alt

জাতীয়

গরমে মানুষ হারাচ্ছে কর্মক্ষমতা, বছরে ঢাকায় ক্ষতি ৬শ’ কোটি ডলার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২

প্রতিদিনই গরম যেন তার রেকর্ড ভাঙছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ হারাচ্ছে তার কর্মক্ষমতা। আর এই কর্মক্ষমতা হারানোর ফলে কমছে উৎপাদনক্ষমতা যার ফলে বাড়ছে অর্থনৈতিক ক্ষতি। অতিরিক্ত গরমে শুধু ঢাকায় প্রতি বছর ৬০০ কোটি ডলার (৬০ হাজার ৮০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা শহরের উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা আবহাওয়াকে দিন দিন করে তুলেছে বিপজ্জনক। তাপমাত্রা কমাতে উদ্যোগ না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ এই ক্ষতি ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। কারণ, উচ্চতাপের কারণে অন্য যেকোন শহরের তুলনায় ঢাকার মানুষের শ্রম উৎপাদনশীলতা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রোববার (২ অক্টোবর) আদ্রিয়েন আরস্ট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার, রকফেলার ফাউন্ডেশন এবং মানবহিতৈষী অ্যাড্রিয়েন আরস্তের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয় এটি ঢাকার বার্ষিক জিডিপির প্রায় ৮ শতাংশ।

বিশ্বের ১২টি শহরের সঙ্গে তুলনা করে গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় তাপমাত্রা অন্য যেকোন শহরের তুলনায় উৎপাদনশীলতাকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ঢাকায় বছরের উষ্ণতম ১০ দিনের তাপমাত্রা (তাপ ও আর্দ্রতা বিবেচনা করে) মানুষের শরীরের চেয়ে বেশি থাকে। এই শহরে ২০২০ সালের ৩৬ দশমিক ৫ দিন এমন ছিল, যেখানে ২৪ ঘণ্টার গড় তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ২০৫০ সালের মধ্যে তা বেড়ে হতে পারে ৬৯ দশমিক ৮ দিন।

উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে অনুমান করছেন গবেষকরা।

গবেষকদের মতে, ঢাকার তাপ নগরকেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত। তার মধ্যে কিছু অনানুষ্ঠানিক বসতি এলাকা রয়েছে। এসব এলাকায় জনঘনত্ব বেশি। অন্যদিকে সবুজ পরিসরের অভাব তো রয়েছেই, এ ধরনের এলাকাও বাড়ছে ক্রমেই। শহরের এই এলাকাগুলোর তাপমাত্রা আশপাশের গ্রামের চেয়ে প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বেশি তাপমাত্রা রয়েছে এমন এলাকার উদাহরণ হিসেবে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার ঘরবাড়িগুলোর ছাদ টিন দিয়ে তৈরি। ফলে এই এলাকার তাপমাত্রা কাছাকাছি এলাকার তুলনায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এলাকাটিতে ঘরের ভেতরে আরও বেশি তাপ অনুভূত হয়। বসবাসের এই ধরনের পরিস্থিতি ঢাকাবাসীর উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় শ্রমনিবিড় অর্থনৈতিক তৎপরতা বেশি। তাপমাত্রা কমানোর ব্যবস্থা এখানে কম। ফলে ঢাকা উচ্চতাপের প্রভাবের জন্য অস্বাভাবিক ঝুঁকিপূর্ণ। নিম্নআয়ের কর্মীরা বিশেষভাবে উচ্চতাপের সংস্পর্শে আসে। তারা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়। অনিয়ন্ত্রিত উষ্ণায়নের কারণে তৈরি পোশাক, পরিবহন ও খুচরা ব্যবসা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে প্রায় চার লাখ হকার রয়েছেন। যাদের বড় অংশ গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন। শ্রমিক হিসেবে তাদের দক্ষতা কম। বেশিরভাগ হকারের কোন স্থায়ী দোকান নেই। তারা মূলত ফুটপাতে উন্মুক্ত স্থানে নানা ধরনের পণ্য বিক্রি করেন।

জরিপমতে, তাপপ্রবাহ চলার সময় ৯ শতাংশ হকার ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ আয় হারান। আর প্রায় ২৫ শতাংশ হকার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ আয় হারান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বেশ কিছু ভবনের ছাদে এক ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা ও নিম্নমানের বসতির ভেতরের তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। যানবাহনে সবুজ ছাদের ব্যবহার বাড়ানোর জন্যও গবেষকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন।

