alt

জাতীয়

শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির যাত্রা শুরু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা। ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি ছিলেন। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে তার সরকার এমনভাবে গড়ে তুলছে, যাতে বাংলাদেশ কোনোভাবে আক্রান্ত হলে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে।

আজ সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবনির্মিত ঘাঁটির সঙ্গে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। তবে, যদি কখনও তেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি হয় তাহলে যেন আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি সেভাবে আমাদেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেভাবেই আমরা আমাদের বাহিনীগুলো তৈরি করে দিচ্ছি।”

জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সব ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেখানে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই আমরা এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন- সেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, এই সমুদ্রসীমায় আমাদের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তা যেন আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগে সেজন্য ‘ব্লু ইকোনমি’ নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাছাড়া, এক্ষেত্রে আমাদের পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা থেকে শুরু করে অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার।

সরকারপ্রধান দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও জোরালো হবে।

অনুষ্ঠানে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি থেকে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটির প্রধান কমোডর এম. আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। এরপরই ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাবমেরিন ঘাঁটির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনও প্রদর্শিত হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার শুধু সামরিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তাদের জন্য বহুতল ভবন, বিনোদনের সুব্যবস্থা, সন্তানদের সুশিক্ষার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে তার সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ আরও বেশি উন্নত-সমৃদ্ধ হবে। সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আমরা আমাদের উন্নতি ও সমৃদ্ধির সোপান ধরে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের কাছে ‘উন্নয়নের রোলমডেল’। আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। তাই আমাদের নৌবাহিনীও স্মার্ট বাহিনী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সেভাবেই আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলছি।

’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর কোনও সরকারই বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের সমুদ্রসীমার অধিকার আদায় ও সুরক্ষিত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সামুদ্রিক এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। যদিও জাতিসংঘ এই আইন প্রণয়ন করে ১৯৮২ সালে। জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৬ দফাতেও পূর্ব বাংলায় নৌবাহিনীর সদর প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে এবং এবং সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে রূপান্তরের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে ৪টি ফ্রিগেট, ৬টি করভেট, ৪টি বড় প্যাট্রোল ক্রাফট, ৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট এবং ২টি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে। আর সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক হলো এই সাবমেরিন ঘাঁটি।

"আমরা ২০১৭ সালের ১২ মার্চ দুটি সাবমেরিন যুক্ত করেছি। ফলস্বরূপ আজ আমাদের নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে," তিনি যোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে স্থানীয় শিপইয়ার্ডে নিজের এবং অন্যদের ব্যবহারের জন্য জাহাজ নির্মাণ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডে একটি বড়সহ পাঁচটি প্যাট্রোল ক্রাফট নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘অপারেশন জ্যাকপট’সহ নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বগাথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

সূত্র: বাসস

ছবি

পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে

খোঁজ-খবর নিচ্ছি, সত্য বেরিয়ে আসবে : কাদের

ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে নাশকতায় ক্ষতি প্রায় ৩৪ কোটি টাকা

মেট্রোরেল বন্ধে ভোগান্তিতে ৬ লাখ মানুষ

ছবি

অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী

কোটা আন্দোলন: সিলেটে ৩৮ শিক্ষার্থীকে বিস্ফোরক মামলায় শোন অ্যারেস্ট

বিএনপি জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল -মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী

বেরোবির উপাচার্যের বাসভবনে আক্রমন-আগুন, যেভাবে উদ্ধার হলেন অবরুদ্ধ ২০ জন

ছবি

আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল রেল কর্তৃপক্ষ

ছবি

হামলা, ধ্বংসযজ্ঞের বিচারের ভার জনগণকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

‘আমার সব শেষ’, ‘বাড়িতেও নিরাপদ না মানুষ?’

গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশনা বিটিআরসি’র

ভিন্নমত ও দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অপরাধ নয়, সাংবিধানিক অধিকার: টিআইবি

৩-৪ দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চাঁদপুর থেকে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল শুরু

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধই থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি

মহাখালী থেকে ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস

ছবি

কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পাঁচ দিন পর খুললো অফিস

কোটা সংস্কার ও তাদের দাবি নিয়ে যা বললো সমন্বয়করা

ছবি

সব গ্রেডে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন

সীমিত পরিসরে সারাদেশে চালু হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

সাভারে পুলিশ-ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

আলোচনার পথ খোলা আছে, আন্দোলনকারীদের ঘোষণা

লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৪৪ বাংলাদেশী

ছবি

শিক্ষার্থীরা যখন চায় তখনই আলোচনাঃ আইনমন্ত্রী

ছবি

বেরোবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পুলিশের তদন্ত কমিটি

ছবি

এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : চীনা রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাড়তি ভাড়া রিকশা-সিএনজিতে, ভরসা মেট্রোরেল-বিআরটিসি

ছবি

ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশে হামলায় রণক্ষেত্র, হতাহত দুই শতাধিক

ছবি

কোটা আন্দোলনকারীদের নতুন কর্মসূচী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, ঢাবি হল ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা, থমথমে পরিবেশ

ছবি

বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, আদালতের রায়ের জন্য ধৈর্য্যের আহ্বান

ছবি

জবি : ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে ২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ছবি

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা

tab

জাতীয়

শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির যাত্রা শুরু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা। ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি ছিলেন। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে তার সরকার এমনভাবে গড়ে তুলছে, যাতে বাংলাদেশ কোনোভাবে আক্রান্ত হলে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে।

আজ সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবনির্মিত ঘাঁটির সঙ্গে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। তবে, যদি কখনও তেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি হয় তাহলে যেন আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি সেভাবে আমাদেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেভাবেই আমরা আমাদের বাহিনীগুলো তৈরি করে দিচ্ছি।”

জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সব ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেখানে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই আমরা এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন- সেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, এই সমুদ্রসীমায় আমাদের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তা যেন আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগে সেজন্য ‘ব্লু ইকোনমি’ নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাছাড়া, এক্ষেত্রে আমাদের পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা থেকে শুরু করে অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার।

সরকারপ্রধান দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও জোরালো হবে।

অনুষ্ঠানে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি থেকে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটির প্রধান কমোডর এম. আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। এরপরই ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাবমেরিন ঘাঁটির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনও প্রদর্শিত হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার শুধু সামরিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তাদের জন্য বহুতল ভবন, বিনোদনের সুব্যবস্থা, সন্তানদের সুশিক্ষার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে তার সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ আরও বেশি উন্নত-সমৃদ্ধ হবে। সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আমরা আমাদের উন্নতি ও সমৃদ্ধির সোপান ধরে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের কাছে ‘উন্নয়নের রোলমডেল’। আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। তাই আমাদের নৌবাহিনীও স্মার্ট বাহিনী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সেভাবেই আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলছি।

’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর কোনও সরকারই বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের সমুদ্রসীমার অধিকার আদায় ও সুরক্ষিত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সামুদ্রিক এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। যদিও জাতিসংঘ এই আইন প্রণয়ন করে ১৯৮২ সালে। জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৬ দফাতেও পূর্ব বাংলায় নৌবাহিনীর সদর প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে এবং এবং সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে রূপান্তরের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে ৪টি ফ্রিগেট, ৬টি করভেট, ৪টি বড় প্যাট্রোল ক্রাফট, ৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট এবং ২টি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে। আর সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক হলো এই সাবমেরিন ঘাঁটি।

"আমরা ২০১৭ সালের ১২ মার্চ দুটি সাবমেরিন যুক্ত করেছি। ফলস্বরূপ আজ আমাদের নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে," তিনি যোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে স্থানীয় শিপইয়ার্ডে নিজের এবং অন্যদের ব্যবহারের জন্য জাহাজ নির্মাণ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডে একটি বড়সহ পাঁচটি প্যাট্রোল ক্রাফট নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘অপারেশন জ্যাকপট’সহ নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বগাথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

সূত্র: বাসস

back to top