মতবিনিময় সভার বক্তারা
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির এবং চামড়া শিল্পের উন্নয়নে মালিক-শ্রমিকসহ সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) কার্যালয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই কথা বলেন।
সভায় চামড়া শিল্পের উন্নয়ন ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশিচতকরণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ দুই বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার মূল বক্তব্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান খান।
‘চামড়া শিল্পে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন তোলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। আগামী ২০২৪ সাল থেকে চামড়া পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বর্তমানে এ খাত থেকে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১ বিলিয়নের নিচে রয়েছে। পাশাপাশি চামড়া শিল্পের দেশীয় বাজার মূল্য ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চামড়া শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও সোশাল কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলপত্র প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে শ্রমিক-মালিক উভয়েই যেন দ্রুত সহযোগিতা পান সে লক্ষ্যে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, চামড়া শিল্প এলাকায় একটি স্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতাল স্থাপন করা, চামড়া শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য আবাসন সুবিধার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কারখানাভিত্তিক কার্যকর সেইফটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করা, পরিবেশ দূষণ প্রশ্নে শিল্প বন্ধের যে আলোচনা চলছে তা সরকার কর্তৃক পুনর্বিবেচনা করে শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় শ্রমিক-মালিক ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।’
বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম বলেন, ‘চামড়া শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যে একশন প্লান বা কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকার, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএলএফ চেয়ারম্যান ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা আবদুস সালাম খান বলেন, ‘এক সময় চামড়া খাত দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত শিল্প ছিল। নানা কারণে চামড়া শিল্পের স্থানীয় কাঁচামাল থাকলেও যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। যার মূলে রয়েছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। সরকার এই শিল্পের উন্নতির জন্য কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রচুর রপ্তানি আয় হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল প্রায় শূন্য। এ জন্য আরও কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।’
সভায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বাংলা বিভাগের প্রধান বার্তা সম্পাদক রুহুল গণি জ্যোতি, বাংলাদেশ লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী আবদুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বিএলএফ’র প্রোগাম কো-অডিনেটর খন্দকার ফয়সাল আহমদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ভবিষ্যতে এই খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মালিকদের উচিত অবশ্যই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। ফ্যাক্টরিতে সোশ্যাল কম্পলায়েন্স নিশ্চিত করতে চাইলে এর কোন বিকল্প নেই। চামড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। বাংলাদেশের জন্য অতীব সম্ভাবনাময় পণ্য হচ্ছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এই খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করে।
মতবিনিময় সভার বক্তারা
রোববার, ০৫ মার্চ ২০২৩
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির এবং চামড়া শিল্পের উন্নয়নে মালিক-শ্রমিকসহ সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) কার্যালয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই কথা বলেন।
সভায় চামড়া শিল্পের উন্নয়ন ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশিচতকরণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ দুই বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার মূল বক্তব্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান খান।
‘চামড়া শিল্পে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন তোলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। আগামী ২০২৪ সাল থেকে চামড়া পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বর্তমানে এ খাত থেকে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১ বিলিয়নের নিচে রয়েছে। পাশাপাশি চামড়া শিল্পের দেশীয় বাজার মূল্য ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চামড়া শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও সোশাল কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলপত্র প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে শ্রমিক-মালিক উভয়েই যেন দ্রুত সহযোগিতা পান সে লক্ষ্যে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, চামড়া শিল্প এলাকায় একটি স্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতাল স্থাপন করা, চামড়া শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য আবাসন সুবিধার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কারখানাভিত্তিক কার্যকর সেইফটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করা, পরিবেশ দূষণ প্রশ্নে শিল্প বন্ধের যে আলোচনা চলছে তা সরকার কর্তৃক পুনর্বিবেচনা করে শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় শ্রমিক-মালিক ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।’
বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম বলেন, ‘চামড়া শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যে একশন প্লান বা কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকার, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএলএফ চেয়ারম্যান ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা আবদুস সালাম খান বলেন, ‘এক সময় চামড়া খাত দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত শিল্প ছিল। নানা কারণে চামড়া শিল্পের স্থানীয় কাঁচামাল থাকলেও যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। যার মূলে রয়েছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। সরকার এই শিল্পের উন্নতির জন্য কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রচুর রপ্তানি আয় হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল প্রায় শূন্য। এ জন্য আরও কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।’
সভায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বাংলা বিভাগের প্রধান বার্তা সম্পাদক রুহুল গণি জ্যোতি, বাংলাদেশ লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী আবদুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বিএলএফ’র প্রোগাম কো-অডিনেটর খন্দকার ফয়সাল আহমদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ভবিষ্যতে এই খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মালিকদের উচিত অবশ্যই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। ফ্যাক্টরিতে সোশ্যাল কম্পলায়েন্স নিশ্চিত করতে চাইলে এর কোন বিকল্প নেই। চামড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। বাংলাদেশের জন্য অতীব সম্ভাবনাময় পণ্য হচ্ছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এই খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করে।