আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে
ফাইল ছবি
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিশ মশার কামড়ে গত ২৮ দিনে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৪ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে। তবে যারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের পরিসংখ্যান জানা গেলে সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৭৩ জন ও ঢাকার বাইরে ১৫১ জন। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।
চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৬ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৩ হাজার ৪৭১ জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৮২০ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৫ জন।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩২ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৯ জন,শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৫ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩১ জন, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ১৩ জনসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রন্তরা ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ের মধ্যে চট্টগ্রামে ১২ জন, কক্সবাজারে ২১ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, পাবনায় ১৯ জন, যশোরে ৯ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন ভর্তি হয়েছেন।
মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত শুরু হয়েছে। প্রথমে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম থাকলেও গত জুলাই থেকে বাড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ চলতি মাসে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে। ২৮ দিনে ৯ হাজার ১৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তিকৃতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৪ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান আবহাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার বাড়ছে। নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে, বাসার ভেতর বালতি জমিয়ে রাখা পানিতে মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটে।
তাই ডেঙ্গুজ্বর থেকে রক্ষা পেতে এখন নিজেদের নিজেদের বাসাবাড়ি ও ভবনের ছাদে যাতে পানি না জমে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে
ফাইল ছবি
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিশ মশার কামড়ে গত ২৮ দিনে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৪ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে। তবে যারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের পরিসংখ্যান জানা গেলে সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৭৩ জন ও ঢাকার বাইরে ১৫১ জন। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।
চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৬ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৩ হাজার ৪৭১ জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৮২০ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৫ জন।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩২ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৯ জন,শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৫ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩১ জন, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ১৩ জনসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রন্তরা ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ের মধ্যে চট্টগ্রামে ১২ জন, কক্সবাজারে ২১ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, পাবনায় ১৯ জন, যশোরে ৯ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন ভর্তি হয়েছেন।
মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত শুরু হয়েছে। প্রথমে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম থাকলেও গত জুলাই থেকে বাড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ চলতি মাসে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে। ২৮ দিনে ৯ হাজার ১৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তিকৃতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৪ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান আবহাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার বাড়ছে। নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে, বাসার ভেতর বালতি জমিয়ে রাখা পানিতে মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটে।
তাই ডেঙ্গুজ্বর থেকে রক্ষা পেতে এখন নিজেদের নিজেদের বাসাবাড়ি ও ভবনের ছাদে যাতে পানি না জমে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।