আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় সাত লাখ গবাদী পশু খামারী পশু মোটাতাজা করা নিয়ে শেষ মূহ’তের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর মোটাতাজা করণের জন্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি জেলা উপজেলায় খামারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা সর্বক্ষণ বিষয়টি তদারকি করছেন।
অপর দিকে সারাদেশের গবাদী পশুর পরিসংখ্যান ও তথ্য জানার জন্য প্রণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জেলা ও উপজেলায় চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে থেকে জানা গেছে, কোরবানীর ঈদের চার মাস আগে গরু,মহিষ,ছাগল ,ভেড়া ও দুম্বার খামারীরা পশু মোটাতাজা শুরু করেছেন। এই মোটা তাজা শুরু করার কৌশল নিয়ে খামারীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় ১শ জনকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
গেল বছর সারাদেশে ছোট বড় মিলে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১১৫টি খামার ছিল। এই বছর খামারীর সংখ্যা আগের চেয়ে আরও কিছু বাড়বে বলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মনে করেন।
গেল বছর করোনা মহামারীর সময় কোরবানীর ঈদের চাহিদা ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৪শ ৬৭টি। তবে কোরবানীর ঈদে গবাদী পশু জবাই হয়েছে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ১৪টি।
সেই হিসেবে চলতি বছর এই সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের বেশী টার্গেট নেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, খামারীর সংখ্যা ছোট বড় মিলে মোট ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১১৫টি। সর্বনিম্ন ২টি কোরবানীর পশু থাকলেও তা একটি খামার হিসেবে ধরা হয়েছে। কারো হয়ত ৫টি গরুর মধ্যে তিনটি কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তাও একটি খামার।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,চলতি মাসে কোরবানীর পশুর হিসাবের তথ্য আরও হালনাগাদ জানতে অধিদপ্তর থেকে চিঠি চালাচালি শুরু হয়ে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের সকল তথ্য মন্ত্রণালয়ে পৌছানোর পর বিষয়টির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিস্তরিত তুলে ধরা হবে।
আমাদের নওগাঁ রিপোর্টর কাজী কামাল হোসেন জানান, নওগাঁয়ের থামারীরা গবাদি পশু পালনে ব্যস্ত সময় কাটছেন। তারা অতি যতেœ খামারে কোরবানির গবাদি পশু প্রস্তুত করে তুলছেন মুনাফা লাভের আশায়।
নওগাঁয় এইবার ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১৫টি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন এ অঞ্চলের খামারিরা। গত বছর কোরবানিতে এর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮২টি। সেই হিসেবে এবার প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩৩টি পশু বেশি প্রস্তুত করছে বিক্রির জন্য।
এ বছর ঈদুল আজহায় নওগাঁয় প্রায় ৩ লাখ গবাদি পশু কোরবানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতর। সেই হিসেবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি ৮০ হাজার কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু বেশি রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় বিক্রি করা যাবে।
নওগাঁ জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় কোরবানিযোগ্য মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১৫টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮২টি গরু-মহিষ এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ছাগল-ভেড়া রয়েছে।
জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন খাঁন জানান, প্রাকৃতিকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের জন্য নওগাঁয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় মোট খামারি ৩১ হাজার ৩৪০ জন। এছাড়া কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ঈদের আগে হয়তো বা জেলার ২৮টি কোরবানির হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দিবে সরকার। এছাড়াও খামারিদের গবাদি পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
জেলার দুলু মিয়া, বেল্লাল হোসেন, আমজাদ আলীসহ একাধিক খামারি জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু পালনকারী বড়-ছোট সব খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রত্যেক খামারি তাদের প্রিয় পশুটি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে শেষ বেলায় পশুর পরিচর্যায় বস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খোজ নিয়ে আরও জানা গেছে, গেল বছর করোনা মহামারীর কারনে অনেকেই কোরবানীর হাটে যায়নি বা কোরবান দেয়নি। এইবার কোরবানীর দেয়ার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ কমতে থাকায় স্বাবলম্বী অনেকেই কোরবানী দিতে পারেন বলে অনেকেই আলোচনা করছেন। রমজানের ঈদের পরে কোরবানীর ঈদ। এই ঈদে গরু,মহিষ,ছাগল,ভেড়া,দুম্বা,উট অনেকেই কোরবানী দেন। এই সব গবাদী পশু অনেকেই বছর জুড়ে পালন করে কোরবানীর সময় গবাদী পশুর হাটে বিক্রি করেন। এই ছাড়াও অনেকেই কোরবানীর পশু সুস্থ্য রাখতে এখনই পশু চিকিৎসকদেরকে সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পশু চিকিৎসকরা খামারীদেরকে গাইডলাইন দিয়ে সহায়তা করছেন। অভিযোগ রয়েছে,অনেক খামারী লোভে পড়ে পশু মোটাতাজা করার জন্য নানা কৌশল বা নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়াচ্ছেন। যা ঠিক নয় বলে। অনেকেই মন্তব্য করেন।
পরিসংখ্যান জানতে চিঠি :
গতকাল রাতে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, সারাদেশের কোরবানীর পশুর তথ্য জানতে গত ৯ জুলাই জেলায় জেলায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে পরিসংখ্যার পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। কোরবানীর পশু মোটাতাজা করতে গিয়ে কোন খামারের মালিক অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পশু জবাই করার সময় যাতে চামড়ার কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা পশু জবাই করবেন তাদেরকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রাণী সম্পদ অধিপ্তর কাজ করছেন বলে জানান।
এ বছর,গরু,মহিষ,ছাগল,ভেড়া,দুম্বা, উট কোরবানীর উপযোগী ১ কোটি ২০ লাখ পশুর টার্গেট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশ বা সীমান্ত থেকে গবাদী পশূ দেশে না আনলে খামারীরা দাম পাবে বলে আশাবাদী। আর চোরাই পথে কোরবানীর পশু আনা হলে খামারীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে অনেকেই মন্তব্য বরেন।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে,কোন খামারীর মালিক পশু মোটাতাজা করে বেশী দাম পাওয়ার জন্য স্ট্ররয়েড জাতীয় ক্ষতিকর কিছু কোরবানীর পশুকে খাওয়ালে প্রমাণ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।
তাই আগ থেকে ডাক্তারা সতর্ক হয়েছে। আক্রান্ত ক্ষতিকর পশুর খোজ খবর নিচ্ছেন পশু ডাক্তারা। দেশবাসী যাতে সুস্থ্য সবল পশু কোরবান দিতে পারেন তার জন্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর কাজ করছেন।
শনিবার, ১৪ মে ২০২২
আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় সাত লাখ গবাদী পশু খামারী পশু মোটাতাজা করা নিয়ে শেষ মূহ’তের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর মোটাতাজা করণের জন্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি জেলা উপজেলায় খামারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা সর্বক্ষণ বিষয়টি তদারকি করছেন।
অপর দিকে সারাদেশের গবাদী পশুর পরিসংখ্যান ও তথ্য জানার জন্য প্রণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জেলা ও উপজেলায় চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে থেকে জানা গেছে, কোরবানীর ঈদের চার মাস আগে গরু,মহিষ,ছাগল ,ভেড়া ও দুম্বার খামারীরা পশু মোটাতাজা শুরু করেছেন। এই মোটা তাজা শুরু করার কৌশল নিয়ে খামারীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় ১শ জনকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
গেল বছর সারাদেশে ছোট বড় মিলে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১১৫টি খামার ছিল। এই বছর খামারীর সংখ্যা আগের চেয়ে আরও কিছু বাড়বে বলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মনে করেন।
গেল বছর করোনা মহামারীর সময় কোরবানীর ঈদের চাহিদা ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৪শ ৬৭টি। তবে কোরবানীর ঈদে গবাদী পশু জবাই হয়েছে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ১৪টি।
সেই হিসেবে চলতি বছর এই সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের বেশী টার্গেট নেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, খামারীর সংখ্যা ছোট বড় মিলে মোট ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১১৫টি। সর্বনিম্ন ২টি কোরবানীর পশু থাকলেও তা একটি খামার হিসেবে ধরা হয়েছে। কারো হয়ত ৫টি গরুর মধ্যে তিনটি কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তাও একটি খামার।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,চলতি মাসে কোরবানীর পশুর হিসাবের তথ্য আরও হালনাগাদ জানতে অধিদপ্তর থেকে চিঠি চালাচালি শুরু হয়ে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের সকল তথ্য মন্ত্রণালয়ে পৌছানোর পর বিষয়টির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিস্তরিত তুলে ধরা হবে।