গবেষকদের মতে, ‘এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের শহরের ভবনগুলোতে কংক্রিটের পরিমাণ কমাতে হবে। ভবনের ছাদে বাগান ও সবজি চাষ করতে হবে। এগুলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, আবুধাবি ও ব্যাংককের মতো শহরও অতি তাপের শিকার। তবে, শ্রমমুখী অর্থনীতির কারণে ঢাকায় এর প্রভাব অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

ঢাকার পাশাপাশি অন্য যে শহরগুলো নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে সেগুলো হলো- নয়াদিল্লি, এথেন্স, বুয়েনস আইরেস, ফ্রিটাউন, লন্ডন, লস অ্যাঞ্জেলেস, মিয়ামি, মন্টেরি, সান্তিয়াগো ও সিডনি।

আগামী ছয় মাস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে নিউমুরিং টার্মিনাল: অর্থ উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠতা যোগদানের তারিখ থেকে, রুল হাইকোর্টের

মগবাজারে হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু

ডেঙ্গু: আরও ৩৮৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ১

আদালতে সাবেক সিইসি নূরুল হুদার ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি

ছবি

বারোমাসিয়া নদীর ভাঙা সাঁকোয় বারোমাসই দুঃখ

ছবি

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি, জজসহ ৫ জনের বিচার শুরু আগামী ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ

ছবি

মুরাদনগরে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ১৫ সদস্যের দল

ছবি

ইস্টার্ন রিফাইনারিতে গত অর্থবছরে তেল শোধন ১৫ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন

ছবি

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা ৫ অভিযোগ সঠিক নয়, দাবি রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীর

ছবি

হবিগঞ্জ গ্যাসফিল্ড খনন প্রকল্পের নামে সমান হচ্ছে পাহাড়

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবো, ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

ছবি

প্রতিবেশী দেশের নেতার সঙ্গে ফোনালাপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি

জ্বালানি আমদানিতে শুল্ক নীতি সংশোধন, চাপে বিপিসি

ভোটের তারিখ বা সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: সিইসি

ছবি

জাতীয় সরকারের কথা বললেন তারেক

ছবি

স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

পদ্মা সেতু মামলার পুনরুজ্জীবনে উদ্যোগ, ‘গায়ের জোরে’ দায়মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ দুদকের

ছবি

ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, মৃতের সংখ্যা ৪৩

ছবি

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ড. কামাল হোসেনের উদ্বেগ প্রকাশ

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী স্মৃতি উদ্‌যাপন শুরু

ছবি

শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনকে হাজিরার নির্দেশ, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

ছবি

আসিফের ব্যাগে ম্যাগাজিন: শাহজালাল বিমানবন্দরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা

ছবি

বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই, ছিনতাইকারীরা-ই আসল সমস্যা: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ

ছবি

ইউনূস–রুবিও ফোনালাপে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারে জোর

ছবি

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১,৬৯০ জন

ছবি

‘ন্যায়সংগত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা জরুরি’

আহমেদ আকবর সোবহান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিককে দুদকে তলব

সাড়ে তিন মাসেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ কলেজছাত্রীর

এনসিপির সততা নিয়ে প্রশ্ন ‘আপ বাংলাদেশ’র

পলাতক লিয়াকত শিকদার, জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

ছবি

বাবুই পাখির ছানা হত্যা, অভিযুক্ত মোবারক আলী গ্রেপ্তার

শূন্য ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল ৪০ হাজার টাকা!

tab

জাতীয়

গরমে মানুষ হারাচ্ছে কর্মক্ষমতা, বছরে ঢাকায় ক্ষতি ৬শ’ কোটি ডলার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২

প্রতিদিনই গরম যেন তার রেকর্ড ভাঙছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ হারাচ্ছে তার কর্মক্ষমতা। আর এই কর্মক্ষমতা হারানোর ফলে কমছে উৎপাদনক্ষমতা যার ফলে বাড়ছে অর্থনৈতিক ক্ষতি। অতিরিক্ত গরমে শুধু ঢাকায় প্রতি বছর ৬০০ কোটি ডলার (৬০ হাজার ৮০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা শহরের উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা আবহাওয়াকে দিন দিন করে তুলেছে বিপজ্জনক। তাপমাত্রা কমাতে উদ্যোগ না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ এই ক্ষতি ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। কারণ, উচ্চতাপের কারণে অন্য যেকোন শহরের তুলনায় ঢাকার মানুষের শ্রম উৎপাদনশীলতা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রোববার (২ অক্টোবর) আদ্রিয়েন আরস্ট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার, রকফেলার ফাউন্ডেশন এবং মানবহিতৈষী অ্যাড্রিয়েন আরস্তের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয় এটি ঢাকার বার্ষিক জিডিপির প্রায় ৮ শতাংশ।

