ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ইয়ো হায়াকাওয়া বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী বলেন, এটা আলোচনা পর্যায়ে আছে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যেহেতু আমি সরকারের একটা দায়িত্বে আছি, তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ১০০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা।
নতুন জাইকা প্রতিনিধি ইচিগুচি টমোহাইড এক সপ্তাহ আগে দেশে যোগদান করেছেন। তিনিও মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাজেট সহায়তা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার বাজেট সহায়তা চেয়ে কিছু আভাস দিয়েছে। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে সবারই কিছু আইন কানুন আছে, এগুলো মেনেই কাজ করতে হবে। আমার বিশ্বাস, সব প্রক্রিয়ার হওয়ার পর আমরা বাজেট সহায়তা পাবো। আশা করছি, জাইকা আমাদের ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থায়নে যে ইকোনোমিক জোন হচ্ছে সেখানে কাজ করতে চায় জাইকা। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রকল্পটি দ্রুত সময়ে একনেক সভায় উঠবে। এছাড়া মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুতেও জাপান কাজ করছে।
সাক্ষাত শেষে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা আরও আগ্রহী। এই খাতে জাইকা কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা আমাদের নৌবন্দরগুলোতে আরও কাজ করতে চাই। অবকাঠামো খাতে জাইকা বেশি কাজ করতে চায়। রেল, সমুদ্র খাত নিয়ে কাজ করতে চায়।
এসময় জাইকার নবনিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেছেন। জাপানে বাংলাদেশ ডেস্কে কাজ করা এ কর্মকর্তা এমআরটি ৬, মেঘনা-গোমতি-কাঁচপুর সেতু, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এই অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে আমি বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশে তিন বছর দায়িত্বপালকারী বিদায়ী প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো বলেন, এখানে দীর্ঘদিন কাজ করে আমার মনে হয়েছে সব খাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। কোভিড সংকট মোকাবিলাসহ নানা খাতে বাংলাদেশ ঈর্ষনীয় সফলতা অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য, কোভিড মহামারীর মধ্যে সবশেষ দুই অর্থবছরে জাইকার কাছ সাড়ে ৬৮ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ।
ছবি: সংগৃহীত
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ইয়ো হায়াকাওয়া বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী বলেন, এটা আলোচনা পর্যায়ে আছে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যেহেতু আমি সরকারের একটা দায়িত্বে আছি, তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ১০০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা।
নতুন জাইকা প্রতিনিধি ইচিগুচি টমোহাইড এক সপ্তাহ আগে দেশে যোগদান করেছেন। তিনিও মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাজেট সহায়তা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার বাজেট সহায়তা চেয়ে কিছু আভাস দিয়েছে। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে সবারই কিছু আইন কানুন আছে, এগুলো মেনেই কাজ করতে হবে। আমার বিশ্বাস, সব প্রক্রিয়ার হওয়ার পর আমরা বাজেট সহায়তা পাবো। আশা করছি, জাইকা আমাদের ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থায়নে যে ইকোনোমিক জোন হচ্ছে সেখানে কাজ করতে চায় জাইকা। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রকল্পটি দ্রুত সময়ে একনেক সভায় উঠবে। এছাড়া মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুতেও জাপান কাজ করছে।
সাক্ষাত শেষে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা আরও আগ্রহী। এই খাতে জাইকা কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা আমাদের নৌবন্দরগুলোতে আরও কাজ করতে চাই। অবকাঠামো খাতে জাইকা বেশি কাজ করতে চায়। রেল, সমুদ্র খাত নিয়ে কাজ করতে চায়।
এসময় জাইকার নবনিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেছেন। জাপানে বাংলাদেশ ডেস্কে কাজ করা এ কর্মকর্তা এমআরটি ৬, মেঘনা-গোমতি-কাঁচপুর সেতু, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এই অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে আমি বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশে তিন বছর দায়িত্বপালকারী বিদায়ী প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো বলেন, এখানে দীর্ঘদিন কাজ করে আমার মনে হয়েছে সব খাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। কোভিড সংকট মোকাবিলাসহ নানা খাতে বাংলাদেশ ঈর্ষনীয় সফলতা অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য, কোভিড মহামারীর মধ্যে সবশেষ দুই অর্থবছরে জাইকার কাছ সাড়ে ৬৮ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ।