনা করে ভোটভুটির মাধ্যমে বিলটি পাস করতে হবে।

চলতি অধিবেশনেই এটি পাস হবে এবং নতুন আইনের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী। নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। এ লক্ষ্যে মতামত নিতে রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন। সংলাপে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নতুন ইসি গঠনের পক্ষে মত দেয়। ‘সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটির প্রয়োজন নেই’- বেশ কয়েকটি দল এমন মত দিলেও আইনটি কেমন হওয়া উচিত এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোন রূপরেখা কোন দলই রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়নি।

গত ১৭ জানুয়ারি ইসি গঠন সংক্রান্ত আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের আমলে বিগত দুই মেয়াদে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করা হয়েছে। আইনে সার্চ কমিটি এবং গত দুই কমিশনের সদস্যদের বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এই আইন সংসদে পাস হলে ইতিপূর্বে গঠিত সার্চ কমিটি এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বৈধ হবে এবং উক্ত বিষয়ে আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতিকে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়, তাই ইসি গঠনে ক্ষমতাসীনদের পছন্দের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সুবিধামতো ধারা যুক্ত করে আইনটি পাস করতে আওয়ামী লীগের কোন অসুবিধা হবে না।

ছবি

১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

ছবি

দু’দিনের সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

ছবি

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

ছবি

আনু মুহাম্মদের পায়ে ‌‘কম্বাইন্ড অপারেশন’ দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, বাড়লো আরও ৩ দিন

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই কি এত তাপ?

ছবি

ভারতের উজানে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিস্তা মরা খালে পরিনত হয়েছে

ছবি

তাপদাহ : হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ছবি

পিছিয়ে নেই নারীরাও তামিলনাড়ু থেকে ট্রাক নিয়ে বেনাপোল এলেন অন্নপূর্ণা

ছবি

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির, ১১ টি চুক্তি-সমঝোতা

tab

জাতীয়

‘সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিল’ সংসদে উঠছে আজ

তাড়াহুড়ার অইনে কল্যাণ হবে না : সন্তব্য শামসুল হুদার

ফয়েজ আহমেদ তুষার

রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও তা একটি আইনের অধীনে হবে বলে উল্লেখ করা আছে। গত ৫০ বছরেও সেই আইন না হওয়ায় বরাবরই নির্বাচন কমিশন গঠনে দেখা দেয় বিতর্ক। তা এড়াতে গত দুই বার সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগের একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হলেও বিতর্ক থামেনি।

টানা পাঁচ দিন বিরতির পর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক আজ বেলা ১১টায় বসছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজই বিলটি সংসদে উত্থাপন করবেন। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটির রিপোর্টের ওপর সংসদে আলোচনা করে ভোটভুটির মাধ্যমে বিলটি পাস করতে হবে।

চলতি অধিবেশনেই এটি পাস হবে এবং নতুন আইনের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী। নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। এ লক্ষ্যে মতামত নিতে রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন। সংলাপে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নতুন ইসি গঠনের পক্ষে মত দেয়। ‘সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটির প্রয়োজন নেই’- বেশ কয়েকটি দল এমন মত দিলেও আইনটি কেমন হওয়া উচিত এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোন রূপরেখা কোন দলই রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়নি।

গত ১৭ জানুয়ারি ইসি গঠন সংক্রান্ত আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের আমলে বিগত দুই মেয়াদে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করা হয়েছে। আইনে সার্চ কমিটি এবং গত দুই কমিশনের সদস্যদের বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এই আইন সংসদে পাস হলে ইতিপূর্বে গঠিত সার্চ কমিটি এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বৈধ হবে এবং উক্ত বিষয়ে আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতিকে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়, তাই ইসি গঠনে ক্ষমতাসীনদের পছন্দের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সুবিধামতো ধারা যুক্ত করে আইনটি পাস করতে আওয়ামী লীগের কোন অসুবিধা হবে না।

back to top