বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ সোমবার গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে হিরো আলমের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সর্বোপরি দেশের একজন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের বা কারোরই এমন উপহাস করার কোনো অধিকার নেই। এতে বলা হয়েছে, হিরো আলমকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অবমাননাকর ও উপহাসমূলক পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে। দেশের দুটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন বক্তব্য অনভিপ্রেত উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে।” উল্টো দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “...এই আওয়ামী লীগ হিরো আলমের কাছেও কতটা অসহায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে জিততে হয়।”’
দুই ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেনকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যসূচক বিবেচনায় দুই নেতা পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন বলে মনে করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক রীতি অনুযায়ী পরস্পরকে নিয়ে বিষোদ্গার নতুন কিছু নয়। কিন্তু সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেনের ব্যক্তিপরিচয় ও অবস্থাকে মানদণ্ড হিসেবে দাঁড় করিয়ে দুই দল একে অপরকে আক্রমণ করেছে। সেই মানদণ্ড যে ইতিবাচক কিছু নয়; বরং এর মাধ্যমে হিরো আলম এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি দেশের ‘সাধারণ’ একজন নাগরিকের প্রতি দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের এমন আচরণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির স্থূলতাকেই জনসমক্ষে প্রতিষ্ঠিত করে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে, কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত না হলে, দেউলিয়া না হলে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ না করলে বা আনুগত্য স্বীকার না করাসহ কিছু শর্ত পূরণে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন। সংবিধানের শর্ত পূরণের পরও হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক শিষ্টাচারকেই ভুলুণ্ঠিত করে না, বরং তাঁর সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার নামান্তরও বটে। “হিরো আলম নির্বাচিত হলে সংসদকে ছোট করা হতো”—এমন বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে সংসদকে ছোট করা হয়েছে। কারণ, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনা ও চর্চায় মানুষে মানুষে বৈষম্যের প্রকাশ অগ্রহণযোগ্য।’
সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ সোমবার গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে হিরো আলমের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সর্বোপরি দেশের একজন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের বা কারোরই এমন উপহাস করার কোনো অধিকার নেই। এতে বলা হয়েছে, হিরো আলমকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অবমাননাকর ও উপহাসমূলক পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে। দেশের দুটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন বক্তব্য অনভিপ্রেত উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে।” উল্টো দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “...এই আওয়ামী লীগ হিরো আলমের কাছেও কতটা অসহায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে জিততে হয়।”’
দুই ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেনকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যসূচক বিবেচনায় দুই নেতা পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন বলে মনে করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক রীতি অনুযায়ী পরস্পরকে নিয়ে বিষোদ্গার নতুন কিছু নয়। কিন্তু সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেনের ব্যক্তিপরিচয় ও অবস্থাকে মানদণ্ড হিসেবে দাঁড় করিয়ে দুই দল একে অপরকে আক্রমণ করেছে। সেই মানদণ্ড যে ইতিবাচক কিছু নয়; বরং এর মাধ্যমে হিরো আলম এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি দেশের ‘সাধারণ’ একজন নাগরিকের প্রতি দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের এমন আচরণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির স্থূলতাকেই জনসমক্ষে প্রতিষ্ঠিত করে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে, কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত না হলে, দেউলিয়া না হলে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ না করলে বা আনুগত্য স্বীকার না করাসহ কিছু শর্ত পূরণে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন। সংবিধানের শর্ত পূরণের পরও হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক শিষ্টাচারকেই ভুলুণ্ঠিত করে না, বরং তাঁর সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার নামান্তরও বটে। “হিরো আলম নির্বাচিত হলে সংসদকে ছোট করা হতো”—এমন বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে সংসদকে ছোট করা হয়েছে। কারণ, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনা ও চর্চায় মানুষে মানুষে বৈষম্যের প্রকাশ অগ্রহণযোগ্য।’