প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মিথ্যা কথার কারখানা। তারা মিথ্যা বলতে ও বানাতে ভালো পারে। বিএনপি আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা; তারা কীভাবে পদ্মাসেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তোলে?
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের বন্যা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বন্যায় বিএনপির কোনও নেতা সাহায্য দেয়নি। কিন্তু আমাদের নেতারা দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে। উদ্ধার কাজ করছে। যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সবার আগে জনগণের পাশে থাকে। আর তারা (বিএনপি) একমুঠো খাবার দিতে পরিনি বন্যার্তদের। ঢাকায় বসে মায়াকান্না করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই দেশে গুম-খুনের প্রবর্তক। গুম, খুন জিয়া শুরু করেছিল। এরপর খালেদা জিয়া এসে এটা এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট শুধু আমরা আপনজন হারিয়েছি তা নয়, বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। অথচ তারেক জিয়ার ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে ওঠার স্লোগান দেখে বোঝা যায়, সে ও তার বাবা-মা পাকিস্তানের দালাল ছিল। পাকিস্তানের পদলেহনই তাদের বৈশিষ্ট্য। পাকিস্তানিদের লাথি-ঝাটাও তাদের ভালো লাগে। তারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তবে তারা চক্রান্ত করে। তাদের করুনা করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকেও খালেদা-তারেক হত্যার চেষ্টা করেছে। বারবার আঘাত করেছে। ১৫ আগস্টের ঘটনাতেও জিয়া জড়িত ছিল। ৭৫ এর হাতিয়ারকে সমর্থন করে তারেক তার প্রমাণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূল কীভাবে হবে। যে দলের নেতারা দুর্নীতি, খুন, হত্যা, অস্ত্র চালানের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৭ সালে তো তারেক মুচলেকা দিয়েছিল, সে আর রাজনীতি করবে না। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে ছেড়ে দেয়। সে সেচ্ছায় চলে গিয়েছিল। একজন নেতার যদি ফিরে আসার সহস না থাকে তাহলে তার দিয়ে কীভাবে রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাকেও তো বাধা দিয়েছে। আমি তো ফিরে এসেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা দিয়েছে। আমি তো সবকিছু মোকাবিলা করেছি।’
আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস একই ইতিহাস বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠনের মাধ্যমে আবার এই ভূখণ্ড স্বাধীনতা অর্জন করে। আমরা পাই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। দলটি জন্মলগ্ন থেকে এই ভূখণ্ডের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে এবং সাফল্য এনেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস একই ইতিহাস।’
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা ও পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাবলি বর্ণনা করে তিনি আরও বলেন, ‘সেই সময় ১৯টি সামরিক অভ্যুত্থান হয়। যেখানে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ ও দেশের মানুষ। সামরিক শাসন দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয় সংবিধানকে।’
নির্বাচন নামে প্রহসন জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই শুরু বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর হ্যাঁ/না ভোট, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেনাপ্রধান হিসাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে, সে আবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়। এটা সংবিধান ও সেনা আইনেও পারে না। কিন্তু তারপরও অবৈধ কাজগুলো সে করে যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের তখন কিছু লোক তাঁর সঙ্গে জুড়ে যায়। সংবিধান ও সেনা আইন লঙ্গন করে যে ব্যক্তি দল গড়া শুরু করলো, তাকেই বানানো হলো গণতন্ত্রের প্রবক্তা। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ট্র্যাজেডি। তাঁদের সঙ্গে অনেকেই যুক্ত হয়ে গেলো। অনেক জ্ঞানী, গুণীজন হাত মিলালো।’
কিছু মুষ্টিমেয় কিছু পদলেহকারী ক্ষমতার চাটুকারী করতে ছুটে গেলেও সাধারণ বাঙালি তা করেনি বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সবসময় ঠিক ছিল। সত্তরের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০ দলীয় জোট করা হয়েছিল। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির ২০ দলীয় জোট হলো।’
গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মিথ্যা কথার কারখানা। তারা মিথ্যা বলতে ও বানাতে ভালো পারে। বিএনপি আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা; তারা কীভাবে পদ্মাসেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তোলে?
