আ-মরি বাংলা ভাষা
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। বুদ্ধিজীবী মহলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা নিয়ে আলোচনা চলছিল আর এটার প্রচারণা চালাচ্ছিল কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘আজাদ’ পত্রিকা। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আজাদে এই বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তারই প্রেক্ষিতে, বাংলা ভাষার দাবিতে ১০ জুলাই কলকাতার ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় হামিদা রহমান প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেন। হামিদা রহমান ছিলেন যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজের (এম এম কলেজ) একজন ছাত্রী। বর্তমানে তার নামে একটি ছাত্রী হল রয়েছে এম এম কলেজে।
‘পাকিস্তান জনগণের রাষ্ট্র। তাই তার ভাষা হবে জনগণের ভাষা। বাংলার সাড়ে চার কোটি লোক যে ভাষায় কথা বলে, যে ভাষায় সাহিত্য রচনা করে, যে ভাষায় মনের ভাব ব্যক্ত করে সে ভাষা তাদের নিজস্ব ভাষা হবে না, এও কি বিশ্বাস করতে হবে?’ বাংলা ভাষার দাবিতে ১৯৪৭ সালের ১০ জুলাই কলকাতা থেকে প্রকাশিত কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় এই চিঠিটি লিখেছিলেন যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজের ছাত্রী হামিদা রহমান। বাংলা ভাষার দাবিতে এটিই ছিল পত্রিকায় ছাপা প্রথম চিঠি।
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এম এম কলেজের এলভি মিটার লেকচার হল থেকে পরিচালিত হয় ভাষা আন্দোলন। এটিকেই অনেকে ভাষা আন্দোলনের আঁতুরঘর বলে থাকেন। এই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে যারা সদস্য ছিলেন, তারা হলেন- আলমগীর সিদ্দিকী, রঞ্জিত মিত্র, হামিদা সেলিম, সুধির কুমার রায়, দেবীপদ, নাজিম উদ্দিন, আফসার আহমেদ সিদ্দিকী, হামিদা রহমান, হায়বাতুল্লাহ জোয়ার্দ্দার, সুনীল রায়, অশোক ঘোষ প্রমুখ এবং পরে এই কমিটিতে ডা. জীবন রতন ধর, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অনন্ত মিত্র, ও আবদুল খালেক প্রমুখকে যুক্ত করা হয়।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সভা করে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে এবং সেটা জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এর ফলে ভাষা আন্দোলনের গতি আরও বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতেই শিক্ষার্থী আলমগীর সিদ্দিকী, নাজিম উদ্দিন, আফসার আহমেদ সিদ্দিকী, হামিদা রহমান, হায়বাতুল্লাহ জোয়ার্দ্দারসহ আরও কয়েকজন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংবাদপত্রে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি এম এম কলেজের পুরাতন কলেজ ভবনের লেকচার হলে ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২ মার্চ কলেজে ছাত্র ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টানটান উত্তেজনার মধ্যে ২ মার্চ কলেজে পূর্ণ ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। এরপর ১০ মার্চ যশোরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোমানী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে সভা, সমাবেশ, মিছিল, পিকেটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
সেই ১৪৪ ধারা ভেঙে ১১ মার্চ বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাজপথে নেমে আসে। সেই মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে টিএন্ডটি ভবনের সামনে সমাবেশ করলে পুলিশ সেখান থেকে বহু নেতা ও ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। এই নির্যাতনের প্রতিবাদে ১২ মার্চ আবারও ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয় যশোরে।
১৩ মার্চ হরতাল সফল করতে শিক্ষার্থী ও যশোরের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। সকালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে সব শ্রেণীর মানুষ ও সরকারি কর্মচারী যোগ দেন। মিছিলটি ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় যশোর কালেক্টরেট ভবনের দিকে এগোতে চাইলে দড়াটানায় পুলিশ বাধা দেয়।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আবদুল জব্বারের নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলে হামলা চালায়। বেধড়ক লাঠিপেটায় মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ, কিন্তু সংগ্রামী ছাত্র-জনতা হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সংগ্রামী ছাত্র-জনতা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে ডা. জীবন রতন ধর, আলমগীর সিদ্দিকী, আফসার আহম্মেদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা কালেক্টরেট ভবনে ঢুকে জানালা-দরজা ভাঙচুর করে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোমানীর অফিসেও হামলা চালায়। ছাত্রদের ইটের আঘাতে আহত হন ওসি জব্বার। কোতয়ালি থানার দারোগার মাথা ফেটে যায়।
পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালালে সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর সিদ্দিকী আহত হন। তার পায়ে গুলি লাগে। পরে এসব বিষয় যশোরের আইন পরিষদের সদস্য খান বাহাদুর লুৎফর রহমানকে জানান সংগ্রাম পরিষদ নেতারা এবং পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনকে ঘটনা জানিয়ে টেলিগ্রাম করেন।
১৮ মার্চ রাজবন্দী মুক্তি দিবস পালন করা হয়। এ বিষয়ে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ২০ মার্চ ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। চারিদিকে এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে ১৯৪৮ সালের ২৯ মার্চ তারিখে আটক ভাষা সৈনিকদের মুক্তি দেয়া হয়। এভাবে প্রথম ধাপে যশোরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ভাষা আন্দোলনের কার্যক্রম চলে। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে দেশব্যাপী যখন ভাষা আন্দোলন আরও তুঙ্গে তখনও যশোর ছিল সরব। ২২ ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম শহীদ মিনার তৈরি করে মশিউর রহমান সর্দারের বাড়ির সামনে, যেটা বর্তমান সার্কিট হাউজের সামনে। অবশ্য ১৯৬২ সালে এম এম কলেজের দক্ষিণ গেটের পাশে স্থায়ীভাবে যশোরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে যশোর নামটি এক অবাক বিস্ময়, কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেসব কালেরসাক্ষী ধরে রাখতে তেমন কোন উদ্যেগ নেই। কেবলমাত্র যশোর টাউন হলের নামকরণ করা হয়েছে ভাষাসৈনিক আলমগীর সিদ্দিকী হল এবং ভাষাসৈনিক হামিদা রহমানের নামে যশোর এম এম কলেজে একটি ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সূতিকাগার যে পুরাতন কলেজ ভবন, সেটি আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
আ-মরি বাংলা ভাষা
বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। বুদ্ধিজীবী মহলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা নিয়ে আলোচনা চলছিল আর এটার প্রচারণা চালাচ্ছিল কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘আজাদ’ পত্রিকা। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আজাদে এই বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তারই প্রেক্ষিতে, বাংলা ভাষার দাবিতে ১০ জুলাই কলকাতার ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় হামিদা রহমান প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেন। হামিদা রহমান ছিলেন যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজের (এম এম কলেজ) একজন ছাত্রী। বর্তমানে তার নামে একটি ছাত্রী হল রয়েছে এম এম কলেজে।
‘পাকিস্তান জনগণের রাষ্ট্র। তাই তার ভাষা হবে জনগণের ভাষা। বাংলার সাড়ে চার কোটি লোক যে ভাষায় কথা বলে, যে ভাষায় সাহিত্য রচনা করে, যে ভাষায় মনের ভাব ব্যক্ত করে সে ভাষা তাদের নিজস্ব ভাষা হবে না, এও কি বিশ্বাস করতে হবে?’ বাংলা ভাষার দাবিতে ১৯৪৭ সালের ১০ জুলাই কলকাতা থেকে প্রকাশিত কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় এই চিঠিটি লিখেছিলেন যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজের ছাত্রী হামিদা রহমান। বাংলা ভাষার দাবিতে এটিই ছিল পত্রিকায় ছাপা প্রথম চিঠি।
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এম এম কলেজের এলভি মিটার লেকচার হল থেকে পরিচালিত হয় ভাষা আন্দোলন। এটিকেই অনেকে ভাষা আন্দোলনের আঁতুরঘর বলে থাকেন। এই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে যারা সদস্য ছিলেন, তারা হলেন- আলমগীর সিদ্দিকী, রঞ্জিত মিত্র, হামিদা সেলিম, সুধির কুমার রায়, দেবীপদ, নাজিম উদ্দিন, আফসার আহমেদ সিদ্দিকী, হামিদা রহমান, হায়বাতুল্লাহ জোয়ার্দ্দার, সুনীল রায়, অশোক ঘোষ প্রমুখ এবং পরে এই কমিটিতে ডা. জীবন রতন ধর, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অনন্ত মিত্র, ও আবদুল খালেক প্রমুখকে যুক্ত করা হয়।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সভা করে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে এবং সেটা জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এর ফলে ভাষা আন্দোলনের গতি আরও বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতেই শিক্ষার্থী আলমগীর সিদ্দিকী, নাজিম উদ্দিন, আফসার আহমেদ সিদ্দিকী, হামিদা রহমান, হায়বাতুল্লাহ জোয়ার্দ্দারসহ আরও কয়েকজন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংবাদপত্রে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি এম এম কলেজের পুরাতন কলেজ ভবনের লেকচার হলে ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২ মার্চ কলেজে ছাত্র ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টানটান উত্তেজনার মধ্যে ২ মার্চ কলেজে পূর্ণ ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। এরপর ১০ মার্চ যশোরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোমানী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে সভা, সমাবেশ, মিছিল, পিকেটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
সেই ১৪৪ ধারা ভেঙে ১১ মার্চ বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাজপথে নেমে আসে। সেই মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে টিএন্ডটি ভবনের সামনে সমাবেশ করলে পুলিশ সেখান থেকে বহু নেতা ও ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। এই নির্যাতনের প্রতিবাদে ১২ মার্চ আবারও ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয় যশোরে।
১৩ মার্চ হরতাল সফল করতে শিক্ষার্থী ও যশোরের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। সকালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে সব শ্রেণীর মানুষ ও সরকারি কর্মচারী যোগ দেন। মিছিলটি ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় যশোর কালেক্টরেট ভবনের দিকে এগোতে চাইলে দড়াটানায় পুলিশ বাধা দেয়।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আবদুল জব্বারের নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলে হামলা চালায়। বেধড়ক লাঠিপেটায় মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ, কিন্তু সংগ্রামী ছাত্র-জনতা হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সংগ্রামী ছাত্র-জনতা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে ডা. জীবন রতন ধর, আলমগীর সিদ্দিকী, আফসার আহম্মেদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা কালেক্টরেট ভবনে ঢুকে জানালা-দরজা ভাঙচুর করে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোমানীর অফিসেও হামলা চালায়। ছাত্রদের ইটের আঘাতে আহত হন ওসি জব্বার। কোতয়ালি থানার দারোগার মাথা ফেটে যায়।
পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালালে সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর সিদ্দিকী আহত হন। তার পায়ে গুলি লাগে। পরে এসব বিষয় যশোরের আইন পরিষদের সদস্য খান বাহাদুর লুৎফর রহমানকে জানান সংগ্রাম পরিষদ নেতারা এবং পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনকে ঘটনা জানিয়ে টেলিগ্রাম করেন।
১৮ মার্চ রাজবন্দী মুক্তি দিবস পালন করা হয়। এ বিষয়ে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ২০ মার্চ ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। চারিদিকে এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে ১৯৪৮ সালের ২৯ মার্চ তারিখে আটক ভাষা সৈনিকদের মুক্তি দেয়া হয়। এভাবে প্রথম ধাপে যশোরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ভাষা আন্দোলনের কার্যক্রম চলে। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে দেশব্যাপী যখন ভাষা আন্দোলন আরও তুঙ্গে তখনও যশোর ছিল সরব। ২২ ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম শহীদ মিনার তৈরি করে মশিউর রহমান সর্দারের বাড়ির সামনে, যেটা বর্তমান সার্কিট হাউজের সামনে। অবশ্য ১৯৬২ সালে এম এম কলেজের দক্ষিণ গেটের পাশে স্থায়ীভাবে যশোরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে যশোর নামটি এক অবাক বিস্ময়, কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেসব কালেরসাক্ষী ধরে রাখতে তেমন কোন উদ্যেগ নেই। কেবলমাত্র যশোর টাউন হলের নামকরণ করা হয়েছে ভাষাসৈনিক আলমগীর সিদ্দিকী হল এবং ভাষাসৈনিক হামিদা রহমানের নামে যশোর এম এম কলেজে একটি ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সূতিকাগার যে পুরাতন কলেজ ভবন, সেটি আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।