আমাদের নওগাঁ রিপোর্টর কাজী কামাল হোসেন জানান, নওগাঁয়ের থামারীরা গবাদি পশু পালনে ব্যস্ত সময় কাটছেন। তারা অতি যতেœ খামারে কোরবানির গবাদি পশু প্রস্তুত করে তুলছেন মুনাফা লাভের আশায়।
নওগাঁয় এইবার ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১৫টি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন এ অঞ্চলের খামারিরা। গত বছর কোরবানিতে এর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮২টি। সেই হিসেবে এবার প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩৩টি পশু বেশি প্রস্তুত করছে বিক্রির জন্য।
এ বছর ঈদুল আজহায় নওগাঁয় প্রায় ৩ লাখ গবাদি পশু কোরবানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতর। সেই হিসেবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি ৮০ হাজার কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু বেশি রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় বিক্রি করা যাবে।
নওগাঁ জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় কোরবানিযোগ্য মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১৫টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮২টি গরু-মহিষ এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ছাগল-ভেড়া রয়েছে।
জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন খাঁন জানান, প্রাকৃতিকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের জন্য নওগাঁয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় মোট খামারি ৩১ হাজার ৩৪০ জন। এছাড়া কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ঈদের আগে হয়তো বা জেলার ২৮টি কোরবানির হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দিবে সরকার। এছাড়াও খামারিদের গবাদি পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
জেলার দুলু মিয়া, বেল্লাল হোসেন, আমজাদ আলীসহ একাধিক খামারি জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু পালনকারী বড়-ছোট সব খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রত্যেক খামারি তাদের প্রিয় পশুটি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে শেষ বেলায় পশুর পরিচর্যায় বস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খোজ নিয়ে আরও জানা গেছে, গেল বছর করোনা মহামারীর কারনে অনেকেই কোরবানীর হাটে যায়নি বা কোরবান দেয়নি। এইবার কোরবানীর দেয়ার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ কমতে থাকায় স্বাবলম্বী অনেকেই কোরবানী দিতে পারেন বলে অনেকেই আলোচনা করছেন। রমজানের ঈদের পরে কোরবানীর ঈদ। এই ঈদে গরু,মহিষ,ছাগল,ভেড়া,দুম্বা,উট অনেকেই কোরবানী দেন। এই সব গবাদী পশু অনেকেই বছর জুড়ে পালন করে কোরবানীর সময় গবাদী পশুর হাটে বিক্রি করেন। এই ছাড়াও অনেকেই কোরবানীর পশু সুস্থ্য রাখতে এখনই পশু চিকিৎসকদেরকে সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পশু চিকিৎসকরা খামারীদেরকে গাইডলাইন দিয়ে সহায়তা করছেন। অভিযোগ রয়েছে,অনেক খামারী লোভে পড়ে পশু মোটাতাজা করার জন্য নানা কৌশল বা নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়াচ্ছেন। যা ঠিক নয় বলে। অনেকেই মন্তব্য করেন।
পরিসংখ্যান জানতে চিঠি :
গতকাল রাতে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, সারাদেশের কোরবানীর পশুর তথ্য জানতে গত ৯ জুলাই জেলায় জেলায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে পরিসংখ্যার পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। কোরবানীর পশু মোটাতাজা করতে গিয়ে কোন খামারের মালিক অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পশু জবাই করার সময় যাতে চামড়ার কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা পশু জবাই করবেন তাদেরকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রাণী সম্পদ অধিপ্তর কাজ করছেন বলে জানান।
এ বছর,গরু,মহিষ,ছাগল,ভেড়া,দুম্বা, উট কোরবানীর উপযোগী ১ কোটি ২০ লাখ পশুর টার্গেট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশ বা সীমান্ত থেকে গবাদী পশূ দেশে না আনলে খামারীরা দাম পাবে বলে আশাবাদী। আর চোরাই পথে কোরবানীর পশু আনা হলে খামারীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে অনেকেই মন্তব্য বরেন।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে,কোন খামারীর মালিক পশু মোটাতাজা করে বেশী দাম পাওয়ার জন্য স্ট্ররয়েড জাতীয় ক্ষতিকর কিছু কোরবানীর পশুকে খাওয়ালে প্রমাণ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।
তাই আগ থেকে ডাক্তারা সতর্ক হয়েছে। আক্রান্ত ক্ষতিকর পশুর খোজ খবর নিচ্ছেন পশু ডাক্তারা। দেশবাসী যাতে সুস্থ্য সবল পশু কোরবান দিতে পারেন তার জন্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর কাজ করছেন।