পরিত্যক্ত কূপ ওয়ার্কওভার (পুনর্খনন) করার ফলে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির দৈনিক গ্যাস উৎপাদন প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানি থেকে এখন প্রতিদিন প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে, আগে হতো প্রায় ৮৮ এমএমসিএফ।
বিশ্ববাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং দেশে চলামান গ্যাস সংকটের মধ্যে এই উৎপাদন বৃদ্ধি দেশের জ্বালানি খাতের জন্য স্বস্তির বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পেট্রোবাংলার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড ও ছাতক গ্যাস ফিল্ড। এরমধ্যে ছাতক বর্তমানে পরিত্যক্ত।
এরমধ্যে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের পরিত্যক্ত একটি কূপ পুনর্খনন করে গতকাল সোমবার থেকে পুনরায় গ্যাস উৎপাদন (উত্তোলন) শুরু হয়েছে। এর আগেও দুটি কূপের সফল ওয়ার্কওভারের ফলে ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান সংবাদকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা থেকে আমাদের বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়েছে। এখান থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন বা ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে এবং এর সঙ্গে উপজাত হিসেবে ১৪০ ব্যারেল কনডেনসেট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
পেট্রেবাংলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৪ সালে কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। কিছু রক্ষণাবেক্ষণের পর ২০১৭ সালে আরও সাত মাস গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এরপর গ্যাস না পাওয়ায় কূপটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এই কূপের তিন হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুদ আছে বলে ধারণা করছেন এসজিএফএলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পেট্রোবাংলার অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় অন্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ২০২০ সালে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের তিনটি কূপ ওয়াকওভারের কাজ পায়। প্রকল্প ব্যয় ছিল ১৫৮ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনটি কূপ থেকেই গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে।
এ বিষয়ে এসজিএফএলের এমডি মিজানুর রহমান সংবাদকে জানান, এর আগে ওয়ার্কওভার করা কূপ সিলেট-৮ এবং কৈলাশটিলা-৭ থেকে দৈনিক প্রায় ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে।
এসজিএফএলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাতে উৎপাদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন থাকা ১৫টি কূপের মধ্যে ছয়টির খনন, আটটির ওয়ার্কওভার ও একটির পাইপলাইনের কাজ চলছে। সম্ভবত ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’ তখন সিলেট গ্যাস ফিল্ডের দৈনিক উৎপাদন ১৬ কোটি বা ১৬০ এমএমসিএল ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
এসফিএফএল এমডি মিজানুর বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে জারিপ করেই এগুচ্ছি। এখন এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।’
মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
পরিত্যক্ত কূপ ওয়ার্কওভার (পুনর্খনন) করার ফলে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির দৈনিক গ্যাস উৎপাদন প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানি থেকে এখন প্রতিদিন প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে, আগে হতো প্রায় ৮৮ এমএমসিএফ।
বিশ্ববাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং দেশে চলামান গ্যাস সংকটের মধ্যে এই উৎপাদন বৃদ্ধি দেশের জ্বালানি খাতের জন্য স্বস্তির বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পেট্রোবাংলার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড ও ছাতক গ্যাস ফিল্ড। এরমধ্যে ছাতক বর্তমানে পরিত্যক্ত।
এরমধ্যে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের পরিত্যক্ত একটি কূপ পুনর্খনন করে গতকাল সোমবার থেকে পুনরায় গ্যাস উৎপাদন (উত্তোলন) শুরু হয়েছে। এর আগেও দুটি কূপের সফল ওয়ার্কওভারের ফলে ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান সংবাদকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা থেকে আমাদের বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়েছে। এখান থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন বা ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে এবং এর সঙ্গে উপজাত হিসেবে ১৪০ ব্যারেল কনডেনসেট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
পেট্রেবাংলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৪ সালে কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। কিছু রক্ষণাবেক্ষণের পর ২০১৭ সালে আরও সাত মাস গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এরপর গ্যাস না পাওয়ায় কূপটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এই কূপের তিন হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুদ আছে বলে ধারণা করছেন এসজিএফএলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পেট্রোবাংলার অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় অন্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ২০২০ সালে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের তিনটি কূপ ওয়াকওভারের কাজ পায়। প্রকল্প ব্যয় ছিল ১৫৮ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনটি কূপ থেকেই গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে।
এ বিষয়ে এসজিএফএলের এমডি মিজানুর রহমান সংবাদকে জানান, এর আগে ওয়ার্কওভার করা কূপ সিলেট-৮ এবং কৈলাশটিলা-৭ থেকে দৈনিক প্রায় ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে।
এসজিএফএলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাতে উৎপাদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন থাকা ১৫টি কূপের মধ্যে ছয়টির খনন, আটটির ওয়ার্কওভার ও একটির পাইপলাইনের কাজ চলছে। সম্ভবত ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’ তখন সিলেট গ্যাস ফিল্ডের দৈনিক উৎপাদন ১৬ কোটি বা ১৬০ এমএমসিএল ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
এসফিএফএল এমডি মিজানুর বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে জারিপ করেই এগুচ্ছি। এখন এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।’