রাজধানীর ৩৩৫০টি বাড়ি পরিদর্শনে প্রমাণ মিলেছে
আসছে মৌসুমে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির আশঙ্কা
রাজধানীর বিভিন্ন বাড়ি ও ভবনের ওয়াসার মিটারের গর্তে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ১০ দিন ধরে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ৩ হাজার ৩৫০টি বাড়ি পরিদর্শন করে ওয়াসার পানির মিটারের গর্তে এডিস মশার উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান সংবাদকে বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত টানা জরিপ করে মশার উৎসের সন্ধান পেয়েছেন। ওয়াসার মিটারের গর্তে মশা বংশ বিস্তার বেশি করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এডিস মশার উপদ্রব এখন কিছুটা কম হলেও শীতের পর পরিস্থিতির অবনতি কিংবা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারবে। ঢাকা উত্তর সিটি মশা দমনে উদ্যোগী হওয়ায় সেখানে অনেক বাড়িতে উপস্থিতি কম পাওয়া গেছে। তবে দক্ষিণ সিটিতে মশার বংশ বিস্তার বেশি ঘটছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার কামড়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৮৮ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে আরও ১০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় সাত জন ও ঢাকার বাইরে ৩ জন ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাজধানীসহ সারাদেশে এখনও ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশা আছে। তবে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেশি। সামনে গরম পড়তে শুরু করলে মশার উপদ্রব আরও বাড়তে পারে। এখন মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মশার উৎসস্থল নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে, বাথরুমের বালতিতে জমিয়ে রাখা পানিতে, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে।
মশার উৎসস্থল নির্মূল করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এছাড়া মশা দমনে বছরজুড়ে কাজ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
রাজধানীর ৩৩৫০টি বাড়ি পরিদর্শনে প্রমাণ মিলেছে
আসছে মৌসুমে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির আশঙ্কা
শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
রাজধানীর বিভিন্ন বাড়ি ও ভবনের ওয়াসার মিটারের গর্তে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ১০ দিন ধরে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ৩ হাজার ৩৫০টি বাড়ি পরিদর্শন করে ওয়াসার পানির মিটারের গর্তে এডিস মশার উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান সংবাদকে বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত টানা জরিপ করে মশার উৎসের সন্ধান পেয়েছেন। ওয়াসার মিটারের গর্তে মশা বংশ বিস্তার বেশি করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এডিস মশার উপদ্রব এখন কিছুটা কম হলেও শীতের পর পরিস্থিতির অবনতি কিংবা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারবে। ঢাকা উত্তর সিটি মশা দমনে উদ্যোগী হওয়ায় সেখানে অনেক বাড়িতে উপস্থিতি কম পাওয়া গেছে। তবে দক্ষিণ সিটিতে মশার বংশ বিস্তার বেশি ঘটছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার কামড়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৮৮ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে আরও ১০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় সাত জন ও ঢাকার বাইরে ৩ জন ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাজধানীসহ সারাদেশে এখনও ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশা আছে। তবে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেশি। সামনে গরম পড়তে শুরু করলে মশার উপদ্রব আরও বাড়তে পারে। এখন মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মশার উৎসস্থল নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে, বাথরুমের বালতিতে জমিয়ে রাখা পানিতে, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে।
মশার উৎসস্থল নির্মূল করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এছাড়া মশা দমনে বছরজুড়ে কাজ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।