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের বন্যা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বন্যায় বিএনপির কোনও নেতা সাহায্য দেয়নি। কিন্তু আমাদের নেতারা দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে। উদ্ধার কাজ করছে। যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সবার আগে জনগণের পাশে থাকে। আর তারা (বিএনপি) একমুঠো খাবার দিতে পরিনি বন্যার্তদের। ঢাকায় বসে মায়াকান্না করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই দেশে গুম-খুনের প্রবর্তক। গুম, খুন জিয়া শুরু করেছিল। এরপর খালেদা জিয়া এসে এটা এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট শুধু আমরা আপনজন হারিয়েছি তা নয়, বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। অথচ তারেক জিয়ার ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে ওঠার স্লোগান দেখে বোঝা যায়, সে ও তার বাবা-মা পাকিস্তানের দালাল ছিল। পাকিস্তানের পদলেহনই তাদের বৈশিষ্ট্য। পাকিস্তানিদের লাথি-ঝাটাও তাদের ভালো লাগে। তারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তবে তারা চক্রান্ত করে। তাদের করুনা করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকেও খালেদা-তারেক হত্যার চেষ্টা করেছে। বারবার আঘাত করেছে। ১৫ আগস্টের ঘটনাতেও জিয়া জড়িত ছিল। ৭৫ এর হাতিয়ারকে সমর্থন করে তারেক তার প্রমাণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূল কীভাবে হবে। যে দলের নেতারা দুর্নীতি, খুন, হত্যা, অস্ত্র চালানের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৭ সালে তো তারেক মুচলেকা দিয়েছিল, সে আর রাজনীতি করবে না। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে ছেড়ে দেয়। সে সেচ্ছায় চলে গিয়েছিল। একজন নেতার যদি ফিরে আসার সহস না থাকে তাহলে তার দিয়ে কীভাবে রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাকেও তো বাধা দিয়েছে। আমি তো ফিরে এসেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা দিয়েছে। আমি তো সবকিছু মোকাবিলা করেছি।’
আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস একই ইতিহাস বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠনের মাধ্যমে আবার এই ভূখণ্ড স্বাধীনতা অর্জন করে। আমরা পাই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। দলটি জন্মলগ্ন থেকে এই ভূখণ্ডের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে এবং সাফল্য এনেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস একই ইতিহাস।’
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা ও পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাবলি বর্ণনা করে তিনি আরও বলেন, ‘সেই সময় ১৯টি সামরিক অভ্যুত্থান হয়। যেখানে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ ও দেশের মানুষ। সামরিক শাসন দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয় সংবিধানকে।’
নির্বাচন নামে প্রহসন জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই শুরু বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর হ্যাঁ/না ভোট, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেনাপ্রধান হিসাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে, সে আবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়। এটা সংবিধান ও সেনা আইনেও পারে না। কিন্তু তারপরও অবৈধ কাজগুলো সে করে যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের তখন কিছু লোক তাঁর সঙ্গে জুড়ে যায়। সংবিধান ও সেনা আইন লঙ্গন করে যে ব্যক্তি দল গড়া শুরু করলো, তাকেই বানানো হলো গণতন্ত্রের প্রবক্তা। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ট্র্যাজেডি। তাঁদের সঙ্গে অনেকেই যুক্ত হয়ে গেলো। অনেক জ্ঞানী, গুণীজন হাত মিলালো।’
কিছু মুষ্টিমেয় কিছু পদলেহকারী ক্ষমতার চাটুকারী করতে ছুটে গেলেও সাধারণ বাঙালি তা করেনি বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সবসময় ঠিক ছিল। সত্তরের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০ দলীয় জোট করা হয়েছিল। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির ২০ দলীয় জোট হলো।’
গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ প্রমুখ।