প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে পানি অনেক ঘোলা করা হয়েছে। তথাকথিত নাগরিক সমাজের একশ্রেণির প্রতিনিধি, কতিপয় মিডিয়া, স্বঘোষিত অর্থনীতিবিদরা সরকারের তীব্র সমালোচনায় মেতে ওঠেন। অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছে প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা।’
শনিবার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আবার সরকার পরিচালনার দায়িত্বে এসে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসি। জাপানের সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নেই। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ২২ দিনের মাথায় সেতুর নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেই। অনেক আলাপ-আলোচনার পর বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা এই সেতু নির্মাণে টাকা দিতে সম্মত হয়। কিন্তু আমাদের দেশের একটা ব্যাংকের এমডি ৭০ বছরের বেশি বয়সে পদে থাকার জন্য ষড়যন্ত্র করেন। তখন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে যায়। পরে অন্য অংশীদাররা বিশ্বব্যাংকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। আমরা এটা চ্যালেঞ্জ নিলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ ন্যূনতম অনুসন্ধান পর্যন্ত করলেন না যে, যে প্রকল্প একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে তাতে কীভাবে দুর্নীতি হতে পারে? দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে জানাল যে, কোন দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করলেন না। বাংলাদেশ আমাদের দেশ। যতই অপবাদ দিক।’
তিনি বলেন, ‘আমি তখন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করবো। তখন বাংলাদেশের জনগণ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। জনগণের শক্তিটাই বড় শক্তি। জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পরামর্শক টিমও আমাদের পাশে ছিল। যেসব প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ছিল, তারাও আমাদের পাশে ছিল। কৃতজ্ঞাতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। তারা শুধু পাশে দাঁড়ায়নি, টাকাও দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা। আমি তাদের স্যালুট জানাই।’
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে পানি অনেক ঘোলা করা হয়েছে। তথাকথিত নাগরিক সমাজের একশ্রেণির প্রতিনিধি, কতিপয় মিডিয়া, স্বঘোষিত অর্থনীতিবিদরা সরকারের তীব্র সমালোচনায় মেতে ওঠেন। অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছে প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা।’
শনিবার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আবার সরকার পরিচালনার দায়িত্বে এসে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসি। জাপানের সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নেই। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ২২ দিনের মাথায় সেতুর নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেই। অনেক আলাপ-আলোচনার পর বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা এই সেতু নির্মাণে টাকা দিতে সম্মত হয়। কিন্তু আমাদের দেশের একটা ব্যাংকের এমডি ৭০ বছরের বেশি বয়সে পদে থাকার জন্য ষড়যন্ত্র করেন। তখন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে যায়। পরে অন্য অংশীদাররা বিশ্বব্যাংকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। আমরা এটা চ্যালেঞ্জ নিলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ ন্যূনতম অনুসন্ধান পর্যন্ত করলেন না যে, যে প্রকল্প একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে তাতে কীভাবে দুর্নীতি হতে পারে? দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে জানাল যে, কোন দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করলেন না। বাংলাদেশ আমাদের দেশ। যতই অপবাদ দিক।’
তিনি বলেন, ‘আমি তখন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করবো। তখন বাংলাদেশের জনগণ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। জনগণের শক্তিটাই বড় শক্তি। জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পরামর্শক টিমও আমাদের পাশে ছিল। যেসব প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ছিল, তারাও আমাদের পাশে ছিল। কৃতজ্ঞাতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। তারা শুধু পাশে দাঁড়ায়নি, টাকাও দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা। আমি তাদের স্যালুট জানাই।’