বিমান ভাড়া বেশি হয়েছে, এটা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট না: হাব সভাপতি
চলতি বছর হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারিভাবে গত বছর দুটি প্যাকেজ থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে। নতুন প্যাকেজানুযায়ী গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) এর পক্ষ থেকে প্যাকেজের বিমান ভাড়া নিয়ে ‘অসন্তুষ্টি’ প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান। গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর ‘সাধারণ প্যাকেজ’র মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। গতকাল ঘোষিত প্যাকেজানুযায়ী গত বছরের প্যাকেজ-১ এর তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা ও প্যাকেজ-২ এর তুলনায় খরচ বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
চলতি বছর হজ পালনে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ। হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর আগের মতোই এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, হজ উপলক্ষে প্যাকেজ প্রস্তুত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মিনার তাঁবুর সি-ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মিনার তাঁবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরি গ্রহণের ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাঁবুর অবস্থান ছাড়া অন্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের মতো নিশ্চিত করতে হবে।’এ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে গমনকারী শতভাগ হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ‘রুট টু মক্কা চুক্তি’ অনুযায়ী ওই বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর থেকে এবার হজ প্যাকেজের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর রিয়ালের মূল্য ছিল ২১ টাকা, এখন সেই রিয়ালের মূল্য ৩০ টাকা। এক লাখ টাকার বেশি এখানেই চলে আসে। আনুষঙ্গিক ব্যয় খুব একটা বাড়েনি। বিভিন্ন খাতে সমন্বয় করে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।’
গত বছর হজযাত্রীদের বিমানভাড়া ছিল এক লাখ ৪০ হাজার টাকা হলেও এবার তা বেড়ে প্রায় দুই লক্ষ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। বিমানভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদুল খান বলেন, ‘এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। বিমানভাড়া কেন বেড়েছে তা আপনাদের বিবেচনা করা উচিত। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিমানভাড়া বেড়েছে। বিমানভাড়া নিয়ে আমরা বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তিনদিন বসেছি। বর্তমান সময় আমাদের অনুকূলে না থাকার কারণে বিমানভাড়া বাড়াতে হয়েছে।’
এবার একটি প্যাকেজ কেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার একটি প্যাকেজই আমাদের থাকবে। এটার বিষয়ে অন্য কোনো ব্যাখ্যা নেই।’ তবে, আগের মতো তিনটি বিমান সংস্থা (বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ার) এবারও হজযাত্রীদের পরিবহন করার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
বেসরকারিভাবে মিনায় ডি-ক্যাটাগরি অনুসারে ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৯৬০ টাকার মতো পড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত আমরা ব্যয়ের খাত দিয়ে দিয়েছি। হাব (হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এটা নির্ধারণ করবে। সি-ক্যাটাগরি নিয়েও তারা প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। আমরা তাদের গাইডলাইন দিয়েছি।’
হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘বেসরকারি হজ প্যাকেজ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে।’ তিনি সংবাদকে বলেন, ‘অন্যখাতে তো তেমন কমার কোন সম্ভবনা নেই। তবে, আমরা বিমান ভাড়া এতো টানা নির্ধারণ না করতে অনুরোধ করেছিলাম। এই বিমান ভাড়া নির্ধারণ করেছিল ২ লক্ষ ১০ হাজার ৩ শ টাকা। সেখান থেকে আমাদের অনুরোধে সেখানে থেকে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি টাকা কমে এসেছে। কিন্ত আমরা আরো কমাতে বলেছিলাম।’
বিমানভাড়া নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট ’ প্রকাশ করেছেন হাব সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিমান ভাড়া নিয়ে আগেও বলেছি, এখনো বলছি এ বিমান ভাড়া বেশি হয়েছে, এটা নিয়ে আমরা সন্টুষ্ট না।’
করোনাভাইরাসের মহামারির আগে ২০১৯ সালে স্বাভাবিক হজের সময় দেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ হজ পালন করেন। তার পরের বছর বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত চুক্তিতে আরো ১০ হাজার হজযাত্রী বাড়ানো হয়। কিন্ত ২০ সালে মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় এ দেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেননি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তবে, ২০২২ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিভিন্ন দেশের কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। তখন বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন।
