রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম (মালামাল) নিয়ে রাশিয়া থেকে এবার দুটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। লিবার্টি হার্ভেস্ট ও এমভি ক্যামিল্লা নামের জাহাজ দুটি মোট ৮ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ও প্রকল্পের অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে এসেছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে প্রকল্পের নির্ধারিত অংশে এসব সরঞ্জাম ব্যবহারের কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। খালাসের পর সড়ক ও নদীপথে পাবনার ঈশ্বরদীর প্রকল্প এলাকায় এসব পণ্য নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মোংলা থেকে একটি রুশ জাহাজ ফিরে যাওয়ার ঘটনার এক মাসের মধ্যে প্রায় একই সময়ে দুটি জাহাজ রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে মোংলা নোঙর করলো। ফিরে যাওয়া জাহাজটি (উরসা মেজর) চীনের একটি বন্দরে পণ্য খালাস করে শীঘ্রই অন্য জাহাজে মোংলা পাঠাবে বলে জানা গেছে।
‘উরসা মেজর’ ফিরে যাওয়ায় বাংলাদেশে নির্মাণাধীন প্রথম পারমাণাবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হতে পারে, এমন আলোচনার মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ‘রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা- রোসাটম’ বলেছে, যথাসময়ে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের। এ নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই।
রূপপুর প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) সরঞ্জাম নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট-পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে ছেড়ে আসে লিবার্টি হার্ভেস্ট। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি রাতে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি। পানামা পতাকাবাহী জাহাজটিতে মোট ৪ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম রয়েছে।
এদিকে ২২ নভেম্বর দুপুর ১টায় বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করে এমভি ক্যামিল্লা। ১৭ ডিসেম্বর রাশিয়ার নভোরস্কি বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটিতে রয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন পণ্য।
জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সংবাদকে বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ঐতিহাসিক। সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে।’ ফিরে যাওয়া জাহাজ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত অনেক জাহাজ এসেছে। করোনায় যখন বিশ্ব অচল, তখনও এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও জাহাজ আসা বন্ধ হয়নি। এখানে তাদেরও কিছু ভুল ছিল, আমাদেরও কিছু ভুল ছিল। সামনে আর কোন সমস্য হবে না, এ বিষয়ে তাদের (রাশিয়ার) সঙ্গে কথা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম (মালামাল) নিয়ে রাশিয়া থেকে এবার দুটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। লিবার্টি হার্ভেস্ট ও এমভি ক্যামিল্লা নামের জাহাজ দুটি মোট ৮ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ও প্রকল্পের অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে এসেছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে প্রকল্পের নির্ধারিত অংশে এসব সরঞ্জাম ব্যবহারের কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। খালাসের পর সড়ক ও নদীপথে পাবনার ঈশ্বরদীর প্রকল্প এলাকায় এসব পণ্য নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মোংলা থেকে একটি রুশ জাহাজ ফিরে যাওয়ার ঘটনার এক মাসের মধ্যে প্রায় একই সময়ে দুটি জাহাজ রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে মোংলা নোঙর করলো। ফিরে যাওয়া জাহাজটি (উরসা মেজর) চীনের একটি বন্দরে পণ্য খালাস করে শীঘ্রই অন্য জাহাজে মোংলা পাঠাবে বলে জানা গেছে।
‘উরসা মেজর’ ফিরে যাওয়ায় বাংলাদেশে নির্মাণাধীন প্রথম পারমাণাবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হতে পারে, এমন আলোচনার মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ‘রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা- রোসাটম’ বলেছে, যথাসময়ে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের। এ নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই।
রূপপুর প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) সরঞ্জাম নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট-পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে ছেড়ে আসে লিবার্টি হার্ভেস্ট। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি রাতে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি। পানামা পতাকাবাহী জাহাজটিতে মোট ৪ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম রয়েছে।
এদিকে ২২ নভেম্বর দুপুর ১টায় বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করে এমভি ক্যামিল্লা। ১৭ ডিসেম্বর রাশিয়ার নভোরস্কি বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটিতে রয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন পণ্য।
জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সংবাদকে বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ঐতিহাসিক। সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে।’ ফিরে যাওয়া জাহাজ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত অনেক জাহাজ এসেছে। করোনায় যখন বিশ্ব অচল, তখনও এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও জাহাজ আসা বন্ধ হয়নি। এখানে তাদেরও কিছু ভুল ছিল, আমাদেরও কিছু ভুল ছিল। সামনে আর কোন সমস্য হবে না, এ বিষয়ে তাদের (রাশিয়ার) সঙ্গে কথা হয়েছে।’