ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ ও জাপানের পর এবার ভাসানচরে যুক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। দেশ দুটি ভাসানচরে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ঢাকাকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা জানাতে পেরে খুশি যে, সবচেয়ে বড় সহযোগিতাকারী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছে, এখন থেকে ভাসানচরে তারা সহায়তা দেবে। কানাডা জানিয়েছে, তারা ভাসানচরে সহযোগিতা দেবে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) কার্যক্রম এখনো ভাসানচরে শুরু হয়নি। ফলে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ওপর একভাবে চাপ পড়ছিল। তাদের এই নতুন সহযোগিতা নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সেটা অনেকংশে লাঘব হবে।
শুরুতে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিরোধিতা করলেও সেই অবস্থান বদলে সম্প্রতি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ শুরু করতে সম্মত হয় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে ইউএনএইচসিআর। এরপর চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) ভাসানচরকে যুক্ত করা হয়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র এতদিন দূরেই ছিল।
২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি জেআরপির অধীনে মোট অনুদান এসেছে ৩২২ কোটি ১১ লাখ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য সব মিলিয়ে ১৭০ কোটি ডলার দিয়েছে, যা একক দেশ হিসাবে সর্বোচ্চ।
২০২১ সালের জেআরপির অধীনে আসা ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের মধ্যে ২৯ কোটি ৮১ লাখ ডলারই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া, যা মোট অংকের প্রায় ৪৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত বছর জেআরপির অধীনে রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ৭১ লাখ ডলার দিয়েছে কানাডা। ২০২০ সালে দেশটি দিয়েছিল ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে যোগ হয় আরও সাত লাখ রোহিঙ্গা।
ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২
জাতিসংঘ ও জাপানের পর এবার ভাসানচরে যুক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। দেশ দুটি ভাসানচরে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ঢাকাকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা জানাতে পেরে খুশি যে, সবচেয়ে বড় সহযোগিতাকারী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছে, এখন থেকে ভাসানচরে তারা সহায়তা দেবে। কানাডা জানিয়েছে, তারা ভাসানচরে সহযোগিতা দেবে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) কার্যক্রম এখনো ভাসানচরে শুরু হয়নি। ফলে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ওপর একভাবে চাপ পড়ছিল। তাদের এই নতুন সহযোগিতা নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সেটা অনেকংশে লাঘব হবে।
শুরুতে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিরোধিতা করলেও সেই অবস্থান বদলে সম্প্রতি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ শুরু করতে সম্মত হয় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে ইউএনএইচসিআর। এরপর চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) ভাসানচরকে যুক্ত করা হয়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র এতদিন দূরেই ছিল।
২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি জেআরপির অধীনে মোট অনুদান এসেছে ৩২২ কোটি ১১ লাখ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য সব মিলিয়ে ১৭০ কোটি ডলার দিয়েছে, যা একক দেশ হিসাবে সর্বোচ্চ।
২০২১ সালের জেআরপির অধীনে আসা ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের মধ্যে ২৯ কোটি ৮১ লাখ ডলারই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া, যা মোট অংকের প্রায় ৪৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত বছর জেআরপির অধীনে রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ৭১ লাখ ডলার দিয়েছে কানাডা। ২০২০ সালে দেশটি দিয়েছিল ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে যোগ হয় আরও সাত লাখ রোহিঙ্গা।