বিমান ভাড়া বেশি হয়েছে, এটা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট না: হাব সভাপতি
বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
চলতি বছর হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারিভাবে গত বছর দুটি প্যাকেজ থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে। নতুন প্যাকেজানুযায়ী গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) এর পক্ষ থেকে প্যাকেজের বিমান ভাড়া নিয়ে ‘অসন্তুষ্টি’ প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান। গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর ‘সাধারণ প্যাকেজ’র মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। গতকাল ঘোষিত প্যাকেজানুযায়ী গত বছরের প্যাকেজ-১ এর তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা ও প্যাকেজ-২ এর তুলনায় খরচ বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
চলতি বছর হজ পালনে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ। হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর আগের মতোই এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, হজ উপলক্ষে প্যাকেজ প্রস্তুত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মিনার তাঁবুর সি-ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মিনার তাঁবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরি গ্রহণের ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাঁবুর অবস্থান ছাড়া অন্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের মতো নিশ্চিত করতে হবে।’এ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে গমনকারী শতভাগ হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ‘রুট টু মক্কা চুক্তি’ অনুযায়ী ওই বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর থেকে এবার হজ প্যাকেজের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর রিয়ালের মূল্য ছিল ২১ টাকা, এখন সেই রিয়ালের মূল্য ৩০ টাকা। এক লাখ টাকার বেশি এখানেই চলে আসে। আনুষঙ্গিক ব্যয় খুব একটা বাড়েনি। বিভিন্ন খাতে সমন্বয় করে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।’
গত বছর হজযাত্রীদের বিমানভাড়া ছিল এক লাখ ৪০ হাজার টাকা হলেও এবার তা বেড়ে প্রায় দুই লক্ষ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। বিমানভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদুল খান বলেন, ‘এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। বিমানভাড়া কেন বেড়েছে তা আপনাদের বিবেচনা করা উচিত। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিমানভাড়া বেড়েছে। বিমানভাড়া নিয়ে আমরা বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তিনদিন বসেছি। বর্তমান সময় আমাদের অনুকূলে না থাকার কারণে বিমানভাড়া বাড়াতে হয়েছে।’
এবার একটি প্যাকেজ কেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার একটি প্যাকেজই আমাদের থাকবে। এটার বিষয়ে অন্য কোনো ব্যাখ্যা নেই।’ তবে, আগের মতো তিনটি বিমান সংস্থা (বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ার) এবারও হজযাত্রীদের পরিবহন করার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
বেসরকারিভাবে মিনায় ডি-ক্যাটাগরি অনুসারে ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৯৬০ টাকার মতো পড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত আমরা ব্যয়ের খাত দিয়ে দিয়েছি। হাব (হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এটা নির্ধারণ করবে। সি-ক্যাটাগরি নিয়েও তারা প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। আমরা তাদের গাইডলাইন দিয়েছি।’
হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘বেসরকারি হজ প্যাকেজ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে।’ তিনি সংবাদকে বলেন, ‘অন্যখাতে তো তেমন কমার কোন সম্ভবনা নেই। তবে, আমরা বিমান ভাড়া এতো টানা নির্ধারণ না করতে অনুরোধ করেছিলাম। এই বিমান ভাড়া নির্ধারণ করেছিল ২ লক্ষ ১০ হাজার ৩ শ টাকা। সেখান থেকে আমাদের অনুরোধে সেখানে থেকে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি টাকা কমে এসেছে। কিন্ত আমরা আরো কমাতে বলেছিলাম।’
বিমানভাড়া নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট ’ প্রকাশ করেছেন হাব সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিমান ভাড়া নিয়ে আগেও বলেছি, এখনো বলছি এ বিমান ভাড়া বেশি হয়েছে, এটা নিয়ে আমরা সন্টুষ্ট না।’
করোনাভাইরাসের মহামারির আগে ২০১৯ সালে স্বাভাবিক হজের সময় দেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ হজ পালন করেন। তার পরের বছর বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত চুক্তিতে আরো ১০ হাজার হজযাত্রী বাড়ানো হয়। কিন্ত ২০ সালে মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় এ দেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেননি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তবে, ২০২২ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিভিন্ন দেশের কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। তখন বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন।