alt

জাতীয়

ভোট সুষ্ঠু না হলে দায়িত্ব ছেড়ে দেবে : নির্বাচন কমিশন ইসি আলমগীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক: : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

পৃথিবীর সব দেশেই প্রায় দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। অতীতে কেন পারেনি সেটা অতীতের কমিশন বলতে পারবে। আগের কমিশন আর বর্তমান কমিশনের লোক ভিন্ন বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন চাইলে সেটা সম্ভব।সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। প্রয়োজনে আমরা নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে সরে যাব।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হলে এ চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি সেটা যদি না-ই করতে পারি তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন? আমাদের কমিশনে যারা আছি সকলের মনোভাব একইরকম। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না এটা বিশ্বাস করি না। প্রয়োজনে দায়িত্ব থেকে সরে যাব। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন বর্তমান ইসি শতভাগ সৎ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না, এ ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভাঙার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা যেন স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সেসব বিষয় নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সে দায়িত্ব পালনের প্রতি শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছি।

সংকট দূর করার জন্য সংলাপের দায়িত্ব কে নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কি সেই দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে? আমাদের বিভিন্ন অংশীজন, সুশীল সমাজের মতামত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এখন আর হচ্ছে না। হয়ত পরবর্তীতে হতে পারে। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে। আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে।

প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন তারা বড় উদাহরণ। প্রশাসনে যারা কাজ করেছিলেন, যাদের গাফিলতি পাওয়া গেছে বা যারা অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি এবং সেটা মনিটরিং করছি। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমরা দুই এক সপ্তাহ পরপরই মনিটরিং করছি। প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা তো আমরা বলতে পারি না। যারা জড়িত ছিল তারা প্রার্থীর কথা বলেনি। তারা কেন বলল না সেটাই রহস্য। তাদের বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা বারবার প্রশ্ন করেছেন এমন কাজ করলেন কেন, তারা বলেছেন আমরা স্বেচ্ছায় করেছি। এখন তারা যদি বলেন স্বেচ্ছায় করেছি। তাহলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। তারা যদি কারো নাম বলত আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

তিনি বলেন, এখানে তো অনুমানভিত্তিক কোনো অ্যাকশন নেওয়া যায় না। যেকোনো প্রশাসনিক, বিচারিক বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হলে আপনাকে যা তদন্তে প্রমাণিত হবে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি আমরা তফসিল ঘোষণা আগে দেখব। আমাদের কিছু কৌশল থাকবে, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। সেই কৌশলগুলো তো আমরা বলব না। নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে গ্যারান্টি দিচ্ছি আমরা। আমরা যতক্ষণ আছি এ চেয়ারে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাব।

ডেঙ্গুতে ৯ দিনে প্রাণ গেল ৩০ জনের

ছবি

দুদক কর্মকর্তাদের নৈতিকতা প্রদর্শন করে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ছবি

আমির হোসেন আমুকে ইসির শোকজ

ছবি

বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

৫ নারীর হাতে ‘রোকেয়া পদক’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বেগম রোকেয়া দিবস আজ

ছবি

যদি আগুন-সন্ত্রাসী বেশি হয় তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে

ছবি

দুই ধাপে বদলী হওয়া ১৫৭ জন ইউএনও’র গন্তব্য

ছবি

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চার দেশের রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা

ছবি

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু

ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল চেয়ে রিট আবেদন

ছবি

নারী জাগরণে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে: সাদেকা হালিম

ছবি

নির্বাচনি ইশতেহারে নিরাপদ সড়ক ও স্মার্ট গণপরিবহনের অঙ্গীকার চায় : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

ছবি

অবরোধের গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ যানবাহ‌নে আগুন

ছবি

ষোড়শ সংশোধনী রিভিউ শুনানি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি

ছবি

নির্বাচনে বিদেশি কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর

ছবি

জাতিসংঘ ছাড়া অন্যদের নিষেধাজ্ঞা আমলে নেওয়ার কিছু নেই : রুশ দূত

ছবি

বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পাচ্ছেন পাঁচ নারী

ছবি

৩৩৮ থানার ওসি বদলির অনুমোদন

ছবি

কিছুই নেই টিপু মুনশির স্ত্রীর নামে, আসবাবপত্রের দাম ১০ হাজার টাকা

ছবি

ঢাকাসহ ১৭ অঞ্চলে ঝোড়ো বৃষ্টির আভাস

ছবি

৪ শতাধিক ওসি-ইউএনও বদলি প্রস্তাব ইসিতে

ছবি

ঢাকার ‘রিকশা ও রিকশাচিত্র’ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল

ছবি

আরও ২৯ সংস্থা পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল

ভিয়েতনাম সফরে বাংলাদেশের আইনজীবী নেতৃবৃন্দ

মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ

ছবি

বিমানসেনা দলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

ছবি

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা টার্মিনাল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আশার বাতিঘর: প্রধানমন্ত্রী

ছবি

হাওরে কৃষি সম্প্রসারণে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি’

ছবি

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা

ছবি

সৌদি আরব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

সারাদেশে ১৫৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ছবি

দ্বিতীয় দিনের মতো ইসিতে চলছে আপিল কার্যক্রম

ছবি

ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে

ছবি

আবহাওয়া অধিদপ্তর: ভারতের উপকূলের প্রবেশ করেছে মিগযাউম তাপমাত্রা কমে শীত নামবে দেশে

ছবি

সারা দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৯, মৃত্যু ৫ জনের

tab

জাতীয়

ভোট সুষ্ঠু না হলে দায়িত্ব ছেড়ে দেবে : নির্বাচন কমিশন ইসি আলমগীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

পৃথিবীর সব দেশেই প্রায় দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। অতীতে কেন পারেনি সেটা অতীতের কমিশন বলতে পারবে। আগের কমিশন আর বর্তমান কমিশনের লোক ভিন্ন বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন চাইলে সেটা সম্ভব।সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। প্রয়োজনে আমরা নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে সরে যাব।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হলে এ চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি সেটা যদি না-ই করতে পারি তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন? আমাদের কমিশনে যারা আছি সকলের মনোভাব একইরকম। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না এটা বিশ্বাস করি না। প্রয়োজনে দায়িত্ব থেকে সরে যাব। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন বর্তমান ইসি শতভাগ সৎ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না, এ ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভাঙার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা যেন স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সেসব বিষয় নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সে দায়িত্ব পালনের প্রতি শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছি।

সংকট দূর করার জন্য সংলাপের দায়িত্ব কে নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কি সেই দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে? আমাদের বিভিন্ন অংশীজন, সুশীল সমাজের মতামত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এখন আর হচ্ছে না। হয়ত পরবর্তীতে হতে পারে। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে। আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে।

প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন তারা বড় উদাহরণ। প্রশাসনে যারা কাজ করেছিলেন, যাদের গাফিলতি পাওয়া গেছে বা যারা অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি এবং সেটা মনিটরিং করছি। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমরা দুই এক সপ্তাহ পরপরই মনিটরিং করছি। প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা তো আমরা বলতে পারি না। যারা জড়িত ছিল তারা প্রার্থীর কথা বলেনি। তারা কেন বলল না সেটাই রহস্য। তাদের বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা বারবার প্রশ্ন করেছেন এমন কাজ করলেন কেন, তারা বলেছেন আমরা স্বেচ্ছায় করেছি। এখন তারা যদি বলেন স্বেচ্ছায় করেছি। তাহলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। তারা যদি কারো নাম বলত আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

তিনি বলেন, এখানে তো অনুমানভিত্তিক কোনো অ্যাকশন নেওয়া যায় না। যেকোনো প্রশাসনিক, বিচারিক বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হলে আপনাকে যা তদন্তে প্রমাণিত হবে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি আমরা তফসিল ঘোষণা আগে দেখব। আমাদের কিছু কৌশল থাকবে, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। সেই কৌশলগুলো তো আমরা বলব না। নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে গ্যারান্টি দিচ্ছি আমরা। আমরা যতক্ষণ আছি এ চেয়ারে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাব।

back to top