জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর নারী এবং পুরুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকে ক্ষেত্রে শ্রেণী বৈষম্যের কারণে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যদের তুলনায় বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস), মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টর ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইক্যাড) আয়োজিত কর্মশালায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল উপস্থাপন করেন কানাডার মনিটোবা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদ হক। তিনি বলেন, ‘গবেষণা এলাকায় সহজলভ্য এবং ব্যয় সাশ্রয়ী প্রযুক্তিগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য উপযোগী অভিযোজন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিসিএএসের ফেলো ড. দ্বিজেন মল্লিক কর্মশালার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশের দুটি জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ত জেলার (সাতক্ষীরা ও সুনামগঞ্জ) চারটি উপজেলায় এই গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দরিদ্র ও নারীদের জলবায়ু দর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রযুক্তি খুঁজে বের করা, এলাকাভিত্তিক উপযোগী অভিযোজন প্রযুক্তির প্রসার ও বাস্তবায়ন করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপারিচালক (ডিজি) ফরিদা পারভীন জানান, নারীরা দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের একাধিক উদ্যোগ রয়েছে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগামের (এনআরপি) নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে যার মাধ্যমে নারীরা দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও অভিযোজন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারছেন। প্রকল্পের অর্জন ও সুফল যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় সেজন্য আরও গণমুখী গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন।
কর্মশালার সমাপনী বক্তৃতায় বিসিএএসের সিনিয়র ফেলো খন্দকার মঈনউদ্দিন জলবায়ু অভিযোজন প্রযুক্তি নিয়ে অব্যাহত গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুপারিশ প্রদান করেন যা আগামী দিনের ক্রম অবনতিশীল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাসমূহের সমাধানে সঠিক পথ নির্দেশে সহায়ক হবে। কর্মশালায় শক্তি প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি এবং আলোকচকরা গবেষণা ফলাফলের ওপর মতামত এবং সুপারিশ প্রদান করেন। এই গবেষণা প্রকল্পে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের নয়জন মাস্টার্স এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন
বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর নারী এবং পুরুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকে ক্ষেত্রে শ্রেণী বৈষম্যের কারণে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যদের তুলনায় বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস), মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টর ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইক্যাড) আয়োজিত কর্মশালায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল উপস্থাপন করেন কানাডার মনিটোবা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদ হক। তিনি বলেন, ‘গবেষণা এলাকায় সহজলভ্য এবং ব্যয় সাশ্রয়ী প্রযুক্তিগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য উপযোগী অভিযোজন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিসিএএসের ফেলো ড. দ্বিজেন মল্লিক কর্মশালার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশের দুটি জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ত জেলার (সাতক্ষীরা ও সুনামগঞ্জ) চারটি উপজেলায় এই গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দরিদ্র ও নারীদের জলবায়ু দর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রযুক্তি খুঁজে বের করা, এলাকাভিত্তিক উপযোগী অভিযোজন প্রযুক্তির প্রসার ও বাস্তবায়ন করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপারিচালক (ডিজি) ফরিদা পারভীন জানান, নারীরা দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের একাধিক উদ্যোগ রয়েছে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগামের (এনআরপি) নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে যার মাধ্যমে নারীরা দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও অভিযোজন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারছেন। প্রকল্পের অর্জন ও সুফল যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় সেজন্য আরও গণমুখী গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন।
কর্মশালার সমাপনী বক্তৃতায় বিসিএএসের সিনিয়র ফেলো খন্দকার মঈনউদ্দিন জলবায়ু অভিযোজন প্রযুক্তি নিয়ে অব্যাহত গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুপারিশ প্রদান করেন যা আগামী দিনের ক্রম অবনতিশীল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাসমূহের সমাধানে সঠিক পথ নির্দেশে সহায়ক হবে। কর্মশালায় শক্তি প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি এবং আলোকচকরা গবেষণা ফলাফলের ওপর মতামত এবং সুপারিশ প্রদান করেন। এই গবেষণা প্রকল্পে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের নয়জন মাস্টার্স এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।