এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সংবাদ বিবৃতি
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সরকার ছয় দশমিক ২২ শতাংশের যে মূল্যস্ফীতির কথা বলছে, বাস্তবতার সঙ্গে তার কোন মিল নেই। এমনকি এ তথ্য বিজ্ঞানসম্মতও নয়। ধারণা করা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। আগামী দিনে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’ গতকাল ‘বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, জাতীয় বাজেট ও অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এই বিবৃতিতে তিনি মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন। কোর গ্রুপ সদস্য ও সিপিডি’র অপর বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিকভাবে আলোচনায় অংশ নেন একশনএইড বাংলাদেশ পরিবেশ ও জলবায়ু ও সবুজ অর্থনীতি কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুমানা হকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ এতে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, ‘সরকার মূল্যস্ফীতির কথা ছয় শতাংশের ওপরে বলে থাকে, যেটি প্রকৃত বাস্তবতার সঙ্গে আদৌ মিলে না। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। যেমন- ভোজ্যতেলের ও পাম ওয়েলের দাম বেড়েছে ৬১ শতাংশের ওপরে। আটা-ময়দার মতো পণ্যের দামও ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে মোটা চালের দাম বাড়েনি। কিন্তু মাঝারি বা সুগন্ধি চালের দাম অনেক বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সার্বিকভাবে তেল, ডাল, ডিম, মুরগি ও মাছসহ ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়ার যে হার দিচ্ছে টিসিবি, তা বিবিএসের দেয়া তালিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গেও মিলে না। বিবিএস যে মুদ্রাস্ফীতির তথ্য দিচ্ছেন তা বাস্তবসম্মত নয়, এমনকি বিজ্ঞানসম্মতও নয়। আমাদের ধারণা মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আগামী দিনে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব বাজারে যে পণ্যের দাম বেড়েছে, সেই পণ্য এখনও দেশের বাজারে আসেনি। সেগুলো যখন আসবে, তখন নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে।’
অর্থনীতির তিনটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় তার প্রতিবেদনে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, অন্যদিকে টাকার মূল্যমান কমে যাচ্ছে। যেকোন অর্থনীতির ভেতরে সুদের হার, বিনিময় হার ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। একদিকে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, আবার অন্যদিকে টাকার মান অবনমন হচ্ছে। যে প্রত্যাশায় সুদের হার কম রাখা হচ্ছে, সেই বিনিয়োগ কত কয়েক বছরের বেড়েছে এমন কোন তথ্য নেই। সুদের হার কমিয়ে বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে এমন সূত্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য নয়।’
অর্থ-বাণিজ্য: ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবায় এসএমই উদ্যোক্তা হয়েছেন ১৩৮ জন
অর্থ-বাণিজ্য: আগামী বছরও স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে