মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের অভিবাসন খরচ কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব এশিয়ার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল।
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া সহজ করতে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সংশোধনে দেশটি রাজি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে রোববার বৈঠক শেষে এসব কথা জানান মালয়েশিয়ার মন্ত্রী।
বিভিন্ন খাতে কর্মী নিতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ সই করে মালয়েশিয়া।
এমওইউর আগে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, সেবা, খনিতে উত্তোলন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মের মতো খাতগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া হবে।
ঢাকা সফররত মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। আগামী দিনে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসবেন। তারা রিভিউ করবেন যে, সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি না। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনে এমওইউতে পরিবর্তন আনা হবে।’
রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগের করা সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার একটা বড় অংশজুড়েই ছিল এই চুক্তি।
‘মালয়েশিয়ার সরকার প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়, যেন মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো ও বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা করা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, আমরা পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সে জন্য আমরা আলোচনায় বসব।’
মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ বিদেশি কর্মীর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ বাংলাদেশি জানিয়ে সাইফুদ্দিন বলেন, ‘সেই কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আজকে দুটি ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত, রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরও দ্রুত করার বিষয়ে। দ্বিতীয়ত, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়া আরও সহজ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যা যা আছে, আলোচনায় সব কথাই হয়েছে। এখানে খরচের ব্যাপার আছে, ওখানে যাওয়ার ব্যাপার আছে। সবকিছুই আলোচনা হয়েছে।’
রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের অভিবাসন খরচ কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব এশিয়ার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল।
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া সহজ করতে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সংশোধনে দেশটি রাজি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে রোববার বৈঠক শেষে এসব কথা জানান মালয়েশিয়ার মন্ত্রী।
বিভিন্ন খাতে কর্মী নিতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ সই করে মালয়েশিয়া।
এমওইউর আগে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, সেবা, খনিতে উত্তোলন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মের মতো খাতগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া হবে।
ঢাকা সফররত মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। আগামী দিনে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসবেন। তারা রিভিউ করবেন যে, সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি না। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনে এমওইউতে পরিবর্তন আনা হবে।’
রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগের করা সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার একটা বড় অংশজুড়েই ছিল এই চুক্তি।
‘মালয়েশিয়ার সরকার প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়, যেন মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো ও বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা করা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, আমরা পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সে জন্য আমরা আলোচনায় বসব।’
মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ বিদেশি কর্মীর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ বাংলাদেশি জানিয়ে সাইফুদ্দিন বলেন, ‘সেই কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আজকে দুটি ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত, রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরও দ্রুত করার বিষয়ে। দ্বিতীয়ত, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়া আরও সহজ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যা যা আছে, আলোচনায় সব কথাই হয়েছে। এখানে খরচের ব্যাপার আছে, ওখানে যাওয়ার ব্যাপার আছে। সবকিছুই আলোচনা হয়েছে।’