রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের বার্ষিক বনভোজনের জন্য বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কাছে থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পিকনিক উপলক্ষে হাসতাপালের পিকনিক কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বনভোজন আয়োজন কমিটি-২০২৩ এর আহ্বায়ক ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু তৈয়বি এবং সহকারী অধ্যাপক আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব ডা. মো. কামরুজ্জামান (কামরুল) স্বাক্ষরিত এক বার্ষিক বনভোজনে চিঠিতে ওষুুধ প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহযোগিতা করে আসছে। আমরা প্রত্যাশা করছি এই অনুষ্ঠানেও আপনাদের সহযোগিতা পাব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিকনিক উপলক্ষে বিভিন্ন ওষুুধ প্রস্তকারক প্রতিষ্ঠান ভেদে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েকটি ছোট কোম্পানির পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দেয়া হয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এখনও দেন-দরবার চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বড় কোম্পানির প্রতিনিধি জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়ে মৌখিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা দেয়ার কথা বলা হলেও পিকনিক কমিটি সেটা নিতে রাজি হননি। হয়তো বা আর এক লাখ টাকা বেশি দিতে হবে।
টাকা না দিলে সমস্যা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে ঢুকতে সমস্যা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ও বনভোজন আয়োজন কমিটির প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকে বলেন, ‘ওই বিষয়টি পিকনিক কমিটি জানেন। পিকনিক কমিটি কাজ করছে। পিকিনিক কমিটি কি করছে না করছে সেটা পিকনিক কমিটির কাছে জিজ্ঞেস করাই ভালো।’
আয়োজক কমিটিতে প্রধান নির্বাহী হিসেবে থাকার বিষয়টি জানানোর পর তিনি বলেন, ‘তাহলে ব্যাপারটি আমি কালকে (আজ) দেখি কী করা যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালনা বোর্ডের অন্যতম সদস্য স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর এম এ আজিজ জানান, আমি পিকনিকের বিষয়টি জানি। তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছে চিঠি দেয়ার বিষয়টি জানি না। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
বনভোজন অংশগ্রহণকারী চিকিৎস ও কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রফেসর ও পরিচালকদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা, সঙ্গে অতিথি আনতে চাইলে দুই হাজার টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ও উপপরিচালকদের জন্য চার হাজার ও অতিথিদের জন্য পনেরশ’ টাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী পরিচালক ও জুনিয়র কন্সালটেন্টদের জন্য তিন হাজার টাকা এবং তাদের অতিথির জন্য পনেরশ’, রেজিস্ট্রারদের জন্য দুই হাজার (অতিথি এক হাজার), আবাসিক মেডিকেল অফিসারদের জন্য পনেরশ’ (অতিথি এক হাজার), আনরারী মেডিকেল অফিসারদের এক হাজার (অতিথি আটশ’), স্টুডেন্ট ডাক্তারদের জন্য এক হাজার (অতিথি আটশ’), কর্মকর্তাদের এক হাজার (অতিথি আটশ’), ২য় শ্রেণীর সব সেবক সেবিকার জন্য এক হাজার (অতিথি আটশ’) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য সাতশ’ (অতিথি পাঁচশ’) চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য পাঁচশ’ (অতিথি চারশ’) নার্সিং স্টুডেন্ট বা বিএসসি স্টুডেন্টদের জন্য আটশ’ (অতিথিদের আটশ’) ও ব্যক্তিগত ড্রাইভারদের জন্য পাঁচশ’ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক বলেন, ‘পিকনিকের নামে এভাবে চাঁদাবাজি গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কিছু বলতেও পারছি না। প্রতিবাদ করলে রোষানলে পড়তে হয়।
বনভোজন আয়োজক কমিটি, অর্থ উপকমিটি, পরিবহন উপকমিটি, সাংস্কৃতিক উপকমিটি, ক্রীড়া উপকমিটি, রেজিস্ট্রেশন উপকমিটি, অর্ভ্যাথনা উপকমিটি, আপ্যায়ন উপকমিটি, র্যাফেল ড্র উপকমিটি নিয়ে বনভোজন আয়োজনে ৯টি কমিটি করা হয়েছে। শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এই উপকমিটি গত ৫ জানুয়ারি করা হয়।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের বার্ষিক বনভোজনের জন্য বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কাছে থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পিকনিক উপলক্ষে হাসতাপালের পিকনিক কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বনভোজন আয়োজন কমিটি-২০২৩ এর আহ্বায়ক ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু তৈয়বি এবং সহকারী অধ্যাপক আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব ডা. মো. কামরুজ্জামান (কামরুল) স্বাক্ষরিত এক বার্ষিক বনভোজনে চিঠিতে ওষুুধ প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহযোগিতা করে আসছে। আমরা প্রত্যাশা করছি এই অনুষ্ঠানেও আপনাদের সহযোগিতা পাব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিকনিক উপলক্ষে বিভিন্ন ওষুুধ প্রস্তকারক প্রতিষ্ঠান ভেদে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েকটি ছোট কোম্পানির পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দেয়া হয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এখনও দেন-দরবার চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বড় কোম্পানির প্রতিনিধি জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়ে মৌখিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা দেয়ার কথা বলা হলেও পিকনিক কমিটি সেটা নিতে রাজি হননি। হয়তো বা আর এক লাখ টাকা বেশি দিতে হবে।
টাকা না দিলে সমস্যা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে ঢুকতে সমস্যা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ও বনভোজন আয়োজন কমিটির প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকে বলেন, ‘ওই বিষয়টি পিকনিক কমিটি জানেন। পিকনিক কমিটি কাজ করছে। পিকিনিক কমিটি কি করছে না করছে সেটা পিকনিক কমিটির কাছে জিজ্ঞেস করাই ভালো।’
আয়োজক কমিটিতে প্রধান নির্বাহী হিসেবে থাকার বিষয়টি জানানোর পর তিনি বলেন, ‘তাহলে ব্যাপারটি আমি কালকে (আজ) দেখি কী করা যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালনা বোর্ডের অন্যতম সদস্য স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর এম এ আজিজ জানান, আমি পিকনিকের বিষয়টি জানি। তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছে চিঠি দেয়ার বিষয়টি জানি না। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
বনভোজন অংশগ্রহণকারী চিকিৎস ও কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রফেসর ও পরিচালকদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা, সঙ্গে অতিথি আনতে চাইলে দুই হাজার টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ও উপপরিচালকদের জন্য চার হাজার ও অতিথিদের জন্য পনেরশ’ টাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী পরিচালক ও জুনিয়র কন্সালটেন্টদের জন্য তিন হাজার টাকা এবং তাদের অতিথির জন্য পনেরশ’, রেজিস্ট্রারদের জন্য দুই হাজার (অতিথি এক হাজার), আবাসিক মেডিকেল অফিসারদের জন্য পনেরশ’ (অতিথি এক হাজার), আনরারী মেডিকেল অফিসারদের এক হাজার (অতিথি আটশ’), স্টুডেন্ট ডাক্তারদের জন্য এক হাজার (অতিথি আটশ’), কর্মকর্তাদের এক হাজার (অতিথি আটশ’), ২য় শ্রেণীর সব সেবক সেবিকার জন্য এক হাজার (অতিথি আটশ’) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য সাতশ’ (অতিথি পাঁচশ’) চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য পাঁচশ’ (অতিথি চারশ’) নার্সিং স্টুডেন্ট বা বিএসসি স্টুডেন্টদের জন্য আটশ’ (অতিথিদের আটশ’) ও ব্যক্তিগত ড্রাইভারদের জন্য পাঁচশ’ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক বলেন, ‘পিকনিকের নামে এভাবে চাঁদাবাজি গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কিছু বলতেও পারছি না। প্রতিবাদ করলে রোষানলে পড়তে হয়।
বনভোজন আয়োজক কমিটি, অর্থ উপকমিটি, পরিবহন উপকমিটি, সাংস্কৃতিক উপকমিটি, ক্রীড়া উপকমিটি, রেজিস্ট্রেশন উপকমিটি, অর্ভ্যাথনা উপকমিটি, আপ্যায়ন উপকমিটি, র্যাফেল ড্র উপকমিটি নিয়ে বনভোজন আয়োজনে ৯টি কমিটি করা হয়েছে। শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এই উপকমিটি গত ৫ জানুয়ারি করা হয়।