রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রণালয়ের অন্য বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করায় হঠাৎ ক্ষেপে যান মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের ভর্ৎসনা করে অনুষ্ঠানকক্ষ থেকে বের হয়ে যেতেও বলেন তিনি।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে।বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলার পর এক সাংবাদিক বলেন, ‘মন্ত্রী, আমরা দু-একটি প্রশ্ন করে চলে যেতে চাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বলো ভাই। তোমাদের তো সময়ের দাম আছে। এতগুলো কথা বললাম, এগুলা কি একটাও কাজের কথা হয়নি। আচ্ছা বলো।’
রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল সরবরাহে কত দেরি হতে পারে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘ওই ব্যাপারে এখন কিছু বলব না। এত কথার মধ্যে তোমরা চলে গেলে রূপপুরে।
এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, এ প্রশ্ন আজকের ওয়ার্কশপের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
পরে মন্ত্রী সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বুঝি না, তোমরা প্রফেশনাল না? আর ইউ প্রফেশনাল? লেট মি দিস অ্যান্সার? ইউ আর প্রফেশনাল, লাইক মি আর্কিটেকচার। তোমরা তো প্রফেশনাল। তোমাদের রেগুলার প্রফেশনাল স্ট্যাডির ব্যবস্থা আছে? নাই।’
এ সময় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, ‘আছে আছে।’ তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়ার ডিম আছে তোমাদের। আমাদের একটা ইনস্টিটিউট আছে ওখান থেকে যদি সার্টিফিকেট না পাও, ইউ ক্যান নট প্র্যাকটিস। কারণ হলো, ওটার (ইনস্টিটিউট) শুরুটা হয় আমার হাত দিয়ে। ওইগুলো করো আগে। বিকজ, আমরা বাংলাদেশকে ওই জায়গায় নিতে চাই।’
মন্ত্রীর এ কথায় এক সাংবাদিক বলেন, ‘বাধ্যবাধকতা নেই যে সনদ ছাড়া সাংবাদিকতা করা যাবে না।’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওইটাই তো প্রবেলম। তোমার যদি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, কালকে বলে দিলা তুমি সাংবাদিক। তুমি তো প্রফেশনালিজমের কিছু বোঝোই না। একটা প্রফেশন, তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। একটা কথা বলে দিলা, যেকোনো জায়গা থেকে চলে আসলে, তার মানে তোমাদের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই।’
তিনি বলেন, ‘তোমার প্রফেশনালি যদি জ্ঞান-গরিমা থাকে, ন্যাচারালি তখন তুমি একভাবে বলবা, আর যদি না থাকে আরেকভাবে বলবা। তারপরও তুমি বলছো। অ্যানিওয়ে ভাই, আমি তোমার এই কথায় যেতে চাই না। একদিন আইসো, তোমাদের বসদের সঙ্গে কথা হয় তো, উনাদের সঙ্গেই কথা বলব। তোমাদের সঙ্গে বলে আর লাভ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আচ্ছা, এই সাবজেক্ট বাদ দিয়ে দাও। আমি ওই জন্য বলছি, তোমরা এই সাবজেস্টের ওপর ধর না কেন? এটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে অন্য জায়গায়। এটা নিয়ে আর কোনো কথাই হবে না। তুমি এখানে আসছো কী জন্য? তুমি রূপপুরের ব্যাপারে কথা বলতে আসছো? এখান থেকে তোমার প্রশ্ন বের করতে হবে, উত্তর নিতে হবে। সেটা হলে তুমি প্রোপার জিনিসটা করলা।’
তখন এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা যারা সাংবাদিকতায় কাজ করি তাদের সাবজেক্টের বাইরেও প্রশ্ন করতে হয়। আপনাকে আমরা পাই না, গত ৮-৯ মাসে আপনার প্রোগ্রামে আসিনি, এই প্রথম এলাম। তাও আবার জরুরি ভিত্তিতে আসতে বলেছেন। ১১টার প্রোগ্রাম, ১১টা ১০ মিনিটে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বড় জিনিস মনে করে চলে এসেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনগণের জানার আগ্রহ আছে। জনসাধারণের ভিউ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু জানতে হয়।’
এ সময় মন্ত্রী ধমকের সুরে ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে যাই, ইউ লিসেন টু মি। আপনারা যদি না আসতে চান, চলে যান। গেট গোয়িং।’
মন্ত্রী ধমকের সুরে কথা বলায় সাংবাদিকরা বের হয়ে যেতে চান। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ইউ শুড গো। আমি বললাম প্রশ্নটা ওটার ওপর না করে এটার ওপরে করেন। এটা বলতে পারব না আমি?’
বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রণালয়ের অন্য বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করায় হঠাৎ ক্ষেপে যান মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের ভর্ৎসনা করে অনুষ্ঠানকক্ষ থেকে বের হয়ে যেতেও বলেন তিনি।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে।বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলার পর এক সাংবাদিক বলেন, ‘মন্ত্রী, আমরা দু-একটি প্রশ্ন করে চলে যেতে চাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বলো ভাই। তোমাদের তো সময়ের দাম আছে। এতগুলো কথা বললাম, এগুলা কি একটাও কাজের কথা হয়নি। আচ্ছা বলো।’
রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল সরবরাহে কত দেরি হতে পারে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘ওই ব্যাপারে এখন কিছু বলব না। এত কথার মধ্যে তোমরা চলে গেলে রূপপুরে।
এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, এ প্রশ্ন আজকের ওয়ার্কশপের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
পরে মন্ত্রী সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বুঝি না, তোমরা প্রফেশনাল না? আর ইউ প্রফেশনাল? লেট মি দিস অ্যান্সার? ইউ আর প্রফেশনাল, লাইক মি আর্কিটেকচার। তোমরা তো প্রফেশনাল। তোমাদের রেগুলার প্রফেশনাল স্ট্যাডির ব্যবস্থা আছে? নাই।’
এ সময় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, ‘আছে আছে।’ তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়ার ডিম আছে তোমাদের। আমাদের একটা ইনস্টিটিউট আছে ওখান থেকে যদি সার্টিফিকেট না পাও, ইউ ক্যান নট প্র্যাকটিস। কারণ হলো, ওটার (ইনস্টিটিউট) শুরুটা হয় আমার হাত দিয়ে। ওইগুলো করো আগে। বিকজ, আমরা বাংলাদেশকে ওই জায়গায় নিতে চাই।’
মন্ত্রীর এ কথায় এক সাংবাদিক বলেন, ‘বাধ্যবাধকতা নেই যে সনদ ছাড়া সাংবাদিকতা করা যাবে না।’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওইটাই তো প্রবেলম। তোমার যদি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, কালকে বলে দিলা তুমি সাংবাদিক। তুমি তো প্রফেশনালিজমের কিছু বোঝোই না। একটা প্রফেশন, তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। একটা কথা বলে দিলা, যেকোনো জায়গা থেকে চলে আসলে, তার মানে তোমাদের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই।’
তিনি বলেন, ‘তোমার প্রফেশনালি যদি জ্ঞান-গরিমা থাকে, ন্যাচারালি তখন তুমি একভাবে বলবা, আর যদি না থাকে আরেকভাবে বলবা। তারপরও তুমি বলছো। অ্যানিওয়ে ভাই, আমি তোমার এই কথায় যেতে চাই না। একদিন আইসো, তোমাদের বসদের সঙ্গে কথা হয় তো, উনাদের সঙ্গেই কথা বলব। তোমাদের সঙ্গে বলে আর লাভ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আচ্ছা, এই সাবজেক্ট বাদ দিয়ে দাও। আমি ওই জন্য বলছি, তোমরা এই সাবজেস্টের ওপর ধর না কেন? এটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে অন্য জায়গায়। এটা নিয়ে আর কোনো কথাই হবে না। তুমি এখানে আসছো কী জন্য? তুমি রূপপুরের ব্যাপারে কথা বলতে আসছো? এখান থেকে তোমার প্রশ্ন বের করতে হবে, উত্তর নিতে হবে। সেটা হলে তুমি প্রোপার জিনিসটা করলা।’
তখন এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা যারা সাংবাদিকতায় কাজ করি তাদের সাবজেক্টের বাইরেও প্রশ্ন করতে হয়। আপনাকে আমরা পাই না, গত ৮-৯ মাসে আপনার প্রোগ্রামে আসিনি, এই প্রথম এলাম। তাও আবার জরুরি ভিত্তিতে আসতে বলেছেন। ১১টার প্রোগ্রাম, ১১টা ১০ মিনিটে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বড় জিনিস মনে করে চলে এসেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনগণের জানার আগ্রহ আছে। জনসাধারণের ভিউ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু জানতে হয়।’
এ সময় মন্ত্রী ধমকের সুরে ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে যাই, ইউ লিসেন টু মি। আপনারা যদি না আসতে চান, চলে যান। গেট গোয়িং।’
মন্ত্রী ধমকের সুরে কথা বলায় সাংবাদিকরা বের হয়ে যেতে চান। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ইউ শুড গো। আমি বললাম প্রশ্নটা ওটার ওপর না করে এটার ওপরে করেন। এটা বলতে পারব না আমি?’