বিশ্বের ১২টি শহরের সঙ্গে তুলনা করে গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় তাপমাত্রা অন্য যেকোন শহরের তুলনায় উৎপাদনশীলতাকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ঢাকায় বছরের উষ্ণতম ১০ দিনের তাপমাত্রা (তাপ ও আর্দ্রতা বিবেচনা করে) মানুষের শরীরের চেয়ে বেশি থাকে। এই শহরে ২০২০ সালের ৩৬ দশমিক ৫ দিন এমন ছিল, যেখানে ২৪ ঘণ্টার গড় তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ২০৫০ সালের মধ্যে তা বেড়ে হতে পারে ৬৯ দশমিক ৮ দিন।

উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে অনুমান করছেন গবেষকরা।

গবেষকদের মতে, ঢাকার তাপ নগরকেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত। তার মধ্যে কিছু অনানুষ্ঠানিক বসতি এলাকা রয়েছে। এসব এলাকায় জনঘনত্ব বেশি। অন্যদিকে সবুজ পরিসরের অভাব তো রয়েছেই, এ ধরনের এলাকাও বাড়ছে ক্রমেই। শহরের এই এলাকাগুলোর তাপমাত্রা আশপাশের গ্রামের চেয়ে প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বেশি তাপমাত্রা রয়েছে এমন এলাকার উদাহরণ হিসেবে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার ঘরবাড়িগুলোর ছাদ টিন দিয়ে তৈরি। ফলে এই এলাকার তাপমাত্রা কাছাকাছি এলাকার তুলনায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এলাকাটিতে ঘরের ভেতরে আরও বেশি তাপ অনুভূত হয়। বসবাসের এই ধরনের পরিস্থিতি ঢাকাবাসীর উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় শ্রমনিবিড় অর্থনৈতিক তৎপরতা বেশি। তাপমাত্রা কমানোর ব্যবস্থা এখানে কম। ফলে ঢাকা উচ্চতাপের প্রভাবের জন্য অস্বাভাবিক ঝুঁকিপূর্ণ। নিম্নআয়ের কর্মীরা বিশেষভাবে উচ্চতাপের সংস্পর্শে আসে। তারা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়। অনিয়ন্ত্রিত উষ্ণায়নের কারণে তৈরি পোশাক, পরিবহন ও খুচরা ব্যবসা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে প্রায় চার লাখ হকার রয়েছেন। যাদের বড় অংশ গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন। শ্রমিক হিসেবে তাদের দক্ষতা কম। বেশিরভাগ হকারের কোন স্থায়ী দোকান নেই। তারা মূলত ফুটপাতে উন্মুক্ত স্থানে নানা ধরনের পণ্য বিক্রি করেন।

জরিপমতে, তাপপ্রবাহ চলার সময় ৯ শতাংশ হকার ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ আয় হারান। আর প্রায় ২৫ শতাংশ হকার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ আয় হারান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বেশ কিছু ভবনের ছাদে এক ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা ও নিম্নমানের বসতির ভেতরের তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। যানবাহনে সবুজ ছাদের ব্যবহার বাড়ানোর জন্যও গবেষকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন।

গবেষকদের মতে, ‘এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের শহরের ভবনগুলোতে কংক্রিটের পরিমাণ কমাতে হবে। ভবনের ছাদে বাগান ও সবজি চাষ করতে হবে। এগুলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, আবুধাবি ও ব্যাংককের মতো শহরও অতি তাপের শিকার। তবে, শ্রমমুখী অর্থনীতির কারণে ঢাকায় এর প্রভাব অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

ঢাকার পাশাপাশি অন্য যে শহরগুলো নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে সেগুলো হলো- নয়াদিল্লি, এথেন্স, বুয়েনস আইরেস, ফ্রিটাউন, লন্ডন, লস অ্যাঞ্জেলেস, মিয়ামি, মন্টেরি, সান্তিয়াগো ও সিডনি।

back to top