চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও ‘বিতর্কিত’ বিষয়বস্তু শনাক্ত করা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি শনাক্ত করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) একটি ‘সম্পাদনা’ শাখা রয়েছে।
কিন্তু ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চালু হওয়া ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর নতুন শিক্ষাক্রমের পা-ুলিপি ওই শাখার কর্মকর্তাদের দেখারই সুযোগ দেয়া হয়নি। এনসিটিবির শিক্ষাক্রম প্রণয়ন শাখার কর্মকর্তারাই পা-ুলিপি প্রণয়ন করে ছাপাখানায় পাঠিয়ে দেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ কারণে নতুন শিক্ষাক্রমে কিছু ‘ভুলত্রুটি’ বা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয়বস্তু থেকে যায় বলে এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এগুলো নিয়েই কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন নানা বিতর্ক ও গুজব রটাচ্ছে। একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে এনসিটিবির সম্পাদনা শাখায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০/১২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২৯ জানুয়ারি রাতে পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি শনাক্ত ও এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে দুটি কমিটি গঠনের নথি অনুমোদন দেন। যেকোন মুহূর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দুই কমিটি গঠনের বিষয়ে আদেশ জারি হবে।
এরমধ্যে একটি কমিটি সাত ও অন্য কমিটি পাঁচ সদস্যের। সাত সদস্যের কমিটিকে ৩০ কর্মবিদস এবং পাঁচ সদস্যের কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চানকে। এ কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ঢাবির শিক্ষা গবেষণা বিভাগের শিক্ষক আবদুল হালিম এবং বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষক আবদুল মান্নানকে। এ কমিটি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয় খুঁজে বের করবে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে।
অন্য কমিটির আহ্বায়ক হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। এ কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমের ভুল-ভ্রান্তির জন্য এনসিটিবির কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করবে। এ কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকের প্রথম এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। এটি ‘পরীক্ষামূলক’ (পাইলটিং) পাঠদান, যা সরকারের পক্ষ্য থেকে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়।
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে মোট ১০টি করে বই রয়েছে। বইগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।
এগুলোর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং ধর্ম শিক্ষা বই নিয়েই বেশি ‘বিতর্ক’ হচ্ছে বলে এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও ‘বিতর্কিত’ বিষয়বস্তু শনাক্ত করা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি শনাক্ত করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) একটি ‘সম্পাদনা’ শাখা রয়েছে।
কিন্তু ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চালু হওয়া ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর নতুন শিক্ষাক্রমের পা-ুলিপি ওই শাখার কর্মকর্তাদের দেখারই সুযোগ দেয়া হয়নি। এনসিটিবির শিক্ষাক্রম প্রণয়ন শাখার কর্মকর্তারাই পা-ুলিপি প্রণয়ন করে ছাপাখানায় পাঠিয়ে দেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ কারণে নতুন শিক্ষাক্রমে কিছু ‘ভুলত্রুটি’ বা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয়বস্তু থেকে যায় বলে এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এগুলো নিয়েই কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন নানা বিতর্ক ও গুজব রটাচ্ছে। একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে এনসিটিবির সম্পাদনা শাখায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০/১২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২৯ জানুয়ারি রাতে পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি শনাক্ত ও এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে দুটি কমিটি গঠনের নথি অনুমোদন দেন। যেকোন মুহূর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দুই কমিটি গঠনের বিষয়ে আদেশ জারি হবে।
এরমধ্যে একটি কমিটি সাত ও অন্য কমিটি পাঁচ সদস্যের। সাত সদস্যের কমিটিকে ৩০ কর্মবিদস এবং পাঁচ সদস্যের কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চানকে। এ কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ঢাবির শিক্ষা গবেষণা বিভাগের শিক্ষক আবদুল হালিম এবং বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষক আবদুল মান্নানকে। এ কমিটি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয় খুঁজে বের করবে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে।
অন্য কমিটির আহ্বায়ক হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। এ কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমের ভুল-ভ্রান্তির জন্য এনসিটিবির কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করবে। এ কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকের প্রথম এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। এটি ‘পরীক্ষামূলক’ (পাইলটিং) পাঠদান, যা সরকারের পক্ষ্য থেকে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়।
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে মোট ১০টি করে বই রয়েছে। বইগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।
এগুলোর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং ধর্ম শিক্ষা বই নিয়েই বেশি ‘বিতর্ক’ হচ্ছে বলে এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।